মানুষের কাটা পা নিয়ে লৌহজংয়ে তোলপাড়

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ লৌহজংয়ের মাওয়া পুরাতন ফেরিঘাট এলাকায় মানুষের পায়ের কাটা অংশ নিয়ে তোলপাড় হয়েছে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে জনতার মাঝে। খবর পেয়ে পুলিশও ছুটাছুটি শুরু করে। কিন্তু আসল ঘটনা জেনে সবাই হতবাক। বুধবার সকাল ১০টায় খবর এলো মাওয়া পুরাতন ফেরিঘাটে মানুষের কাটা পা এর অংশ পাওয়া গেছে। পদ্মা সেতুতে কাজ করা আর্মির টহল বোট পার্টির নজরে আসে এটি প্রথম। তারা খবর দেয় মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়িতে। সেখান থেকে খবর আসে লৌহজং থানায়। বাইকে একজন কনস্টেবল নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটলেন লৌহজং থানার এসআই হাফিজুর রহমান। কাটা পা দেখার আগেই নৌ-ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আরমান হোসেনের কাছে তিনি ঘটনা জানলেন। তার পর শুরু করলেন কাটা পায়ের সুরতহাল। এ সময় তিনি দেখতে পান পলিথিনের ব্যাগে রাখা মানুষের টাকনুর পর থেকে কাটা বাম পায়ের অংশ। প্রথমেই তার চোখে পড়ল একটি এমফল (ইনজেকশনের শিশি)। ভাল করে দেখার পর পায়ে অনেকগুলো সেলাইয়ের চিহ্ন চোখে পড়ল তাঁর। মনে হলো এটা ডাক্তারি কেস। ঠিক করল সুরতহাল করে থানায় এসে সিনিয়র স্যারদের সঙ্গে আলাপ করে ব্যবস্থা নেবে। যাই হোক মোটামুটি সুরতহাল করে ফরমে সাক্ষী নেয়া শুরু করলেন। এর মাঝে একজন জানাল পাশের ৬০ বয়সী এক ডায়াবেটিক রোগী পায়ে উস্ঠা খেলে তাতে ইনফেকশন হয়ে যায়। পরে পা কেটে ফেলে দিতে হয়েছে। হাসপাতালের ক্লিনাররা কাটা পা ফেলতে এক হাজার টাকা চাইলে রোগীর স্বজনরা ঢাকা থেকে কাটা পা বয়ে এনে বাড়ির পাশের লৌহজং মাওয়া পুরাতন ফেরিঘাট সংলগ্ন পদ্মা নদীতে ফেলে দেয়। এরই মধ্যে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন লৌহজং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজিব খান। তিনি সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে কাটা পা এর অংশটি যার পা তার স্বজনদের দিয়ে মাটিতে পোঁতার ব্যবস্থা করেন।