ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

দেশে গণতন্ত্র আছে বলেই বিএনপি নেতারা অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলতে পারছেন ॥ কাদের

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ১৭ জুলাই ২০১৮

  দেশে গণতন্ত্র আছে বলেই বিএনপি নেতারা অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলতে পারছেন ॥ কাদের

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ দেশে গণতন্ত্র আছে বলেই বিএনপি নেতারা অগণতান্ত্রিকভাবে অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলতে পারছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সোমবার মহানগর নাট্যমঞ্চে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কারাবন্দী দিবস উপলক্ষে আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি বলেন, বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্র না থাকত, তাহলে বিএনপির নেতারা প্রকাশ্য অগণতান্ত্রিক, অশ্রাব্য ভাষায় শেখ হাসিনা ও তার সরকারকে গালি-গালাজ করতে পারত না। এসব অশ্রাব্য মিথ্যাচার করার পরও পল্টন অফিসের সাংবাদিক সম্মেলন বন্ধ করেনি, পুলিশ হস্তক্ষেপ করেনি। যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, সভাপতিম-লীর সদস্য শহীদ সেরনিবায়াত, মুজিবুর রহমান চৌধুরী, অধ্যাপক আমজাদ হোসেন, আব্দুস সাত্তার মাসুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম, ফজলুল হক আতিক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাঈল হোসেন চৌধুরী সম্রাট প্রমুখ। ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা (বিএনপি) যেখানে ইচ্ছা বক্তব্য দিচ্ছেন। সরকারের বিরুদ্ধে অগণতান্ত্রিক ভাষায় কথা বলেও তারা বলছে দেশে গণতন্ত্র নাই। টকশোতে গিয়ে তাদের নেতারা যে ভাষা ব্যবহার করেন, এখানে আমরা বিরোধী দলে থাকলে টকশো করার পর তারা রাস্তায় আটকাত। আমরা তা পারি না। তারা স্বাধীনভাবে কথা বলছেন, তারপরও তারা বলছেন দেশে গণতন্ত্র নাই। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনাকে আমরা শ্রদ্ধা করি, হƒদয় থেকে ভালবাসি। অন্যদলে নেতাদের অনুপস্থিতিতে কানাঘুষা আছে, সমালোচনা আছে। নেতার পথ নিয়ে ভিন্নমত আছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অটল ও অবিচল। জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী যুবলীগ নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সব জনমত জরিপ শেখ হাসিনার কাছে জমা আছে। আপনাদের মধ্যে থেকে কেউ নির্বাচনে জেতার মতো যোগ্যতা অর্জন করলে বঞ্চিত হবে না। তিনি বলেন, আজকে আমার অনেক প্রশংসা করা হচ্ছে। এর মূল্যায়ন হবে আগামী নির্বাচনে, যদি আওয়ামী লীগ না জিততে পারে তাহলে আজকের সকল প্রশংসা গালিতে পরিণত হবে। যারা আজ প্রশংসা করছে, তারা তখন বলবে ব্যর্থ সাধারণ সম্পাদক। জাতীয় নির্বাচনে জিতলেই কেবল সফল সাধারণ সম্পাদক হতে পারব। কোটাতে মদদ দিচ্ছে ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবরা- ড. হাছান ॥ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই গ্রেফতার করে এদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করার চক্রান্ত করা হয়েছিল। তবে শেখ হাসিনার মনোবল ও তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করায় ১/১১’র কুশীলবরা সফল হতে পারেনি। এখন কোটা আন্দোলনসহ বিভিন্ন আন্দোলনে মদদ দিচ্ছে ১/১১’র কুশীলবরা। তারেক রহমান ও বিএনপি তাদের সার্বিক সহযোগিতা করছে। সোমবার সন্ধ্যায় শিখা চিরন্তনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে ‘দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দী দিবস’ উপলক্ষে সমাবেশ, প্রদীপ প্রজ্বালন ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। হাছান মাহমুদ বলেন, দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করার জন্য বিএনপি ও ১/১১’র কুশীলব, যুদ্ধাপরাধীর সহযোগীরা একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। নির্বাচনকে বানচাল করার এক গভীর চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। দেশবাসীকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অমানিশার অন্ধকারে শেখ হাসিনাই আলোর দীপশিখা। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা লায়ন চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু এমপি, জোটের নেতারা মোবারক আলী শিকদার, অরুন সরকার রানা, কণ্ঠশিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল প্রমুখ।
×