ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে ছাত্রী হলে ছাত্রী সংস্থার তৎপরতা

শিবিরের বাঁশের কেল্লার মাধ্যমে উস্কানি বার্তা

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ১৬ জুলাই ২০১৮

শিবিরের বাঁশের কেল্লার মাধ্যমে উস্কানি বার্তা

বিভাষ বাড়ৈ ॥ আবার ফেসবুকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী নেতার রাজপথে মেনে আসার আহ্বান। শিবিরের বাঁশের কেল্লার মাধ্যমে ছড়ানো হলো কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী নেতা নুরুল হকের উস্কানিমূলক ভিডিও বার্তা। শিবিরের সকল মাধ্যমে শনিবার রাত থেকে ছড়ানো উস্কানিমূলক তৎপরতাকে ঘিরে যথারীতি রবিবার আবার পাল্টাপাল্টি হামলায় জড়িয়ে পড়ল শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষ। আন্দোলনের নামে নাশকতার দায়ে গ্রেফতার ব্যক্তিদের মুক্তিসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলরত পক্ষ হামলার জন্য দায়ী করছে ছাত্রলীগকে। তবে ছাত্রলীগ বলছে, এর সঙ্গে তাদের জড়িত করার সুযোগ নেই। কয়েক নেতার শিবিরের সম্পৃক্ততা ও অর্থের ভাগাভাগি নিয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনে মতবিরোধের ফলেই ধাওয়া পাল্টাধাওয়া। জানা গেছে, এর আগে গত দু’দিন ধরেই কোটা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সরকারের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছিল শিবিরের বাঁশের কেল্লাসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ফেসবুক গ্রুপেও প্রতিটি তথ্য আসছিল বাঁশের কেল্লায়। যেখানে নতুন কর্মসূচী দেয়ার আলোচনা ছিল মূখ্য বিষয়। এরপর শনিবার রাতেই আন্দোলনকারী নেতাদের ফেসবুক গ্রুপ ও বাঁশের কেল্লায় ঘোষণা করা হয় রবিবার সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জমায়েত কর্মসূচী। দ্রুত এ তথ্য ছড়িয়ে পড়ে। হলগুলোতে সাধারণ ছাত্রীদের ব্যানারে সরকারবিরোধী মেয়েরা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেছে বলে তথ্য মিলছে। হলগুলোতে সক্রিয় জামায়াত-শিবিরের সংগঠন ইসলাম ছাত্রী সংস্থার মেয়েরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের জমায়েতে আসার জন্য সংগঠিত করেছে। আর তথ্য ছড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে বাঁশের কেল্লাহ সহ অন্যান্য মাধ্যম। এরই ধারাবাহিকতায় ভোর ৪টায় নিজের ফেসবুক ও বাঁশের কেল্লায় প্রচার করা এক ভিডিও বার্তায় রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানান সম্প্রতি সংঘর্ষে আহত কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা নুরুল হক। অজ্ঞাত স্থান থেকে দেয়া ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমি আসছি শহীদ মিনারে, আপনিও আসুন। আমি গ্রেফতার হলেও প্রতিবাদ কর্মসূচী অব্যাহত রাখুন। এ সময় তিনি মেয়েদের হলের গেট ভেঙ্গে রাজপথে মেনে আসার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে আবার শহীদ মিনারে জমায়েত হওয়ার আহ্বানও জানান। একই সঙ্গে উপাচার্যের বাসভবনে তা-বের জন্য সরাসরি ছাত্রলীগকে দায়ী করে বক্তব্য দেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী এ নেতা। এদিকে কোটা সংস্কারের সরকার গঠিক কমিটি কাজ করার মধ্যেই এভাবে আবার জমায়েত হওয়াকে কেন্দ্র করে সোমবার সকাল থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে ক্যাম্পাসে। এক সময় কোটা সংস্কারের দাবি তুললেও সরকারের ঘোষণার