ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

‘যারা ফুটবল বোঝেন তারা ঠিকই অভিনন্দন জানাচ্ছেন’

প্রকাশিত: ০৬:৩৯, ১৯ জুলাই ২০১৮

‘যারা ফুটবল বোঝেন তারা ঠিকই অভিনন্দন জানাচ্ছেন’

শাকিল আহমেদ মিরাজ ॥ ২০ বছর পর বিশ্বকাপ পুনরুদ্ধারের উদযাপনে বুঁদ পুরো ফ্রান্স। প্যারিসে বীরের সংবর্ধনা পাচ্ছেন এ্যান্টনি গ্রিজম্যান, কিলিয়ান এমবাপে, পল পগবারা। অথচ এরই মাঝে একজনকে নিয়ে চলছে সমালোচনা। তিনি অলিভার জিরুড। চ্যাম্পিয়নদের হয়ে প্রতিটি ম্যাচ খেলেছেন ফরাসী স্ট্রাইকার। কিন্তু কোন ম্যাচে গোল নেই। নেই কোন এ্যাসিস্টও। তারচেয়েও অবাক করা বিষয়, তার একটি শটও ছিল না গোলমুখে। অথচ দুই ডিফেন্ডার ভারানে এবং উমতিতিও মহাগুরুত্বপূর্ণ সময়ে একটি করে গোল করেছেন। জিরুড সাত ম্যাচের সবকটি খেলেছেন, একটি লক্ষ্যভেদ তো করতেই পারেননি, গোল মুখেও নেই কোন শট। সমালোচকদের মতে একজন ফরোয়ার্ডের যা কাজ সেখানে ন্যূনতম অবদান ছাড়াই বিশ্বকাপ উঁচিয়ে ধরছেন জিরুড। নিন্দুকদের একহাত নিয়ে চেলসিম্যান বলেছেন, যারা ফুটবল বোঝেন তারা ঠিকই তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। এত শত সমালোচনা নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন ৩১ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড, ‘এসব নিয়ে ভাবনার কোন সময় নেই। বিশেষ করে ফ্রান্সে। আমি বিশ্বকাপে কোন গোল পাইনি ঠিকই। কিন্তু যারা ফুটবল বোঝে তাদের থেকে ভাল বার্তা পাচ্ছি। তারা অভিনন্দন জানাচ্ছে। কারণ তারা জানে আমি দলের হয়ে সর্বোচ্চটুকু উজাড় করে দেই।’ প্যারিসে সংবাদ মাধ্যমকে জিরুড আরও বলেন, ‘আমার পুরো ক্যারিয়ারেই আমি এরকম পরিস্থিতির শিকার হয়েছি। আমি কিভাবে বলব আমার ক্যারিয়ার এরকমই। আমি সবসময় এখান থেকে উঠে আসার চেষ্টা করেছি। সমালোচনা আমাকে অনুপ্রাণিত করে। কিভাবে আরও ভাল করা যায় সেটা নিয়ে চিন্তা করা যায়। জীবনটাও এরকম। এখানে অনুপ্রাণিত, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকতে হবে। ফুটবল কঠিন একটা খেলা। এখানে শুধু সবাই ভাল কাজটাকে মূল্যায়ন করে। কিন্তু আমরা এ সাফল্যের জন্য কঠোর পরিশ্রম করি। আমি গর্বের সঙ্গে বলতে চাই আমি একজন বিশ্বকাপ জয়ী খেলোয়াড়।’ জিরুডকে নিয়ে সমালোচনার শুরু বিশ্বকাপের আগের থেকেই। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে চেলসির হয়ে ১৮ ম্যাচে ৫ গোল আর ৩ এ্যাসিস্ট করে ফুটবলবোদ্ধাদের তোপের মুখে পড়েন এ ফরাসী স্ট্রাইকার। ৩১ বছর বয়সী এ স্ট্রাইকারকে নিয়ে চলছে সমালোচনা। বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়েও সেই সমালোচনা অব্যাহত ছিল। কিন্তু দিদিয়ের দেশম তার ওপর আস্থা রেখেছিলেন প্রতি ম্যাচেই। আস্থার প্রতিদান দিতে না পারলেও দেশম হতাশ হননি তার পারফর্মেন্সে। অন্যদিকে জিরুড ছিলেন বেশ সাবলীল। সমালোচনায় কান পাতেননি। উল্টো জানিয়ে দিলেন, সমালোচনা তাকে ভাল খেলতে উদ্বুদ্ধ করে। ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেন ৬ গোল করে শিরোপা জিততে পারেননি। বিশ্বের সবচেয়ে দামী খেলোয়াড় নেইমার গোল করেছেন দুটি, অন টার্গেট শটও একাধিক। হ্যাটট্রিকসহ ৪ গোল করেছেন আরেক তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো। তার কেউই পাননি শিরোপার স্বাদ। সেখানে জিরার্ডের খাতা শূন্য। তবুও স্বপ্নের সোনালি ট্রফিতে চুমো খাচ্ছেন তিনি।
×