ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অমিত দাস

এ যেন মারণবাহন

প্রকাশিত: ০৪:৪০, ১৯ জুলাই ২০১৮

এ যেন মারণবাহন

মানুষ তার জীবনজীবিকা নির্বাহ করার জন্য জীবনকে আজ বিলিয়ে দিচ্ছে যানবাহনের চাকার নিচে। নানা প্রয়োজনে মানুষকে ঘরের বাইরে যেতে হয়। আগেকার দিনে মানুষ গরুরগাড়ি নৌকা কিংবা হেঁটে পথ পাড়ি দিত কিন্তু এখন আর সেইদিন নেই। দিন বদলে গেছে, এখন আর মানুষ খুব বেশি একটা হাঁটে না। আগে জমিদার বা বড়লোকেরা ঘোড়ার গাড়ি ব্যবহার করত। এখন মধ্যবিত্ত বা বড়লোকেরা মোটরগাড়ি কিনে যাতায়াত করে সময় বাঁচায় কিংবা বিনোদন ভ্রমণ ঘোরাফেরা করে। কিন্তু মোটরগাড়ি নামক এই বিনোদন বাহন মাঝে মাঝেই ঘোর বিপদ ডেকে আনে কানে আসে অনেক জীবনহানির ঘটনার খবর। কিন্তু কেন মানুষকে আজ মোটরগাড়ি চালানোর মূল্য দিতে হচ্ছে? মৃত্যুর মধ্য দিয়ে আজ মানুষের জন্য মোটরগাড়ি কি মারাত্মক মরণসওয়ার হয়ে দেখা দিয়েছে। রাস্তাঘাটে চলতে গিয়ে চোখে পড়ে এদেশের হাজার হাজার বাঙালী যুবক তুর্কিতরুণের মতো তুফান বেগে মোটরগাড়ি হাঁকিয়ে চলেছে বাতাসের বেগে। যেন তারা ভুলে গেছে যে তাদের শরীরটা মানুষের এবং তা রক্তেমাংসে গড়া লোহা নয় আর এভাবেই তারা গতিকে ভালবাসতে গিয়ে তাদের জীবনে দুর্গতি ডেকে আনে। দুর্ভাগ্য বরণ করে। এই বিপদের হরেকরকম কারণ আছে। রাস্তায় কে কার আগে যাবে কত বেশি গতি বাড়ানো যায়। অনেক সময় দুঃসাহস অন্য যানবাহনকে পরোয়া না করা চালকের আত্মঅহংকার কিংবা বেপরোয়া গতিতে মোটরবাইক চালিয়ে বন্ধুদের তাক লাগিয়ে দেয়া। বন্ধুদের কাছ থেকে বাহবা আদায় করে নেয়ার নেশা। অনেক সময় দেখা যায় বাড়িতে একটি মোটরবাইক আছে। একটু একটু চালানো শিখেই ছেলেরা রাস্তায় নেমে পড়ে। তাদের চালানোর অভিজ্ঞতা খুব বেশিদিন নয়, আর মোটরবাইক চালানোর ড্রাইভিং লাইসেন্স মনে হয় বাস ট্রাক চালকদের লাইসেন্সের মতো এত কড়াকড়ি নেই। অসচেতনার দরুন চারজন নিয়েও মোটর চালাতে দেখা যায়। ট্র্যাফিক আইন না মানার প্রবণতা দৃশ্যমান হয়। একটু সুযোগ পেলেই হয়ত দেখা গেল সামনে রেলক্রসিং রেলওয়ে গেটম্যান ট্রেন আসতে দেখে বা ট্রেনের হুইসেল শুনে বারফেলে রাস্তার ক্রসিং আটকে দিল কিন্তু মোটরগাড়ি চালক তখনও কি করে ক্রসবারের সাইড দিয়ে অথবা বার একটু উঁচিয়ে গেটম্যানের নিশান ও নির্দেশনাকে তোয়াক্কা করছে না। চন্দ্রনাথ ডিগ্রী কলেজ, নেত্রকোনা থেকে
×