ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

২১ জুলাই ঢাকায় বৃহৎ সমাবেশ চায় আওয়ামী লীগ

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ১৭ জুলাই ২০১৮

 ২১ জুলাই ঢাকায় বৃহৎ সমাবেশ চায় আওয়ামী লীগ

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আগামী ২১ জুলাই রাজধানী ঢাকায় বড় ধরনের রাজনৈতিক শোডাউন করবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে গণসংবর্ধনার ওই দিন বিপুল মানুষের স্রোত নামিয়ে রাজনৈতিক শক্তির মহড়াও দেখাতে চায় দলটি। আয়োজকদের আশাবাদ, ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত গণসংবর্ধনাকে জনসমুদ্রে রূপ দিতে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় কর্মসূচী হলেও এদিন সরকারের জনপ্রিয়তার জানান দিতে স্মরণকালের বৃহৎ সমাবেশ ঘটাতে চান তারা। মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপণ, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ, অস্ট্রেলিয়ায় গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ এ্যাওয়ার্ড এবং সর্বশেষ ভারতের কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিলিট ডিগ্রী অর্জন করায় শেখ হাসিনাকে এই সংবর্ধনা দেবে আওয়ামী লীগ। দলটির ভাষ্য, এদের অভূতপূর্ব ও ঈর্ষণীয় এসব অর্জন এবং উন্নয়নের একমাত্র অধিনায়ক শেখ হাসিনা। উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়া সম্ভব হয়েছে একমাত্র শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের কারণেই। দলনেতার এসব কৃতিত্বকে স্মরণীয় করতে গণসংবর্ধনার আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। দলীয় সূত্র জানিয়েছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আয়োজিত এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বড় ধরনের শোডাউন করতে চায় আওয়ামী লীগ। শুধু আওয়ামী লীগ নয়, এ গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির মিলন মেলায় পরিণত করারও প্রক্রিয়া চলছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণকারী সব শ্রেণী-পেশার মানুষের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হবে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে। আয়োজকদের প্রত্যাশা, সংবর্ধনায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষকলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, শ্রমিকলীগ, ছাত্রলীগের সব ইউনিটের নেতাকর্মীর অংশগ্রহণ থাকবে নজিরবিহীন। এদিন পুরো সোহরাওয়ার্দী মাঠ নয়, আশপাশের এলাকা জনারণ্যে পরিণত করতে চায় ক্ষমতাসীন দলটি। ঢাকা মহানগরী ছাড়াও ঢাকার পার্শ্ববর্তী মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, আশুলিয়া ও মুন্সীগঞ্জ জেলার বিপুল নেতাকর্মী যোগ দেবে। বাস, ট্রাক ও রেলপথে নেতাকর্মী ঢাকায় এসে বর্ণিল মিছিলসহকারে সোহরাওয়ার্দী ময়দানে সমবেত হবে। প্রস্তুতি অনুযায়ী ঢাকা ও ঢাকার বাইরের সংসদ সদস্য ছাড়াও সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরাও মিছিলসহকারে সমাবেশে যোগ দেবে। ২১ জুলাই বিকেল ৩টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণসংবর্ধনায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপণে অবদান রাখায় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এবং তারও উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সফল করতে ধারাবাহিকভাবে বৈঠক চলছে। সর্বশেষ সোমবার বিকেলে ১৯ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ ২য় তলায় প্রধানমন্ত্রীকে গণসংবর্ধনার প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইতোমধ্যে ৮ জুলাই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা জেলা, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, গাজীপুর মহানগর, নারায়ণগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ও মুন্সীগঞ্জের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ আশপাশের জেলা-মহানগরের অন্তর্গত দলীয় জাতীয় সংসদ সদস্য নিয়ে যৌথসভা করেছেন। ঐ সভায় সহযোগী সংগঠনের নেতাদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া হয়। এরপর স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, যুব মহিলা লীগসহ কয়েকটি সংগঠন নিজেদের প্রস্তুতি সভাও করে। বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এবং বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর নেতৃত্বে মঞ্চ, মাঠ ও আশপাশের সাজসজ্জা উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা ইতোমধ্যে পরিকল্পনা মোতাবেক কাজ শুরু করেছেন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নির্মাণ করা হচ্ছে সুদৃশ্য ও সুবিশাল মঞ্চ। অনুষ্ঠানের অন্যান্য কাজের দায়িত্বও ভাগ করে দেয়া হয়েছে। সমাবেশে সার্বিক নিরাপত্তার তত্ত্বাবধানে থাকবে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ। সোহরাওয়ার্দী ময়দানসহ আশপাশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিসহ সরকারের উন্নয়ন ও অর্জনের তথ্য সংবলিত পোস্টার, ফেস্টুন ও ব্যানার লাগানো হবে।
×