স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ অবশেষে উখিয়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মুহাম্মদ ইকবাল হোছাইনের বিরুদ্ধে এক কোটি ৩১ লাখ টাকার দুর্নীতি মামলা দায়ের হয়েছে। বুধবার সকালে কক্সবাজার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে এ্যাডভোকেট ছলিম উদ্দিন বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মামলাটি গ্রহণ করে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য ও আইনজীবী বাদী ছলিম উদ্দিন মামলার আর্জিতে উল্লেখ করেন, উখিয়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মোঃ ইকবাল হোছাইন একজন ঘুষখোর, মিথ্যুক, অর্থলোভী ও দুর্নীতিপরায়ণ লোক। তিনি ঘুষ ছাড়া কিছুই চেনেন না ও বুঝেন না বলে আর্জিতে বাদী বলেন, ঘুষ দুর্নীতির মাধ্যমে ইকবাল হোছাইন উখিয়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার কারণে স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর সুপেয় নিরাপদ পানি নিশ্চিতকরণে সরকার ১ হাজারটি গভীর নলকূপ বরাদ্দ করে। ওই কর্মকর্তা স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে (হোস্ট কমিউনিটি) প্রতিটি নলকূপ স্থাপনে ২০ হাজার টাকা হারে ঘুষ গ্রহণ করেছেন।
পাঁচশ’ জনের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন এক কোটি টাকা। এছাড়াও আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মধ্যে বিভিন্ন এনজিওর বিতরণ ও স্থাপিত নলকূপের পানি ব্যবহারযোগ্য না হয়েও প্রত্যয়ন প্রদান করে ৩০ লাখ টাকা এবং মিথ্যা ভাউচার সৃজন করে এক লাখ টাকা সরকারের কোষাগার থেকে উত্তোলন করেছেন তিনি। দীর্ঘকাল দুর্নীতির মাধ্যমে ওই উপসহকারী প্রকৌশলী বর্তমানে কোটি কোটি টাকার মালিক। নিজ, স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের নামে এফডিআরসহ ব্যাংকে কোটি কোটি টাকা জমা রয়েছে।
দুর্নীতির টাকায় তিনি ঢাকা-চট্টগ্রামে খরিদ করেছেন ফ্ল্যাট বাড়ি। উল্লেখ্য, গত ১০ জুলাই দৈনিক জনকণ্ঠে ‘উখিয়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল যেন দুর্নীতির আখড়া’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এতে পুরো জেলাজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী ঋত্বিক চৌধুরী বুধবার জনকণ্ঠকে বলেন, অভিযোগ পেয়ে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়া হয়েছে। তবে এখনও জবাব পাওয়া যায়নি।