ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঝলক

প্রকাশিত: ০৬:১৬, ২০ জুলাই ২০১৮

ঝলক

ভ্রূতেই বাজিমাত শুধু ভ্রূ দেখিয়ে সেলিব্রিটি হওয়া যায়? রুশ সুন্দরী এ্যানজেলিকা প্রোটোইয়াকোনোভা নিজের ভ্রূ দেখিয়ে অন্যরকম সেনসেশনে পরিণত হয়েছেন। পৃথিবীর বাঘাবাঘা নায়িকা তার মতো ভ্রূ বানাতে টিপস চাইছেন। তবে প্রথমে কিন্তু সেলিব্রিটি হওয়ার জন্য নিজের ভ্রূর সৌন্দর্য বাড়াতে চাননি এ্যানজেলিকা প্রোটোইয়াকোনোভা। ¯্রফে শখের বশে এই ফ্যাশন ব্লগার নিজের ভ্রূর নিত্যনতুন ডিজাইন করতেন। এরপর একদিন ভ্রƒ সমেত একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন। তারপর এ্যানজেলিকা প্রোটোইয়াকোনোভাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। অল্প কয়েক মিনিটের মধ্যে তার ছবি সামাজিক মাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি করে। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে তার ছবি শেয়ার হতে থাকে। অনেকে তাকে ভ্রƒর দেবী বলে আখ্যা দেন। লাফিয়ে তার ফ্যান-ফলোয়ার বাড়তে থাকে। ফ্যানদের অনুরোধে এক অনলাইন লাইভে আসেন এ্যানজেলিকা প্রোটোইয়াকোনোভা। অল্প কয়েক মিনিটের লাইভে লাখো ফলোয়ার তার সঙ্গে যোগ দেন। অনেকে তার কাছে ভ্রƒর সৌন্দর্য বৃদ্ধির কৌশল জানতে চান। এই রুশ সুন্দরীর আরেকটি গুণ হলো Ñতিনি সামান্য সময়ের মধ্যে ভ্রƒর ডিজাইন পাল্টে ফেলতে পারেন। আবার কয়েক মিনিটের মধ্যে ভ্রƒ ও চুলের ধরন পাল্টে ফলোয়ারদের সারপ্রাইজ দিতে পারেন। এখন অনলাইনে বিশ্বের নানা প্রান্তের লোকদের ভ্রƒর সৌন্দর্য বৃদ্ধির টিপস দিয়ে কাঁড়ি কাঁড়ি ডলার কামাচ্ছেন এই রুশ সুন্দরী। Ñঅডিটিসেন্ট্রাল অবলম্বনে রতœবোঝাই জাহাজ ১৯০৫ সালে রুশ-জাপানের মধ্যেকার ঐতিহাসিক সুশিমা যুদ্ধে বহু রতœ ও মূল্যবান ধাতু নিয়ে ডুবে যাওয়া দিমিত্রি ডনস্কই নামের সেই জাহাজটির খোঁজ মিলেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার ফার্ম দ্য শিনিল গ্রুপ দাবি করেছে, ডুবে যাওয়ার ১১৩ বছর পর দক্ষিণ কোরিয়ার এক দ্বীপের উপকূলে সেই জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে এবং জাহাজটির মূল্যবান পদার্থগুলো অক্ষত রয়েছে। ১৮৮৫ সালে তৈরি করা এই যুদ্ধ জাহাজ প্রশান্ত মহাসাগরে রওনা হওয়ার আগে ভূমধ্যসাগর এবং বাল্টিক সাগরে কাজ করেছে। ডনস্কই যুদ্ধজাহাজ হলেও যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। বরং এটি নিজের বহরের পেছনে পড়ে গিয়েছিল এবং জাপানীরা এটিকে আক্রমণ করে ডুবিয়ে দেয়। খবরে বলা হয়েছে, ১৯০৫ সালে রাশিয়া ও জাপানের সুশিমা যুদ্ধে জাপানের বিজয় উদযাপনের জন্য দেশটির সৈন্যরা জাহাজটি আক্রমণের পর ফুটো করে দেয়। খবর প্রচলিত আছে, ডনস্কই প্রশান্ত মহাসাগরে রুশ বহরের ক্রুদের বেতন এবং ডক ফী পরিশোধের জন্য জাহাজভর্তি স্বর্ণসহ অন্যান্য বস্তু বয়ে আনছিল। অনুমান করা হয়, আজকের দিনে সেই স্বর্ণের মূল্য হতে পারে বিলিয়ন ডলার। তবে জাহাজে ওসব মূল্যবান ধাতু থাকার কোন অকাট্য প্রমাণ মেলেনি। বরং যুদ্ধজাহাজে করে স্বর্ণ আনার সম্ভাবনা নিয়ে গবেষক ও শিক্ষাবিদরা প্রশ্ন তুলেছেন। রাশিয়ার ফার ইস্টার্ন ফেডারেল ইউনিভার্সিটির প্রফেসর কিরিল কোলেসনিকেঙ্কো বলছেন, রাশিয়া কেন এই বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ জাহাজে পাঠাবে, যখন ট্রেনে বিনা ঝুঁকিতে সেটা পাঠানো যায়? তবু এই স্বর্ণের খোঁজে গত শতকে বেশ ক’টি নামী জাপানী এবং দক্ষিণ কোরীয় প্রতিষ্ঠান স্বর্ণ সমেত জাহাজটি উদ্ধারের চেষ্টা করেছে। ২০০১ সালে একটি কোরীয় প্রতিষ্ঠান জাহাজ খুঁজে বের করেছে দাবি করে, দেউলিয়া হয়ে যাবার কারণে তারা আর জাহাজটি তুলতে পারেনি। এখন শিনিল গ্রুপ বলছে, তারা ডনস্কইকে খুঁজে পেয়েছে। এটির উদ্ধার কাজের ফটো এবং ভিডিও ফুটেজ তারা সামাজিক মাধ্যমে আপলোড করেছে। -বিবিসি অবলম্বনে
×