ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মাদারীপুরে বন্ধু খুন ॥ অন্যতম আসামি গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০৫:০৭, ১৭ জুলাই ২০১৮

 মাদারীপুরে বন্ধু  খুন ॥ অন্যতম  আসামি  গ্রেফতার

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর, ১৬ জুলাই ॥ জেলার শিবচরে মোটরসাইকেল চালক আনোয়ার বেপারির হত্যা রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। আতশবাজি ও পটকা বিক্রির টাকা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে খুন হয় আনোয়ার। খুনের পর লাশের যাতে খোঁজ না মিলে এ জন্য ট্রলারের গ্রাফি দিয়ে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে হাত-পা বেঁধে মৃতদেহ ফেলা হয় পদ্মা নদীতে। এ ঘটনার অন্যতম আসামি নিহত আনোয়ারের বন্ধু মনির ফকিরকে রবিবার রাতে নেত্রকোনার কলমাকান্দা থেকে গ্রেফতার করে শিবচর থানা পুলিশ। গ্রেফতারের পর মনির পুলিশের কাছে হত্যাকান্ডের চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি দিয়েছে। তার স্বীকারোক্তিতে এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে ১০/১২ জন জড়িত বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। ঈদের পাঞ্জাবি দেয়ার কথা বলে কৌশলে আনোয়ারকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় বলে মনির জানায়। নিহত আনোয়ার শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ির তোতা বেপারিকান্দি গ্রামের আইয়ুব আলী বেপারির ছেলে। জানা গেছে, মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের তোতা বেপারিকান্দি গ্রামের আনোয়ার বেপারির (আয়নাল-২৮) সঙ্গে আতশবাজি ও পটকা বিক্রি নিয়ে একই এলাকার মনির ফকিরের গ্রুপের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এই বিরোধের জের ধরে আনোয়ার মনির গ্রুপের লোকজনকে মারধর করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গত ১৩ জুন রাতে ঈদের পাঞ্জাবি দেয়ার কথা বলে আনোয়ারকে বাড়ি থেকে ডেকে আনে মনির, আতিকসহ ওই গ্রুপের ১০-১২ জন। এরপর আনোয়ারের গলায় ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। পরে ট্রলারে উঠিয়ে পদ্মা নদীতে নিয়ে ধারাল গ্রাফি দিয়ে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে হাত-পা বেঁধে লাশ মাঝ পদ্মায় মূল স্রোতে ফেলে দেয়। লাশ নদীতে ফেলে ঘাতকদের এক গ্রুপ ট্রলারে মাওয়ায় ও অপর গ্রুপ নদীর অপর একটি চরে নেমে পালিয়ে যায়। ১৫ জুন লাশ ভেসে উঠলে পদ্মা নদীর মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের চায়না প্রজেক্টের কাছ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
×