ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কিশোরীকে পাচার মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: ০৪:৩৫, ২০ জুলাই ২০১৮

কিশোরীকে পাচার মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোর শহরের নীলগঞ্জ সাহাপাড়ার এক কিশোরীকে ভারতে পাচার মামলায় দুই পাচারকারীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- ও অর্থদ- দিয়েছে আদালত। পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় একজনকে খালাস দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা জজ) অমিত কুমার দে এ রায় দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্তরা হলো, যশোর শহরের নীলগঞ্জ সাহাপাড়ার সাবিনা খাতুনের বাড়ির ভাড়াটিয়া শাহ আলম লিটুর স্ত্রী শরীফা আক্তার ওরফে আফরোজা ও সাতক্ষীরা কলারোয়ার ভাদিয়ালী গ্রামের মৃত এলাহী বক্স গাজীর ছেলে আব্দুস সাত্তার। জানা গেছে, আসামি শরীফা আক্তার আফরোজা নীলগঞ্জ সাহাপাড়ার সবিনা খাতুনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। আসামিরা তার কিশোরী মেয়েকে নানা প্রলোভন দেখাতেন। ২০০৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় আফরোজা ও তার স্বামী শাহ আলম লিটু মেয়েটিকে ফুঁসলিয়ে ভারতে নিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে তার মা ২৪ সেপ্টেম্বর আফরোজা ও তার স্বামী শাহ আলম লিটুকে আসামি দিয়ে অপহরণের অভিযোগে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্তকালে অপহৃত কিশোরী ভারত থেকে দেশে ফিরে পুলিশের মাধ্যমে আদালতে জবানবন্দী দেয়। জবানবন্দীতে সে জানায়, আসামি আফরোজা তাকে ফুঁসলিয়ে সাতক্ষীরা নিয়ে যায়। তার সঙ্গে আরও এক নারীকে নিয়ে আফরোজা ও আব্দুস সাত্তার ভারতে পাচার করে মুম্বাই শহরে নিয়ে যায়। এরপর পুলিশ তাকে আটক করে দেশে পাঠিয়ে দেয়। এ মামলার তদন্ত শেষে পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকায় আফরোজা ও আব্দুস সাত্তারকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মহসিন। চার্জশীটে আফরোজার স্বামী লিটুর অব্যাহতির আবেদন করা হয়। এরপর বিচারকালে আদালতের বিচারক তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগে এনে চার্জ গঠন করেন। এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি আফরোজা ও আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাদের প্রত্যেককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- ও ১ লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছেন। জরিমানা অনাদায়ে তাদের প্রত্যেকে আরও ২ বছর করে সশ্রম কারাদ-ের আদেশ দিয়েছেন। সাক্ষ্য প্রমাণে আসামি আফরোজার স্বামী লিটুর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বিচারক তাকে খালাস দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত দুইজন পলাতক রয়েছে।
×