ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জীবনের মূল্য নেই!

প্রকাশিত: ০৪:৪১, ১৯ জুলাই ২০১৮

জীবনের মূল্য নেই!

গাড়ি যত ছোট হবে ঝুঁকি ততই বাড়ে। গাড়ির চাকার সংখ্যা যতই কম দুর্ঘটনার হার তার ততই বেশি। এ হিসাবে মোটরসাইকেলে ভ্রমণে ঝুঁকি বা রিস্ক সবচেয়ে বেশি। আর গতি যদি বেপরোয়া থাকে তাহলে তো কথাই নেই! নিজেও ঝুঁকিতে আবার পথচারীকেও ঝুঁকিতে রাখবে! বাংলাদেশে, বিশেষ করে ঢাকা শহরে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশ বেড়েছে। এ বাহনটি দিনে-দিনে যেমন জনপ্রিয় হচ্ছে, তেমনি মোটরসাইকেল চালকদের বিরুদ্ধে বেপরোয়া আচরণের অভিযোগও জোরালো হচ্ছে। একই সঙ্গে মোটরসাইকেল আরোহীদের দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান ও ভারি হচ্ছে। সম্প্রতি এ হার বেড়েই চলেছে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে। সময় হাতে না নিয়ে দ্রুতগতিতে কর্মস্থল বা কাক্সিক্ষত স্থানে পৌঁছাতে অনেকে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালান। অনেকসময় আরোহীসংখ্যা দুই এর বেশি হয়। অনেক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করে থাকেন বাইক চালক ও আরোহীগণ। এতে ড্রাইভে মনোযোগ কমে গিয়ে দুর্ঘটনার কারণ হয়। তীব্র যানজটের ঢাকা শহরে দ্রুত গতিতে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাবার জন্য মোটর সাইকেলের কোন বিকল্প নেই বলে মনে করেন আরোহীরা। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে মোটরসাইকেল একটি ঝুঁকিপূর্ণ বাহন। চার চাকার বাহনের তুলনায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ঝুঁকি ৩০ গুণ বেশি বলে গবেষকেরা মনে করেন। মানুষ নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এ বাহনটির দিকে আকৃষ্ট হচ্ছে। শহরের বিভিন্ন জায়গায় সুযোগ পেলেই বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো কিংবা ফুটপাথের ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল চালানো একটি নিত্য-নৈমত্যিক ঘটনা। পথচারীদের অভিযোগ, অনেক মোটরসাইকেল আরোহী ফুটপাথের ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল চালানো তাদের অধিকার বলে মনে করে। তাছাড়া রাস্তার সিগন্যালে অপেক্ষার ধৈর্যও তাদের থাকে না বলে অভিযোগ রয়েছে। অনেকক্ষেত্রে চালক পা-হাত ছেড়ে দ্রুতগতিতে গাড়ি চালিয়ে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায়। এতেও দুর্ঘটনা ঘটে। ঈদ বা কোন উৎসবে নবীন বা অদক্ষ চালকেরা বেপরোয়া গতিতে মোটরবাইক চালিয়ে থাকে। যাদের বেশিরভাগ অংশই তরুণ। আবেগের বশবর্তী হয়ে তীব্র গতিতে মোটরবাইক চালাতে গিয়ে দুর্ঘনার শিকার হয় অনেকে। কলার খোসা বা কর্দমাক্ত পিচ্ছিল রাস্তায় গতি বেশি থাকলে প্রাণহানি ঘটে। যা আমাদের কাম্য নয়। সময় বাঁচাতে নিয়মের বাইরে চলাচল করছেন মোটরসাইকেল চালকেরা। সিগন্যালে দীর্ঘ সময়েও যখন ট্রাফিক পুলিশের হাতের ইশারা মেলে না, তখন তারা একটু এদিক সেদিক দিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সুযোগমতো বাইক উঠিয়ে দেন ফুটপাথে। তীব্র হর্ন দিয়ে দুরন্ত গতিতে ফুটপাথের ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল চলার দৃশ্য রাজধানীতে যেন স্বাভাবিক হয়ে গেছে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে বাংলাদেশে প্রায় ৩৮ ভাগ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা মহাসড়কে ঘটেছে বৃষ্টির মৌসুমে রাতের বেলা। অন্য গাড়ি তাদের ধাক্কা দিয়েছে কিংবা রাস্তায় বাইক পিছলে গেছে। দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়াও দুর্ঘটনার একটি কারণ। অদক্ষ চালক, অবৈধ ওভারটেক, পুরাতন যন্ত্রাংশ, মোবাইলে কথা বলতে বলতে ড্রাইভ করতে থাকা ইত্যাদির জন্য মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। দামুরহুদা, চুয়াডাঙ্গা থেকে
×