ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিপিএল বাদ দিয়ে জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে সিরিজ

প্রকাশিত: ০৬:৪০, ১৯ জুলাই ২০১৮

বিপিএল বাদ দিয়ে জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে সিরিজ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল টি২০) যে এ বছর হচ্ছে না তা আগেই জানা গিয়েছে। বিপিএল বাদে এখন জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে সিরিজ করার কথা ভাবছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সেই কাজ অনেকখানি এগিয়েও গেছে। জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে যে সিরিজ হবে তা চূড়ান্তই বলা চলে। দুই একদিনের মধ্যে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুইয়ের মধ্যকার সিরিজের সূচীও ঘোষণা হয়ে যেতে পারে। বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন তা নিশ্চিতও করেছেন। সুজন বলেন, ‘খুব শীঘ্রই ফাইনালটা (সূচী) পেয়ে যাবেন। বিসিবি ও জিম্বাবুইয়ে ক্রিকেট অপারেশন্স ফাইনাল পর্যায়ে রয়েছে। হয়তো আগামী দু’একদিনের মধ্যে লিস্টটা পেয়ে যাবেন।’ অক্টোবরেই দুই দলের মধ্যকার সিরিজ হবে। দুই টেস্ট ও তিন ওয়ানডে ম্যাচের সিরিজ হবে। তাতে করে এক বছরের মধ্যে দুইবার ক্রিকেট খেলতে বাংলাদেশ সফর করবে জিম্বাবুইয়ে ক্রিকেট দল। এ বছর জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফর করেছিল জিম্বাবুইয়ে। আটমাস না যেতেই আবারও বাংলাদেশ সফরে আসবে দলটি। বিপিএল হবে না বিধায় সেটি সম্ভব হয়েছে। বিপিএল কেন হবে না? এ প্রশ্ন উঠতে পারে। সেই প্রশ্নের উত্তরও অনেক আগে থেকেই জানা। অক্টোবরের শুরুতে শুরু হওয়ার কথা ছিল বিপিএল। কিন্তু সামনেই জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচনের জন্য নিরাপত্তা জরুরী। তা আগে থেকেই জানা। এমন মুহূর্তে বিপিএল হলে অনেক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। আর তাই বিপিএলের ষষ্ঠ আসরটি এ বছর হচ্ছে না। সেই হিসেবে আগামী বছরের শুরুতেই বিপিএল আসর বসবে। আবার শেষদিকে আরেকটি বিপিএল হবে। বিপিএলের ষষ্ঠ ও সপ্তম আসর একই বছর হতে পারে। এক বছরে বিপিএলের দুই মৌসুম আয়োজিত হতে পারে। নির্বাচনের সময় জনগণের চোখ থাকবে নির্বাচনের দিকেই। আর এ সময়ে দেশের ঘরোয়া টি২০’র সবচেয়ে বড় আসর বিপিএলের আয়োজন নিয়ে শঙ্কা আছে। বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক বিপিএল না হওয়ার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘অক্টোবরে বিপিএল আয়োজন করা কঠিন হয়ে যাবে। কারণ পুরো দেশ তখন ব্যস্ত থাকবে নির্বাচন নিয়ে। তাই এ আসর আগামী জানুয়ারিতে আয়োজনের কথা ভাবছি আমরা।’ সঙ্গে নিরাপত্তার বিষয়টিও সামনে তুলে ধরেছিলেন তিনি, ‘নির্বাচনের ঠিক আগে তিনটি আলাদা ভেন্যুতে সাতটি দলের নিরাপত্তা দেয়া কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। যদি আমরা দলকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে না পারি তবে আমাদের নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। জানুয়ারিতে আমরা টুর্নামেন্টটি আয়োজন করতে পারি।’ খুলনা টাইটান্স, রাজশাহী কিংস, সিলেট সিক্সার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মালিকপক্ষের অনেকেই সংসদ সদস্য। তারা নির্বাচনে অংশ নেবেন। বিপিএল হলে তাদের জন্য সময় দেয়াও কঠিন। নির্বাচন নিয়েই তাদের ব্যস্ত থাকতে হবে। তবে মল্লিকের কাছে নিরাপত্তার বিষয়টিই সবার আগে প্রাধান্য পেয়েছে। তিনি বলেছিলেন, ‘সবকিছুর আগে দলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাটা আমাদের মূল উদ্দেশ্য। ফ্র্যাঞ্চাইজিদের অনেকেই নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত থাকবেন। কিন্তু আমাদের নজর থাকবে নিরাপত্তার দিকেই। যদি আমরা প্রতিটি দলকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে না পারি, সেক্ষেত্রে অনেক সমস্যা হতে পারে। অবস্থা যা দাঁড়িয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে এবারের মৌসুমের বিপিএল দেরিতেই আয়োজন করতে হবে।’ সেই দেরি মানে হচ্ছে আগামী বছর জানুয়ারিতে। এর আগে যে তা সম্ভবও নয়। যেখানে বিপিএল পিছিয়ে যাচ্ছে। এ বছর হচ্ছে না। সেখানে এই সময়টায় জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা কী করবেন? বিরতিতে থাকবেন। বিশ্রামে থাকবেন। এসব কিছু বিবেচনা করে জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে সিরিজ আয়োজনের চেষ্টা করা হচ্ছে। তা মোটামুটি চূড়ান্তও হয়ে গেছে। সিরিজ চললে দুটি দলকে নিরাপত্তা দিতে হবে। বাংলাদেশ ও জিম্বাবুইয়ে দলের ক্রিকেটাররা যেখানেই থাকেন, একই স্থানেই থাকবেন। একই স্টেডিয়ামে খেলবেন। তাই নিরাপত্তা দিতেও বেশি সমস্যা হবে না। ক্রিকেটারদের খেলার মধ্যে রাখতে তাই বিপিএল বাদে জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে সিরিজই আয়োজন করার চেষ্টা চলছে।
×