পর আন্দোলন বন্ধ করে ক্লাসে ফিরেছেন প্রগতিশীল অধিকাংশ সাধারণ শিক্ষার্থী। এমনকি ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মীও আন্দোলনে এখন আর নেই। ফলে কোটা সংস্কারের কথা তুলে আন্দোলন করার পক্ষে নয় অধিকাংশ শিক্ষার্থীই। ঠিক এমন অবস্থায় রবিবার নতুন করে কর্মসূচীতে নামার ঘোষণায় পাল্টাপাল্টি অবস্থানে চলে যায় শিক্ষার্থীদের দুটি পক্ষ। শহীদ মিনারে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচীও পালন করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দুটি পক্ষ। কোটা সংস্কারের নামে নাশকতার অভিযোগে গ্রেফতার নেতাদের মুক্তিসহ বিভিন্ন দাবিতে এক পক্ষের কর্মসূচীতে অংশ নিয়েছে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের কিছু কর্মীও। পাল্টা মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীদের আরেকটি অংশ। এ মানববন্ধনে তাদের সঙ্গে ছিলেন কোটা সংস্কার আন্দোলনে এতদিন যুক্ত থাকা অনেক সাধারণ শিক্ষার্থী। যারা সরকারের উদ্যোগের পরেও কোটা সংস্কারের দাবির নামে চলা আন্দোলনকে উদ্দেশ্যমূলক তৎপরতা হিসেবে অভিহিত করেছেন। বলেছেন, এখনো যারা কোটা সংস্থারের দাবির নামে আন্দোলন করছেন তাদের ভিন্ন এজেন্ডা আছে। মানববন্ধনে ছিলেন কোটা সংস্কার আন্দোলনে শুরুর থেকে অংশ নেয়া এমনকি সংঘর্ষে আহত তানভীর হাসান সৈকত। তিনি সাধারণ শিক্ষার্থীদের শান্ত করতে গিয়ে আহত হয়েছিলেন। কর্মসূচীতে আরও ছিলেন শাহরিয়ার সাকিল, খাদিজা আক্তার, আবু বকর সিদ্দিক, আমিনুল ইসলাম, রাবেয়া আক্তার প্রমুখ। তানভীর হাসান সৈকত তাদের অবস্থান সম্পর্কে বলেছেন, আমরা কোটা সংস্কারের পক্ষে ছিলাম। এ আন্দোলন করতে গিয়ে আমরা আহতও হয়েছি। সরকার আমাদের দাবি মেনে নিয়েছে। সে অনুসারে কাজও চলছে। কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা মনে করি এরপরেও যারা দাবি তোলার নামে আন্দোলন করছেন তাদের ভিন্ন উদ্দেশ্য আছে। এখন যারা আন্দোলন করছেন আমরা মনে করি তারা কোটা সংস্কার আন্দোলনের সফলতা চায় না। তারা চায় অস্থিরতা। এদের নেতারা শিবিরের বাঁশের কেল্লার মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে। নাশকতায় উস্কানি দিচ্ছে। তাদের নেতা রাশের সঙ্গে শিবিরের বাঁশের কেল্লার প্রতিমুহূর্তের যোগাযোগ কিভাবে হচ্ছে তা দেখা দরকার। তিনি আরও বলেন, আমরা আন্দোলন করতে গিয়ে আহত হয়েছি। তখন আমাদের কোন শিক্ষকও আমাদের দেখতে যাননি। এখন ফেসবুকে ভিডিও বার্তা দেখে শিক্ষকও চলে আসেন কেউ কেউ। অথচ ভিডিও বার্তা দেয়া হয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যনারে। এদিকে দুই পক্ষের কর্মসূচী শান্তিপূর্ণ শেষ হওয়ার পর দুই পক্ষের কয়েকজনের মধ্যে হঠাৎ ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে গ্রেফতারদের মুক্তির দাবিতে ছাত্র-শিক্ষকদের মিছিল হামলা চালিয়ে প- করে দেয়ার অভিযোগ তোলা হয়। গত কয়েকটি ঘটনার মতো এবারও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ওই হামলার চালিয়েছে বলে অভিযোগ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের। তারা বলছেন, শহীদ মিনারে সাধারণ শিক্ষার্থীদের এক মানববন্ধন শেষে একটি মিছিল বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের সামনে এলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সামনে এসে ঘিরে দাঁড়ায় এবং আন্দোলনকারীদের মারধর শুরু করে। মিছিলের সামনের দিকে থাকা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানজীম