ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৬:১৪, ২০ জুলাই ২০১৮

উবাচ

প্রতিদান দাও! স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময় বিএনপি সরাসরি বিরোধিতা করেছে। মৌলবাদ আর সন্ত্রাসী জামায়াতের রাজনীতির পক্ষে অবস্থান নেয়াতে বিএনপির গায়ে মৌলবাদ, সন্ত্রাসবাদ আর যুদ্ধাপরাধী দলের কালি লেগেছে। এত কিছুর পরও কথা রাখেনি জামায়াত। ঠিকই সিলেট সিটি নির্বাচনে নিজেদের প্রার্থী দাঁড় করিয়ে দিয়েছে দলটি। অনেক অনুনয়ের পরও জামায়াত তাদের প্রার্থী সরায়নি। জামায়াতে ইসলামের নিবন্ধন স্থগিত হওয়াতে এখন দলগতভাবে নির্বাচন করার সুযোগ নেই। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জামায়াত সিলেট সিটি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। সিলেট সিটি নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থী থাকলে দেশের গণতন্ত্র মরে যাবে বলে বিএনপি দাবি করছে। কিন্তু কেউ নির্বাচন করতে চাইলে তাকে বসিয়ে দেয়ার মানসিকতা কি গণতান্ত্রিক? বিএনপি এ কোন্ গণতন্ত্রের চর্চায় নেমেছে। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তো বলেছেন, তিনি প্রত্যাশা করেন দেশে ‘গণতন্ত্রের মৃত্যুর’ বিষয়টি উপলব্ধি করে জামায়াতে ইসলামী নিজেদের প্রার্থীকে বাদ দিয়ে বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবে। সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ধানের শীর্ষের প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী ছাড়াও জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মহানগর আমির এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। জুবায়েরকে বসিয়ে আরিফুলকে পাস করাতে চায় বিএনপি। কিন্তু জামায়াত তো উল্টো বলতে পারে, সব সিটিতে তো বিএনপি নির্বাচন করছে এখানে কেন জামায়াত নয়? যদি জোটই হবে তাহলে শরিকদের কথা কেন বিএনপি ভাববে না? জামায়াতের অনুধাবন আর প্রতিদানের আশায় রয়েছে বিএনপি। গাল দেয় কি করে! স্টাফ রিপোর্টার ॥ দুই বন্ধুর আলাপচারিতায় দেশের গণতন্ত্র আছে কি নেই, তা নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে। প্রথম বন্ধু বলছে, দেশে গণতন্ত্র নেই। দ্বিতীয় বন্ধুর প্রশ্ন, যেসব দেশে গণতন্ত্র নেই সেসব দেশে প্রকাশ্যে বলা যায় না গণতন্ত্র নেই। পৃথিবীর এমন বহু দেশ রয়েছে যেখানে এই পরিস্থিতি। কিন্তু দেশে সেটা বলা যায়। এর অর্থ হচ্ছে, দেশে কথা বলার অধিকার কেউ কেড়ে নেয়নি। প্রত্যেকদিন সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত টেলিভিশন টকশোতে যেভাবে সরকার এবং রাষ্ট্রকে গাল দেয়া হয়, তা অনেক উন্নত গণতন্ত্রের চর্চার দেশেও সম্ভব নয়। প্রায়ই মিথ্যে তথ্যের ওপর ভিত্তি করে যা তা বলে যান একশ্রেণীর মানুষ। এদের কেউ বাধা দেয়ার নেই। কেউ থামিয়ে দেয়ার নেই। অনেক ক্ষেত্রে এর কোন প্রতিবাদও হয় না। তাহলে, দেশে গণতন্ত্র থাকল না কি করে? আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্র না থাকত, তাহলে বিএনপি নেতারা প্রকাশ্য অগণতান্ত্রিক, অশ্রাব্য ভাষায় শেখ হাসিনা ও তার সরকারকে গালিগালাজ করতে পারত না। কাদের বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে অগণতান্ত্রিক ভাষায় কথা বলেও তারা বলছে, দেশে গণতন্ত্র নেই। টকশোতে গিয়ে তাদের নেতারা যে ভাষা ব্যবহার করেন, আমরা বিরোধী দলে থেকে করলে তারা রাস্তায় আটকাত। এসব অশ্রাব্য মিথ্যাচার করার পরও পল্টন অফিসের সাংবাদিক সম্মেলন বন্ধ করিনি, পুলিশ হস্তক্ষেপ করেনি। তারা স্বাধীনভাবে কথা বলছেন, তারপরও বলছেন দেশে গণতন্ত্র নেই। বেশি কমে অপরাধ স্টাফ রিপোর্টার ॥ এক সময় পাসের হার বেড়ে যাওয়ায় সকলে প্রশ্ন তুলেছিল ঠিকঠাক পরীক্ষা হচ্ছে না। খাতার মূল্যায়ন ঠিকমতো না হওয়াতে জিপিএ পাঁচ বেড়ে যাচ্ছে। বেশি বেশি পাস করছে। এই সমালোচনা তিন বছর ধরে নেই। তিন বছর ধরে নিম্নমুখী পাসের হার। ক্রমাগত কমছে সর্বোচ্চ জিপিএ। এর কারণ কী?- এমন প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী তুললেন পাসের হার যখন বেশি ছিল তখন এ নিয়ে প্রশ্ন উঠত। এখন তবে কেন প্রশ্ন। মন্ত্রী বলেন, আগে বেশি পাস করত; বলা হতো, ভালভাবে খাতা দেখা হয়নি। আবার যখন কম পাস করছে তখন বলা হচ্ছে, পাসের হার কমে গেল কেন? বৃহস্পতিবার দুপুরে আবার সংবাদ সম্মেলন করেন মন্ত্রী। সেখানেও পাসের হার ও জিপিএ ফাইভ ক্রমাগত কমার বিষয়ে প্রশ্ন রাখা হয় তার কাছে। এই প্রশ্ন শুনে খানিকটা অসহায় বোধ করেন নাহিদ। বলেন, বেশি পাস করলেও অপরাধ, কম পাস করলেও অপরাধ। আসলে, আমরা এটা নিয়ে কিছু বলতে চাই না। তবে খাতা দেখার মান ঠিক রাখতে গিয়ে পাসের সংখ্যা কিছুটা কম হবে, এটা স্বাভাবিক।
×