ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

গোয়েন্দাদের সিদ্ধান্ত মেনে নিলেন তিনি

নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ ॥ একদিন পরই সুর পাল্টালেন ট্রাম্প

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ১৯ জুলাই ২০১৮

নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ ॥ একদিন পরই সুর পাল্টালেন ট্রাম্প

মাত্র একদিন আগে নাকচ করে দিলেও এখন রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ মেনে নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়া হস্তক্ষেপ করেছিল বলে গোয়েন্দা সংস্থার বক্তব্য মেনে নিচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলছেন, সোমবারের বক্তব্যে তিনি ভুল বলেছিলেন। আসলে তিনি বলতে চেয়েছিলেন, রাশিয়া ওই নির্বাচনে ভূমিকা রেখেছে, সেটা মনে না করার কোন কারণ নেই। খবর বিবিসির। সর্বশেষ বক্তব্যে তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ওপর তার পূর্ণ বিশ্বাস ও সমর্থন রয়েছে। যদিও তিনি ভøাদিমির পুতিনের নিন্দা জানাবেন কিনা, সেই প্রশ্নের কোন জবাব দেননি ট্রাম্প। ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কিতে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর একজন সাংবাদিক জানতে চান, ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে কোন ধরনের ভূমিকা থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। যদিও সব মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানতে পেরেছে যে, রাশিয়ার ভূমিকা ছিল। আপনি কাকে বিশ্বাস করেন? তার উত্তরে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমার লোকজন আমার কাছে এসেছিল, তারা বলেছে, তারা মনে করে রাশিয়ার ভূমিকা ছিল। প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, তিনি বলেছেন, এটা রাশিয়ার কাজ নয়। আমি বলব, আমি এমন কোন কারণ দেখতে পাই না যে, তারা কেন এটা করবে। ট্রাম্প বলছেন, তিনি পুরো ঘটনার বর্ণনা পর্যালোচনা করে দেখেছেন এবং একটি ব্যাখ্যা দেয়া দরকার বলে মনে করেন। আমার বক্তব্যে একটি প্রধান বাক্যে আমি বলেছিলাম, তারা (রাশিয়া) কেন এটা করবে? আসলে সেটা হওয়ার কথা, তারা কেন করবে না? বাক্যটা হওয়ার কথা এমন, আমি এমন কোন কারণ দেখতে পাই না, কেন এটা রাশিয়া হবে না? বলছেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও যোগ করেন, আমাদের গোয়েন্দারা যে সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন যে, ২০১৬ সালের নির্বাচনে রাশিয়া হস্তক্ষেপ করেছে, সেই সিদ্ধান্ত আমি গ্রহণ করেছি। হয়তো আরও অনেকেই করেছে, করার মতো আরও অনেকেই রয়েছে। যদিও ওই হস্তক্ষেপে নির্বাচনে কোন প্রভাব পড়েনি বলেও বলছেন ট্রাম্প। সোমবারের ওই সামিটের পর রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট, উভয় পক্ষই ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করে বলেন, নিজের গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বাদ দিয়ে ট্রাম্প রাশিয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। অনেক আইনপ্রণেতা আরও আহত হয়েছেন এই কারণে যে, রাশিয়া এবং পুতিনের বিষয়ে নির্দিষ্ট সমালোচনা করতে রাজি হননি ট্রাম্প। বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন ভুলের কথা বলছেন, কিন্তু ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গেছে। হোয়াইট হাউস এখন যতই বিবৃতি দিক না কেন, রুশ প্রেসিডেন্টের পাশে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি আটকে গিয়েছিলেন। কোন ব্যাখ্যাই সেটা আর পাল্টাতে পারবে না।
×