স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ ভান্ডার খালি নেই, যখন যা চাইবেন তার চেয়ে বেশি পাবেন। মন্ত্রী আরও বলেন, বন্যা কবলিত এলাকার মানুষজন ত্রাণ চায় না। তারা চায় বাধ। তাই বন্যা মোকাবেলায় আমাদের বাঁধ রক্ষা করতে হবে, বাধ রক্ষা করা গেলে আমরা রক্ষা পাব, এ কারণে বাঁধ সুরক্ষায় আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এ সময় তিনি স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। চলতি বছরের বন্যা মোকাবেলার আগাম প্রস্তুতি নিয়ে সফরে এসে সোমবার দুপুর ১২টায় নীলফামারী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে নীলফামারী জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ দুর্যোগ প্রবণ দেশ।
আমাদের দুর্যোগের সঙ্গে কৌশলে লড়াই করে বাঁচতে হবে। পূর্বের মতো হাজারও মৃতদেহ আর আমরা দেখতে চাই না। সরকার এজন্য দুর্যোগ মোকাবেলায় খাদ্য, বস্ত্র, গৃহনির্মাণ সামগ্রী, বিশুদ্ধ পানিসহ সব ধরনের সরঞ্জাম নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আগাম প্রস্তুতি নিয়েছে। সেই প্রস্তুতির কথা জানাতে বন্যা প্রবণ এলাকা নীলফামারীসহ চারটি জেলা পরিদর্শনে এসেছি। এ সময় মন্ত্রী নীলফামারী জেলার জন্য বেশ কিছু বরাদ্দ দিয়ে যান। বরাদ্দের মধ্যে রয়েছে ৬টি ইঞ্জিন চালিত নৌকা নির্মাণের জন্য ৬ লাখ টাকা, ৬০০ বান্ডিল ঢেউটিন ও ১৮ লাখ টাকা, ২০০০ শুকনো খাবারের প্যাকেট, ২০০ মেট্রিকটন চাল ও ভিজিএফ কার্ডধারীদের জন্য ১০ কেজির পরিবর্তে ২০ কেজি করে চাল। আগামী একাদশ নির্বাচনে সকলকে নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নমুখী সরকার। আওয়ামী লীগ তথা শেখ হাসিনার হাতকে আরও বেগবান করার জন্য নৌকায় ভোট দিয়ে পুনরায় সেবা ও উন্নয়নের সুযোগ চেয়েছেন ত্রাণমন্ত্রী। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীমের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল, সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকার, গোলাম মোস্তফা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মহসীন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের যুগ্ম-সচিব মোঃ খালেদ মাহমুদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন প্রমুখ।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: