ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

যশোরে ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুতের খুঁটি

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ১৯ জুলাই ২০১৮

যশোরে ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুতের খুঁটি

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোর শহরের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের খুঁটিগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এর ফলে যে কোন সময় প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকার বেশিরভাগ বিদ্যুতের খুঁটি গাছপালা যুক্ত, চলাচলের পথে কিংবা ঘরবাড়ি ও মার্কেটের সঙ্গে লাগানো। এছাড়া, ঝুঁকিপূর্ণ খুঁটির কারণে বিদ্যুতের শট সার্কিট থেকে আগুনেরও সূত্রপাত হতে পারে। শহরের বড় বাজারের বিদ্যুতের খুঁটিগুলো মারাত্মক অবস্থায় রয়েছে। একটি খুঁটি থেকে একাধিক সংযোগ টানা হয়েছে ব্যাপক ঝুঁকি নিয়ে। বিশেষ করে, বড়বাজারের কাঁচামাল ও মাছের দোকানগুলোতে, আরএন রোড, সিটি কলেজপাড়া, রেলস্টেশন এলাকা, মুজিব সড়ক, কালেক্টরেট মার্কেট, হাসপাতাল মোড়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একাধিক সংযোগ টানা হয়েছে। আবার অনেক খুঁটি লতা জাতীয় গাছে ভরে গেছে। শহর ঘুরে দেখা গেছে, যশোর পৌরসভার বিভিন্নস্থানে ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুতের খুঁটি রয়েছে। এর মধ্যে আছে পরিত্যক্ত লোহার খুঁটিও। যে কোন সময় এসব ভেঙ্গে পড়ে প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটতে পারে। শহরের জজকোর্ট মোড়ে আবু বকর সিদ্দিক নামে এক হকার জানান, পেটের দায়ে বিদ্যুতের খুঁটির নিচে ব্যবসা করছি। বৈদ্যুতিক খুঁটির তারের ওপর আগাছা জন্মেছে। যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। শহরের সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে ভূইয়া মাহবুব লতিফ নামে এক ব্যক্তি জানান, প্রতি জুম্মার দিন এ মসজিদে অনেক ভিড় হয়। যার কারণে অনেক সময় মুসল্লিদের মসজিদের বাইরে নামাজ আদায় করতে হয়। মসজিদের সামনের আগাছাপূর্ণ বৈদ্যুতিক খুঁটির পাশে অনেক মুসল্লি নামাজ আদায় করেন। যে কোন সময় এখানে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বড় বাজারের মৎস্য ব্যবসায়ী হরেন ঠাকুর জানান, সেখানে একাধিক দোকানের বিদ্যুতের লাইন একই স্থান থেকে নেয়া। একজনের মিটার থেকে কমপক্ষে ২০ জন বিদ্যুতের সংযোগ নিয়েছেন। প্রতিমাসে তাদের ওপর ধার্যকৃত টাকা লাইন মালিককে পরিশোধ করে দেন। এক স্থান থেকে একাধিক সংযোগ অবৈধ। তবে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে জেনেও ব্যবসার জন্য তারা ঝুঁকি নিচ্ছেন। শহরের পুরাতন কসবা ঘোষপাড়া এলাকার প্রভাকর সাহা নামে এক বাসিন্দা জানান, এলাকার বিভিন্ন সড়কের রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে। একে বিদ্যুতের খুঁটি আগাছাপূর্ণ অপরদিকে খুঁটিগুলো ড্রেনের পাশে এখনও যে দাঁড়িয়ে আছে। দেখে মনে হয় বিদ্যুতের খুঁটি না, এ যেন মরণ ফাঁদ। একজন বিদ্যুৎকর্মী জানান, প্রতি ছয় মাস অন্তর আগাছা এবং গাছ পরিষ্কার করা হয়। যশোর শহরে বিভিন্ন সময়ে বিদ্যুতের শট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে অতিদ্রুত ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুতের খুঁটিগুলো সরিয়ে ঝুঁকিমুক্ত করার দাবি জানিয়েছে শহরের বিশিষ্টজনেরা।
×