আড়াইহাজারে স্কুলছাত্রী ধর্ষিত

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ আড়াইহাজারে মসজিদে আরবি পড়ে বাসায় ফেরার সময় এক শিশু কন্যা (১২) কে কলা খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে ৬০ বছরের এক বৃদ্ধ। তার নাম ইয়াদ আলী সিকদার। ইয়াদ আলী এখন পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে ওই শিশু কন্যার মা বাদী হয়ে আড়াইহাজার থানায় মামলা দায়ের করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়নের পাঁচগাওয়া দেওয়ানপাড়া এলাকায় শুক্রবার সকালে। জানা গেছে, শুক্রবার সকালে উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়নের পাঁচগাও দেওয়ানপাড়া এলাকার ১২ বছরের এক কন্যা শিশু মসজিদের আরবি পড়া শেষ করে বাড়ি ফিরছিল। ওই সময় একই এলাকার মোঘল খাঁর বাড়ির সামনে থেকে শিশুটিকে কলা খাওয়ানোর কথা বলে ইয়াদ আলী সিকদার নামে এক বৃদ্ধ শিশুটিকে একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে। ওই সময় শিশুটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে এবং ইয়াদ আলী সিকদারকে আটক করে। ওই দিন দুপুরে অভিযুক্ত ইয়াদ আলীর স্বজনরা বিচারের কথা বলে তাকে ছেড়ে দেয়। . নেত্রকোনা নিজস্ব সংবাদদাতা নেত্রকোনা থেকে জানান, জেলার কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়নের সাখড়া (দক্ষিণপাড়া) গ্রামে শিশুশ্রেণীতে পড়ুয়া এক কন্যাশিশুর (৭) ওপর পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছে ২০ বছর বয়সী এক যুবক। এ বিষয়ে শিশুটির পিতা বাদী হয়ে শনিবার সকালে কেন্দুয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। জবানবন্দী গ্রহণের জন্য পুলিশ শিশুটিকে আদালতে পাঠিয়েছে। জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে ওই শিশুটি বাড়ির পাশে খেলাধুলা করছিল। এ সময় একই গ্রামের ইদ্রিছ মিয়ার লম্পট ছেলে সেবক মিয়া (২০) কৌশলে তাকে পাশ্বর্তী বাজারের বাবুল মিয়ার কাঠের দোকানে নিয়ে যায়। পরে ওই ঘরেই শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় শিশুটির চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে সেবক মিয়া পালিয়ে যায়। পরে পরিবারের লোকজন চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যেতে চাইলে কতিপয় গ্রাম্য মাতব্বর মীমাংসার কথা বলে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসে। খবর পেয়ে শনিবার রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। শিশুটির মা সাংবাদিকদের জানান, ধর্ষিত শিশুটির যৌনাঙ্গে রক্তক্ষরণ হয়েছে। এ কারণে সে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছে।