স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ প্রমত্তা পদ্মা এখন প্রবল ¯্রােত। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের পানিতে উত্তাল পদ্মা। সেই সঙ্গে বড় বড় ঢেউ। এসব কারণে নৌযান চলাচল বিঘিœত হচ্ছে। তবে অবস্থা কিছুটা সহনীয় হওয়ায় ২৪ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে লঞ্চ ও সিবোট চলাচল শুরু হয়েছে। ফেরি ৭টির স্থলে এখন চলছে ১৪টি। তবে তারপরও যানজট কমেনি। মাওয়ায় প্রান্তে ৫শ’ ট্রাক পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। শিমুলিয়া ঘাট ছাড়িয়ে ট্রাকের লাইন দোগাছির পদ্মা সেতুর সার্ভিস এরিয়া পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির এজিএম খন্দকার শাহ মোঃ খালেদ দুপুরে জানান, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে সোমবার সকাল থেকে লঞ্চ, সিবোটসহ অন্যান্য নৌযান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। ¯্রােতের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পারায় ফেরি চলাচলও সীমিত করা হয়েছিল। বহরের ১৬টি ফেরির মধ্যে কোনক্রমে চলতে পারছে মাত্র ৭টি ফেরি। তবে মঙ্গলবার সকাল থেকে চলছে ১৪টি। তাও ধীরে ধীরে। তাই পারাপারে সময় লাগছে বেশি। তাই ঘাটে দেখা দিয়েছে যানজট। পারাপারের অপেক্ষা রয়েছে পাঁচ শতাধিক ট্রাক যান। তবে যাত্রীবাহী যানগুলোকে আগে পারাপার করা হচ্ছে।
এ দিকে লঞ্চ ও সিবোট বন্ধ থাকায় যাত্রীদের ভিড় পড়েছে ফেরিতে। ফলে ঘাট এলাকায় পারাপারের অপেক্ষায় আছে যানবাহনের দীর্ঘ সারি। এ পথে যাতায়াতকারী যাত্রী ও যানবাহন শ্রমিকদের দুর্ভোগ এখন চরমে উঠেছে। আটকে পড়া ট্রাকচালক ও শ্রমিকরা এখন সময় পার করছে তাস খেলে। কয়েক দিন ধরে আটকে থাকায় অনেকের হাতের টাকা পয়সা খাওয়া-দাওয়ায় শেষ হয়ে গেছে। তাই তারা অনেকেই মালিকের কাছ থেকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে টাকা এনে এখন খাবার খরচ চালাচ্ছেন। তারা জানেনা কবে কখন তারা ফেরিতে উঠতে পারবে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: