ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নিকারাগুয়ায় সরকারী বাহিনীর হামলায় নিহত দুই

প্রকাশিত: ০৪:৫৩, ১৫ জুলাই ২০১৮

 নিকারাগুয়ায় সরকারী বাহিনীর হামলায় নিহত দুই

নিকারাগুয়ার রাজধানী মানাগুয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকারী বাহিনী হামলা চালায়। পাশাপাশি তারা বিরোধীদের শক্তিশালী ঘাঁটি মাসায়ার আশপাশের এলাকায়ও হামলা চালায় । এতে দুজন নিহত হন। গত তিনমাস ধরে হওয়া প্রতিবাদের কারণে অস্থিরতা বিরাজ করা আফ্রিকান দেশটিতে বিক্ষুব্ধ জনগণকে দমন করতে এই হামলা চালানো হয়। এই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে হতাহতের ঘটনা ঘটে। - খবর এএফপির। ১৮ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া পেনশন সংস্কারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের ডাকা বিক্ষোভের ফলে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তারা প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগা (৭২) ও তার সরকারের বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ আহ্বান করে। শুক্রবারের হামলার পর প্রেসিডেন্ট ওর্তেগা শান্তির আহ্বান জানিয়েছেন। গত তিনমাসে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ২৭০জনের বেশি লোক নিহত হয়েছে। স্থানীয় নাগরিক অধিকার গোষ্ঠীর প্রতিনিধি জানিয়েছে, রাজধানী থেকে ৩০ কিলোমিটার (১৯ মাইল) দক্ষিণে দক্ষিণ মাসায়ার মনিমবোতে সরকারী বাহিনীর গুলিতে দুইজন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে একজন পুলিশ রয়েছেন। মাসায়াতে ওর্তেগা বিরোধীদের হিংসা ও ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগ করেন। তিনি তাদের শান্তির পথে ফিরে আসার আহ্বানও জানান। চিকিৎসাকর্মীরা জানিয়েছেন, সরকারী বাহিনীর গুলিতে বেশ কয়েকজন আহতও হয়েছেন। শুক্রবার বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড দিয়ে ও সাবেক বামপন্থী গেরিলাদের যাত্রাপথে বাধা সৃষ্টি করার আহ্বান জানায়। বিজয় র‌্যালি উপলক্ষে ওই এলাকাটিতে ক্যারাভ্যান চলাচলের জন্য লোকজনের যাতায়াত বন্ধ ও সীমিত করা হয়। ওর্তেগা এক সময় একনায়কত্বের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যোগ দেন সেই তিনিই এখন বিদ্রোহীদের হৃদয়ে ঘৃণিত ব্যক্তি হিসেবে পরিণত হয়েছেন। ওর্তেগা ও তার সমর্থকরা বিরোধীদের শক্তিশালী ঘাঁটিতে এক বিজয় র‌্যালির আয়োজন করছিলেন। বিজয় র‌্যালিটি ১৯৭৯ সালের জুন মাসে অনুষ্ঠিত সামরিক অভ্যুত্থানের সমর্থনে অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। এতে হাজার হাজার গেরিলা মানাগুয়া থেকে মাসায়ায় পুনর্গঠিত হয়ে অভ্যুত্থানটি ঘটায়। এর আগে ১৯ জুলাই বিজয় নিশ্চিত হয়। সে সময় দেশটির প্রেসিডেন্ট আনাসতাসিও সোমোজা পালিয়ে যান।
×