উদ্দিন খানসহ শিক্ষকদের গায়ে হাত দিয়ে ধাক্কা দেয় তারা। এ সময় কর্মসূচীতে উপস্থিত গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ফাহমিদুল হক বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর গোলাম রাব্বানীকে ফোন করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা চাইলেও প্রক্টর তার অনুরোধে সাড়া না দিয়ে উলটো ‘পরিস্থিতির জন্য শিক্ষকদেরই দায়ী করেন’ বলে তিনি জানান। মানববন্ধনে উপস্থিত অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রুশাদ ফরীদি। বেলা পৌনে একটার দিকে প্রক্টরিয়াল টিমের একটি গাড়ি শহীদ মিনারে আসে। এরপর ১টায় সহকারী প্রক্টর কামরুল আহসান ও সোহেল রানা আসেন। তারা সবাইকে জায়গা ছাড়তে বলেন; কিছুক্ষণ পর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সেখান থেকে চলে যান। পরে প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী বলেন, আমরা সেখানে প্রক্টরিয়াল টিমকে পাঠিয়েছিলাম। দুই পক্ষের সাথেই তারা কথা বলেছে। তবে তারা কেউই তেমন সহায়তা করেনি। এই ঘটনায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী যারাই জড়িত ছিল, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় বিধিমোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। এদিকে আন্দোলনকারী অপর অংশের শিক্ষার্থীরা কয়েক শিক্ষকের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তারা বলছেন, কয়েকজন জামাত-শিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। এই শিক্ষকরা জামাতের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী শিক্ষক। মুক্তিযুদ্ধের সময় এরা যুবক ছিল, কিন্তু এরা যুদ্ধে যায় নাই। তাদের চুল-দাঁড়ি পেকে গিয়েছে। এই যে ৬০-৭০ বয়সী শিক্ষকরা- এরা মুক্তিযুদ্ধের সময় কোথায় ছিল? রুশাদ ফরিদী বলেন, এটা কেমন কথা হলো শহীদ মিনারে সাধারণ ছাত্ররা এসে দাঁড়িয়েছে, শিক্ষকরা কথা বলছে এর মাঝখানে মাইকে এনে বলা হচ্ছে এখানে জামায়াত-শিবিরের ইন্ধন আছে। কি বিশ্ববিদ্যালয় এটা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কি করে? এটা খুবই আপত্তিকর। বিশ্ববিদ্যালয়কে এই পর্যায়ে নিয়ে আসাটা কোনভাবেই কাম্য নয়। শিক্ষক-ছাত্রদের কর্মসূচী এভাবে পাল্টা আক্রমণ করাটা নজিরবিহীন। এই মুহূর্তে ঢাবির ছাত্ররা গ্রেফতার ও রিমান্ডে আছে। তাদের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত যতই মহড়া দেয়া হোক, ছাত্র-ছাত্রী ভাড়া করে আন্দোলন করা হোক আমরা আমাদের কর্মসূচী চালিয়ে যাব। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক খান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে কিন্তু তাদের রক্ষা করা দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে প্রক্টরিয়াল টিম পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। আন্দোলনে অংশ নেতা শিক্ষার্থীরা ঘটনার জন্য সরাসরি ছাত্রলীগকে দায়ী করছেন। তবে ছাত্রলীগ বলেছে, এর সঙ্গে ছাত্র লীগকে জড়িত করার সুযোগ নেই। শিবিরের সম্পৃক্ততার পর এখন আন্দোলন দুইভাবে বিভক্ত। মতবিরোধ চলছে। প্রগতিশীল যেসকল শিক্ষার্থীরা এর সঙ্গে এতদিন ছিলেন শিবিরের চেহারা প্রকাশের পর তারা আর আন্দোলনে নেই। এমন অবস্থায় সংঘর্ষ হওয়া অস্বাভাবিক নয়। