ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে নামীদামী কলেজে আনন্দের বন্যা

প্রকাশিত: ০৪:৩১, ২০ জুলাই ২০১৮

চট্টগ্রামে নামীদামী কলেজে আনন্দের বন্যা

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে ২০১৮ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৬২ দশমিক ৭৩ শতাংশ। পাসের হার এবং গুণগত মান গতবারের চেয়ে বেড়েছে। তবে অন্যান্য শিক্ষা বোর্ডের তুলনায় এ বোর্ডের ফল খারাপ হয়েছে। বৃহস্পতিবার এইচএসসির ফল প্রকাশিত হয়। ভাল ফলের কারণে নগরীর নামী কলেজগুলোতে আনন্দের বন্যা। পাশাপাশি উল্টো চিত্র অপেক্ষাকৃত মধ্যম মানের কলেজগুলোতে। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের ফলে দেখা যায়, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তিন পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানের ২৫৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৯৬ হাজার ৮৫৮ শিক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৬০ হাজার ৭৫৫ জন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ গ্রেড জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৬১৩ জন। পাসের হারে সবচেয়ে এগিয়ে বিজ্ঞান বিভাগ। এ বিভাগের ৭৩ দশমিক ১১ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। এছাড়া ব্যবসা শিক্ষা বিভাগে ৬৮ দশমিক ০১ শতাংশ এবং মানবিকে ৫১ দশমিক ৬৯ শতাংশ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। এবার বোর্ডের অধীনে মোট ১শটি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, বরাবরের মতো এবারও সর্বাধিক পাসের হার এবং সর্বোচ্চ মান চট্টগ্রাম নগরীতেই। নগরীর পাসের হার ৭৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ। মহানগরসহ জেলায় পাসের হার ৬৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ। কক্সবাজার জেলায় পাসের হার ৬১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে সবচেয়ে ভাল ফল করেছে বান্দরবানের শিক্ষার্থীরা। এ জেলায় পাসের হার ৬২ দশমিক ৩১ শতাংশ। রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িতে যথাক্রমে ৪৯ দশমিক ৮৯ এবং ৩৬ দশমিক ৫১ শতাংশ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাহবুব হাসান বলেন, পরীক্ষার ফল খারাপ বলা যাবে না। বরং গতবারের চেয়ে ভাল। গতবছর বোর্ডে পাসের হার ছিল ৬১ দশমিক ০৯ শতাংশ। এবার তা বেড়ে হয়েছে ৬২ দশমিক ৭৩। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিল ১ হাজার ৩৯১ জন। এবার বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৬১৩ জন। তিনি বলেন, গতবছরের সঙ্গে তুলনা করলে চট্টগ্রাম বোর্ডের ফল সন্তোষজনক। তবে অন্যান্য বোর্ডের তুলনায় কিছুটা পিছিয়ে। জিপিএ-৫ উত্তীর্ণের সংখ্যাও কম বলে জানিয়ে তিনি বলেন, সব বোর্ডের হিসাবে গড়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে মোট উত্তীর্ণের ৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। কিন্তু চট্টগ্রাম বোর্ডে এ হার ২ দশমিক ৬৫। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়নে খারাপ ফল করেছে। ইংরেজী পরীক্ষার ফলও আরও ভাল হতে পারত। জিপিএ-৫ অর্জনে সেরা দশ ॥ চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের ফলে জিপিএ-৫ অর্জনের ভিত্তিতে সেরা দশ কলেজের শীর্ষে চট্টগ্রাম সরকারী কলেজ। এ কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৯৯ জন। এরপর বাকি ৯ কলেজ হল হাজী মুহম্মদ মহসিন কলেজ (৩২৯), সরকারী কমার্স কলেজ (১৫৫), সরকারী সিটি কলেজ (৮৯), চিটাগাং ক্যান্ট পাবলিক কলেজ (৭৮), চট্টগ্রাম সরকারী মহিলা কলেজ (৭৭), ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল এ্যান্ড কলেজ (৫৭), ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ (৫১), ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল এ্যান্ড কলেজ (৩৪) এবং কক্সবাজার সরকারী কলেজ (৩২)। পাসের হারে সেরা দশ ॥ চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড পাসের হার এবং ফলাফলের মানের ভিত্তিতে আরও একটি তালিকা প্রস্তুত করেছে। সে অনুযায়ী সেরা ১০ কলেজ হল হালিশহর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এ্যান্ড কলেজ (শতভাগ), চিটাগাং ইংলিশ স্কুল এ্যান্ড কলেজ (শতভাগ), ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ (শতভাগ), লংগদুর গুলশাখালি বর্ডার গার্ড কলেজ (শতভাগ), পোর্ট অথরিটি স্কুল এ্যান্ড কলেজ (৯৯.০৩%), পোর্ট অথরিটি গার্লস হাইস্কুল এ্যান্ড কলেজ (৯৮.৯৫), ক্যামব্রিয়ান স্কুল এ্যান্ড কলেজ (৯৮.৮০%), ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল এ্যান্ড কলেজ (৯৮.৬৬%), সরকারী কমার্স কলেজ (৯৮.৬০%) এবং বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এ্যান্ড কলেজ (৯৮.৪৫%)। এছাড়া সীতাকুন্ড গার্লস হাইস্কুল এ্যান্ড কলেজের পাসের হার শতভাগ। তবে এ প্রতিষ্ঠান থেকে মাত্র একজন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
×