ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার আশঙ্কায় অর্থপাচার বাড়ছে

প্রকাশিত: ০৬:২২, ১৯ জুলাই ২০১৮

রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার আশঙ্কায় অর্থপাচার বাড়ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ নির্বাচনের বছরে দেশে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার আশঙ্কায় অর্থপাচার বাড়ছে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। তাদের মতে, অবৈধপথে অর্থ অর্জনের পরিমাণ বেড়ে যাওয়াই পাচারের অন্যতম কারণ। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের অনুসন্ধানেও আমদানি-রফতানির আড়ালে অর্থপাচার বৃদ্ধির সত্যতা মিলেছে। সংস্থাটি বলছে, অর্থপাচারের সঙ্গে প্রভাবশালীরাই জড়িত, অবহেলা আছে ব্যাংক কর্মকর্তাদেরও। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, অর্থপাচাররোধে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। অর্থপাচার নিয়ে নির্বাচনের বছরে বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে উদ্বেগ প্রকাশের ঘটনা নতুন নয়। গবেষণামতে, আমদানি-রফতানির আড়ালে অর্থপাচারের বেশিরভাগ ঘটনা ঘটছে। সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরের জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ৮ মাসে আগের বছরে ঠিক একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৭ শতাংশ রফতানি প্রবৃদ্ধির বিপরীতে আমদানি বাড়ে ২৫ শতাংশের বেশি। যার মধ্যে বড় অংশই ছিল মূলধনী যন্ত্রাংশ, শিল্পের কাঁচামাল। যুক্তিসঙ্গত কোন কারণ ছাড়া হঠাৎ এমন আমদানি বৃদ্ধিকে সন্দেহের চোখে দেখছেন অর্থনীতিবিদরা। পিআরআই’র নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, বাংলাদেশ অবৈধ টাকা আয়ের অন্যতম একটি দেশ। এই টাকাই বাইরে চলে যায়। এছাড়া রাজনৈতিক অস্থিরতাও টাকা পাচারের অন্যতম কারণ। মূলত আমাদানি পণ্যের দাম বেশি ও রফতানি পণ্যের দাম কম দেখিয়ে এবং হুন্ডি ও স্বর্ণ চোরাচালানের মতো উপায়ে টাকা পাচার হয় বিদেশে। চট্টগ্রাম বন্দরের শুল্ক গোয়েন্দার অনুসন্ধানে বিভিন্ন সময় এক পণ্যের নামে অন্য পণ্য বা আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য আমদানির ঘটনা ধরা পড়ে। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের কাছে এসব প্রবণতা বাড়ার তথ্যও আছে বলে জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দা মহাপরিচালক ড. শহিদুল ইসলাম।
×