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন মধুর ক্যান্টিনের সামনে সাংবাদিকদের বলেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আগে শিক্ষার্থী পরে লীগ। সেখানে যদি কেউ গিয়ে থাকে তবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে যেতে পারে। ছাত্রলীগের হয়ে কেউ যায়নি। হামলাকে ছাত্রলীগ কখনও সমর্থন করে না। তারা নিজেদের মধ্যে ঝামেলা করেছে। যদি ছাত্রলীগের কেউ গিয়ে থাকে সেক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেবেন কি না এমন প্রশ্নে জাকির বলেন, আমরা খোঁজ নেব। তবে আমি নিশ্চিত করেই বলছি, ছাত্রলীগের কেউ ছিলো না। ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক আল নাহিয়ান খান জয় বলছিলেন, এই আন্দোলনটা শুরু থেকেই জামায়াত-শিবিরের গুজবের ওপর ভর করে চলেছে। এখন আরো পরিস্কার হচ্ছে মূল নেতাদের সরকার বিরোধী তৎপরতা। এখানে ছাত্র লীগকে জাড়িত করার কোন সুযোগ নেই। এটা ওদের নিজেদের ঝামেলা। মতবিরোধের ফল। উপ-স্কুলবিষয়ক সম্পাদক অসিম কুমার বৈদ্য বলছিলেন, এক সময় প্রগতিশীল অনেক সাধারণ শিক্ষার্থীই আন্দোলনে ছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ও এখন শিবিরের চেহারা প্রকাশের পর প্রগতিশীল প্রতিটি শিক্ষার্থী আন্দোলনের বাইরে চলে এসেছে। এখন আসলে ভিন্ন কোন উদ্দেশে আন্দোলন। এটা করতে গিয়েই নিজেদের মধ্যে ঝামেলা। ঢাবি ও রাবি প্রশাসনকে আইনী নোটিস ১৩ আইনজীবীর ॥ কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়ে ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টর ও রেজিস্ট্রারকে দুটি আইনী নোটিস পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের ১৩ আইনজীবী। নোটিস পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব আশা করেছেন তারা। তা না পেলে পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন তারা। হামলার শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থী মোঃ ফারুক হাসান, মোঃ মশিউর রহমান, জসিম উদ্দিন, রাশেদ খান এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তরিকুলের পক্ষে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে রবিবার এ নোটিশ পাঠান আইনজীবীরা। তারা হলেন, হাসনাত কাইয়ুম, আনোয়ার হোসেন রেজা, কাজী জাহেদ ইকবাল, অনীক আর হক, খন্দকার শাহরিয়ার শাকিব, আইনুন্নাহার সিদ্দীকা, আবেদা গুলরুখ, হুমায়ুন কবির, জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, রেজা ইসলাম রিয়াজ, আরিফুল হক রোকন, ফাহরিয়া ফেরদৌস ও বেলায়েত হোসেন। জ্যোর্তিময় বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসব হামলার ঘটনা সচিত্র প্রকাশ পেলেও এবং হামলাকারীদের সম্পর্কে জানা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি, যা সম্পূর্ণভাবে অপ্রত্যাশিত এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ও দেশের প্রচলিত আইনের পরিপন্থী। আন্দোলনকারী নেতা ফারুকের জামিন নাকচ : কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের অন্যতম নেতা ফারুক হাসানের জামিন আবেদন নাকচ করেছে আদালত। ফলে রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে থাকতে হচ্ছে। আন্দোলনকারী ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’র যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারুক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্বের শিক্ষার্থী, থাকেন সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে। তার বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলায়।
×