ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অষ্টগ্রামে বিদ্যালয় ভবন বেহাল ॥ পাঠদান ব্যাহত

প্রকাশিত: ০৬:৪১, ১৫ জুলাই ২০১৮

 অষ্টগ্রামে বিদ্যালয় ভবন  বেহাল ॥ পাঠদান  ব্যাহত

নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ, ১৪ জুলাই ॥ অষ্টগ্রাম উপজেলার আদমপুর টুকার কান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল ভবনের অভাবে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। স্কুলের পুরাতন ভবনটি পরিত্যক্ত হওয়ায় বর্তমানে টিনশেড ছাউনিতে কোন রকমে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম চলছে। জানা গেছে, বিদ্যালয়ের একটি পুরাতন পরিত্যক্ত ভবন রয়েছে। কিন্তু ভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় বিগত কয়েক বছর যাবত সেখানে পাঠদান করানো হয় না। ভবনের বারান্দার ছাউনি নেই। ভবনের ভেতরে ওপরের ঢালাইয়ের বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়ছে। এমনকি দরজা-জানালা পর্যন্ত নেই। এতে প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মুখে ছিল স্কুলের শিশু শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকগণ। ফলে ভবনটিতে ক্লাস না নিয়ে একটি টিনশেড ঘরে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা জানায়, প্রায় ৭ থেকে ৮ বছর আগে স্কুল ভবনটির বারান্দার চালাটি ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়। পরে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে ভবনটিতে কিছুদিন পাঠদান চললেও ভবনটির অবস্থা বেহাল থাকায় পরিত্যক্ত করা হয়। এরপর থেকে খোলা আকাশের নিচে কিছুদিন পাঠদান করা হয়েছিল। পরে স্কুলের অভিভাবক ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বিকল্প হিসেবে টিনের চালাঘর তৈরি করা হয়। কিন্তু সেটি শ্রেণী কার্যক্রম চালানোর জন্য যথেষ্ট না হওয়ায় স্কুলের শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান, স্কুলে মোট ৩৭৩ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। আর এই শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য প্রয়োজনীয় শ্রেণীকক্ষ নেই। দীর্ঘদিন যাবত শ্রেণীকক্ষ সঙ্কটের ভেতর দিয়েই তাদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে। এর নিরসনের জন্য ব্যবস্থা নেয়া খুবই জরুরী বলেও তিনি মন্তব্য করেন। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে কয়েকবার লিখিতভাবে জানানো হলেও কোন সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে স্কুলের ভবন না থাকায় ও শিক্ষক সঙ্কটের কারণে মানসম্মত লেখাপড়া নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। উপজেলা শিক্ষা অফিসার এনামুল হক জানান, বিষয়টি তিনি অবগত আছেন। তবে স্কুল ভবনটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়নি। প্রধান শিক্ষক স্কুল ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার বিষয়ে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবগত করা হয়েছে। এ ছাড়া ইতোমধ্যে ভবন নির্মাণ অনুমোদন বাস্তবায়নের জন্য কার্যক্রম চলছে বলেও তিনি জানান।
×