ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শাহজালালে যাত্রীর পেট থেকে পৌনে এক কোটি টাকার সোনা উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ১৫ জুলাই ২০১৮

 শাহজালালে যাত্রীর পেট থেকে পৌনে এক কোটি টাকার সোনা উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অনুমানিক পৌনে এক কোটি টাকা মূল্যের দেড় কেজি সোনা জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় শাহজালালে থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট (বিজি-০৮৯ ) যোগে আগত যাত্রী মনকির গুহ্যদ্বারে লুক্কায়িত ১০টি সোনারবার জব্দ করা হয়। যার ওজন এক কেজি। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মোঃ সহিদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদ থাকায় শুল্ক গোয়েন্দা দল গ্রিন চ্যানেলে অবস্থান করে। যাত্রী মনকির আহম্মেদ গ্রিন চ্যানেল অতিক্রম করার পর শুল্ক গোয়েন্দা দল তাকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত যাত্রী সোনাবহনের বিষয়টি অস্বীকার করেন। এ সময় ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে মনকির তার গুহ্যদ্বারে স্বর্ণ বহনের বিষয়টি স্বীকার করেন। এতে বিশেষ কায়দায় তাকে ব্যায়াম করিয়ে রুটি, কলা, জুস ও পানি খাইয়ে শুল্ক গোয়ন্দা দল তার পেট থেকে ১০টি সোনারবার বের করে আনেন। এ সোনার মোট মূল্য ৫০ লাখ টাকা। তাকে বিমানবন্দর থানায় সোপর্দের পর নিয়মিত মামলায় এজাহার দাখিল করা হয়। এদিকে শনিবার সকালে চট্টগ্রাম থেকে আগত দুই যাত্রীর কাছ থেকে ৪টি স্বর্ণবার আটক করে। আটককৃত স্বর্ণের ওজন ৪৬৪ গ্রাম। তারা চট্টগ্রাম থেকে বিএস ৩২২ বিমানযোগে শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। শাহজালালে চট্টগ্রাম থেকে আগত ছয়জন যাত্রীকে চেকিং রুমে নিয়ে শরীর তল্লাশি করে দু’জন যাত্রীর কাছ থেকে প্যান্টের কোমরের মাঝে বিশেষ কায়দায় লুকানো অবস্থায় সোনারবারগুলো উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের আটক করা হয়। তাদের দাবি-স্বর্ণবারগুলো তাদের নয়। কিছু অর্থের বিনিময়ে এ সোনা দুবাই থেকে আগত এক যাত্রী চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে তাদের দিয়ে বহন করার কাজে নিয়োজিত করেছিল। এ সোনার অনুমানিক মূল্য ২৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। এ ঘটনায় শুল্ক আইনে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এদিকে একই বিমানবন্দরে অভিযান চালিয়ে অপর যাত্রীর নিকট হতে আমদানি নিয়ন্ত্রিত ওষুধ আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দা। এ ঘটনায় আব্দুল মান্নান নামের এক যাত্রীকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে ৮ ধরনের মোট ১০,৮২৬ পিস ওষুধ পাওয়া যায়। এসব ওষুধ হৃদরোগ, হাইপারটেনশন, লিভার রোগ, মূত্ররোগ চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। তিনি থাইল্যান্ড থেকে BG-089 ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আনুমানিক সাড়ে দশটায় অবতরণ করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুল্ক গোয়েন্দারা ব্যাগেজ বেল্টসহ গ্রিন চ্যানেলে বিশেষ নজরদারি বজায় রাখে। যাত্রী ২ নং বেল্ট থেকে লাগেজ সংগ্রহ করে স্ক্যানিং ফঁাকি দিয়ে গ্রিন চ্যানেল দ্রুত অতিক্রম করে চলে যাওয়ার প্রাক্কালে তার গতিরোধ করা হয়। এ সময় কাস্টমস হলে বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে তার সঙ্গে থাকা ২টি লাগেজ খুলে বিদেশী ওষুধগুলো আটক করা হয়। আমদানি নীতি আদেশ অনুযায়ী ওষুধ শিল্প প্রশাসনের অনুমতি ব্যতিরেকে বিদেশী ওষুধ আমদানি করা যায় না। রাতেই এসব পণ্য ইনভেন্টরি করা হয়। এ ওষুধের আনুমানিক বাজারমূল্য ৫০ লক্ষ টাকা। একই রাতে রাকিবুল হাসান নামের অপর এক যাত্রীর কাছ থেকে ক্যান্সারের নকল ওষুধ জব্দ করা হয়। তিনি রাত সাড়ে নয়টায় চট্টগ্রাম থেকে BS-110 ফ্লাইটে চট্টগ্রাম হয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। যাত্রী ডমেস্টিক এ্যারাইভাল এ আসার পর লাগেজ সংগ্রহ করে দ্রুত অতিক্রম করে চলে যাওয়ার সময় তার গতিরোধ করা হয়। এরপর কাস্টমস হলে বিভিন্ন সংস্থার উপস্তিতিতে তার সঙ্গে থাকা নকল ওষুধগুলো আটক করা হয়।
×