ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

আড়াই মাস পর অপহৃত ব্যবসায়ীকে উদ্ধার, ৬ জন গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০৪:৪৪, ১৭ জুলাই ২০১৮

আড়াই মাস পর অপহৃত ব্যবসায়ীকে উদ্ধার, ৬ জন গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অবশেষে দীর্ঘ আড়াই মাস পর অপহৃত ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলামকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গ্রেফতার করা হয়েছে অপহরণে জড়িত ৬ জনকে। অন্যদিকে ফুসলিয়ে অপহরণ করা এক চাকরিজীবীকে উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে অপহরণে জড়িত পাঁচজনকে। রবিবার মধ্যরাতে রাজধানীর মহাখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে শহীদুল ইসলামকে (৩৩) উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পিবিআইয়ের ঢাকা মেট্রো বিভাগ। অভিযানে গ্রেফতার হয় মাকুল আক্তার লিপি ওরফে মুকুল (৩৬), সুফিয়া বেগম (৫৫), আওয়াল মাস্টার (৪৮), মোঃ মিন্টু (৪১), মোছাঃ হাসি (৩০) ও গাড়ি চালক সোহেল (৩২)। পিবিআই ঢাকা মেট্রোর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বশির আহমেদ জানান, কয়েক বছর ধরে ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলাম তার স্ত্রী বকুল আক্তার আঁখিকে নিয়ে সবুজবাগ থানাধীন মধ্য বাসাবোর ৫১ নম্বর বাড়িতে বসবাস করছিলেন। শহিদুল ইসলামের পিতার নাম মোঃ আমির আলী গাজী। বাড়ি রাঙ্গামাটি জেলার চন্দ্রঘোনা থানাধীন সফিপুর গ্রামে। শহিদুলদের বাড়িতে তার গ্রামের লোক হিসেবে গ্রেফতারকৃতরা যাতায়াত করত। যাতায়াতের এক পর্যায়ে যাতায়াতকারীদের সঙ্গে শহিদুলদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক হয়। সম্পর্কের সুবাদে গ্রেফতারকৃত সুফিয়া বেগম শহিদুলের কাছে ৫ লাখ টাকা ধার চায়। ধার দিতে অস্বীকার করায় গ্রেফতারকৃত যাতায়াতকারীরা শহিদুলের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। তারা শহিদুলকে অপহরণ করার পরিকল্পনা করে। সেই পরিকল্পনা মোতাবেক গত ২ মে সকাল নয়টায় শহিদুল বাসা থেকে বের হওয়ার পর গ্রেফতারকৃতরা তাকে অপহরণ করে। এরপর শহিদুলের স্ত্রীর কাছে মোবাইল ফোনে মুক্তিপণ হিসেবে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে শহিদুলকে টুকরো টুকরো করে বুড়িগঙ্গা নদীতে ভাসিয়ে দিবে বলে হুমকি দেয় অপহরণকারীরা। শহিদুলের স্ত্রী এ বিষয়ে মামলা করেন। সেই মামলা তদন্তের ধারাবাহিকতায় অপহরণকারীদের সঙ্গে নানাভাবে দরকষাকষি করে শহীদুলকে জীবিত রাখে। মুক্তিপনের টাকা দেয়ার লোভ দেখিয়ে অপহরণকারীদের এবং শহিদুলকে ঢাকায় আনা হয়। ঢাকায় আনার পর অভিযান চালিয়ে শহীদুলকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পিবিআই। সেই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় অপহরণকারীদের। পিবিআই প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার জানান, অপহরণকারীরা শহীদুলকে ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জায়গায় রেখেছিল। শহিদুলকে জীবিত রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। শেষ পর্যন্ত শহিদুলকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। যা রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়েছিল।
×