ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

কুড়িগ্রামে সন্ত্রাসী হামলা ॥ মাছ লুট

প্রকাশিত: ০৬:৪৭, ১৫ জুলাই ২০১৮

কুড়িগ্রামে সন্ত্রাসী হামলা ॥ মাছ লুট

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ রৌমারী উপজেলার সীমান্ত চরলাঠিয়াল ডাঙ্গা কালাপানি জলাশয় থেকে মাছ লুট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় একটি চক্র এক সপ্তাহ ধরে দিনেরাতে অবৈধভাবে ওই জলাশয় থেকে প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ লুট করে নিয়েছে। গত ৭ জুলাই থেকে বেশ কয়েক দফা এবং শনিবারও জলাশয় থেকে জোরপূর্বক মাছ লুট করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জলাশয় ইজারা নেয়া আবুল কাশেম থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরও পুলিশ কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। উল্টা লুটেরাদের সহযোগিতা করছে বলে অভিযোগ করেন আবুল কাশেম। অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলা প্রশাসন থেকে চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য চরলাঠিয়ালডাঙ্গা জলাশয়টি মাছ চাষের জন্য ইজারা দেয়া হয় কাশিয়াবাড়ি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিকে। এ সমিতির সভাপতি সকল সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে মাছ চাষের জন্য বরাদ্দ চুক্তি করেন লাঠিয়ালডাঙ্গা মৎস্যজীবীদের সভাপতি আবুল কাশেমের সঙ্গে। বরাদ্দ নিয়ে যথারীতি মাছ চাষ শুরু করেন আবুল কাশেম ও তার দলের মৎস্যজীবীরা। হঠাৎ করে এলাকার একটি অসাধু চক্র সন্ত্রাসী কায়দায় জলাশয়ে হামলা চালায় এবং মাছ লুট শুরু করে। আবুল কাশেম অভিযোগ করে বলেন, এলাকার লিয়াকত আলী, ইউসুফ আলী, আশরাফ কারি, আবুল হোসেন, শামীম হোসেন, নুর জামাল ও জবেদ আলী তাদের দলবল নিয়ে অবৈধভাবে জলাশয় নামে। এতে বাধা দিতে গেলে তারা আমাদের মারপিট করে তাড়িয়ে দেয়। পরে ৮জুলাই রৌমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। কিন্তু পুলিশ কার্যকর কোন আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি। আমরা নিশ্চিত হয়েছি থানা পুলিশ ওই লুটেরাদের সহযোগিতা করছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা থানা পুলিশকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিলেও পুলিশ তা মানেননি। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী জানান, সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে মাছ ধরছে আর পুলিশ চুপ করে বসে আছে। এতে বোঝা যায় সন্ত্রাসীদের সহযোগিতা করছে পুলিশ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপঙ্কর রায় জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর ব্যবস্থা নিতে থানা পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
×