ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

কুমিল্লায় কনস্টেবলের বিরুদ্ধে তরুণী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

প্রকাশিত: ০৪:৫৭, ১৬ জুলাই ২০১৮

 কুমিল্লায় কনস্টেবলের  বিরুদ্ধে তরুণী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা, ১৫ জুলাই ॥ কুমিল্লায় জহিরুল ইসলাম নামের এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। জেলার মুরাদনগর উপজেলার ছালিয়াকান্দি ইউনিয়নের আমপাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় শনিবার রাতে ভিকটিম বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় মামলা দায়ের করেন। রবিবার দুপুরে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল জহিরুল ইসলাম (৩৫) একই গ্রামের বাহার মিয়ার ছেলে এবং তিনি ২ সন্তানের জনক। বর্তমানে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানায় কর্মরত রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাকে গ্রেফতারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার বরাবরে বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার বিবরণ, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পুলিশ সদস্য জহিরুল ইসলামের সঙ্গে পাশর্^বর্তী বাড়ির রফিক মিয়ার মেয়ের (১৭) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। উভয়ের মাঝে গত ২ বছর যাবত প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি একাধিকবার অনৈতিক দৈহিক সম্পর্কেও গড়িয়ে যায়। ভিকটিম জানান, ‘বিয়ের জন্য চাপ দিলে পুলিশ কনস্টেবল জহির ছলচাতুরি শুরু করে এবং তাকে পুলিশ দিয়ে মিথ্যা মামলার হয়রানি করার ভয় দেখায়।’ এদিকে গত ১৩ জুলাই শুক্রবার জহির বাড়িতে এসে রাত আনুমানিক ২টার দিকে ওই তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পাশর্^বর্তী নার্গিস বেগমের ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় সে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন জহিরকে চার দিক থেকে ঘেরাও করে। পরে ঘটনাস্থলে তার পড়নের লুঙ্গি ফেলে সে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। গত দুই দিন ধরে এ নিয়ে এলাকায় বেশ তোলপাড় চলছিল। খবর পেয়ে শনিবার বিকেলে পুলিশ এলাকায় গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আলামত হিসেবে অভিযুক্ত জহিরের লুঙ্গি উদ্ধার ও ভিকটিমের পড়নের সালোয়ার-কামিজ জব্দ করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মুরাদনগর থানার এসআই সোহেল জানান, প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে এবং ভিকটিম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মুরাদনগর থানার ওসি একেএম মনজুর আলম জানান, রবিবার দুপুরে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
×