ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষিত ॥ দেড় লাখ টাকায় মীমাংসার চেষ্টা

প্রকাশিত: ০৬:৫০, ১৮ জুলাই ২০১৮

প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষিত ॥ দেড় লাখ টাকায় মীমাংসার চেষ্টা

নিজস্ব সংবাদদাতা, কেশবপুর, ১৭ জুলাই ॥ কেশবপুরের গৌরীঘোনা ইউনিয়নে ১৫ বছরের এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। অভিযুক্ত ইউনুস ফকির (৫০) ওই গ্রামের বাসিন্দা ও গৌরীঘোনা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ধর্ষিতার বাবা-মা এলাকার মাতব্বরদের জানালে তারা গ্রাম্য সালিশে মীমাংসা করার কথা বলে থানায় অভিযোগ করতে দেয়নি। রবিবার রাতে অভিযুক্তকে বাঁচাতে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে স্থানীয় প্রভাবশালীরা মীমাংসার নামে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছে। তাদের হুমকির মুখে ওই কিশোরীর পরিবার থানায় অভিযোগ করতে সাহস পাচ্ছে না। বুধবার কেশবপুর উপজেলার গৌরীঘোনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, গত বুধবার সকালে মায়ের সঙ্গে মাঠে যায় ওই কিশোরী। সেখান থেকে একা বাড়িতে আসার পথে মিষ্টি কিনে দেয়ার কথা বলে গৌরীঘোনা বাজারের নিজের রাইচ মিল ঘরে ডেকে নিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ইউনুস ফকির। ওই সময় বৃষ্টি শুরু হলে এলাকার কুলসুম নামের এক নারী মিলঘরে আশ্রয় নিতে গিয়ে ধর্ষণের ঘটনা দেখে ফেলে। বিষয়টি কুলসুম মেয়ের পরিবারকে জানায়। পরে পরিবারের কাছে ধর্ষণের বিস্তারিত ঘটনা জানায় ওই প্রতিবন্ধী কিশোরী। এ বিষয়ে মেয়ের পরিবার স্থানীয় সাবেক এক চেয়ারম্যানের কাছে জানায়। তিনি গৌরীঘোনা বাজারে মিতালী সংঘ নামে একটি ক্লাবে অভিযোগ করতে বলেন। অভিযোগের পর ওই ক্লাবে বসেই ঘটনাটি মীমাংসা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এক পর্যায়ে প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকার মাধ্যমে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়া হয়। রবিবার রাতে সালিশের নামে এলাকার মাতব্বররা গোপনে মোটা অঙ্কের টাকা নেয় ইউনুস ফকিরের কাছ থেকে। পরে ভুক্তভোগী গরিব প্রতিবন্ধী কিশোরীর পরিবারকে নামমাত্র টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে বলে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন ধর্ষিতার পরিবার। জরিমানার অর্ধেকের বেশি টাকা মাতবারদের পকেটে গেছে বলে জানা গেছে। তারা বলেন, এলাকার মাতব্বর শফিকুল ইসলাম, আবু সাঈদসহ একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তি বিভিন্নভাবে আমাদের চাপ প্রয়োগ করে থানায় অভিযোগ দিতে দেয়নি এবং রবিবার রাতে সালিশ করে ধর্ষক ই্্উনুস ফকিরকে জরিমানা করেন।
×