ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কূটনীতির রীতিনীতি উপেক্ষিত

ট্রাম্পের ব্যতিক্রমী ব্রিটেন সফর

প্রকাশিত: ০৪:৫০, ১৫ জুলাই ২০১৮

ট্রাম্পের ব্যতিক্রমী  ব্রিটেন সফর

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার ব্রিটেনে দুদিনের সফর শেষে স্কটল্যান্ডে তার অভিজাত গলফ রিসোর্ট দেখতে চলে গেছেন। শুক্রবার দিনের প্রথম দিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মের সঙ্গে সংবাদ সম্মেলন এবং বিকেলে উইন্ডসর প্রাসাদে রানি এলিজাবেথের সঙ্গে সাক্ষাত করে এমভি-২২ হেলিকপ্টারে করে লন্ডন ছাড়েন। গার্ডিয়ান ও বিবিসি। ট্রাম্পের এই সফরে কূটনৈতিক রীতিনীতি ঠিকমতো অনুসরণ করা হয়নি। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন বা বারাক ওবামার সফরের মতো ছিল না ট্রাম্পের এ সফর। ক্লিনটন তার সফরের সময় লন্ডনের হাইড পার্কে যান। ওবামা নিউপোর্টের একটি স্কুল পরিদর্শন করেন। রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে সফরের অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা পূরণের পাশাপাশি তারা সেসব পরিদর্শন করেন। তবে ট্রাম্পের এ সফর ছিল অনেকটাই ব্যতিক্রমধর্মী। এ সফরে কোন পার্ক বা স্কুল যেমন ছিল না তেমনি ছিল না ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রীট, বাকিংহাম প্যালেস কিংবা পার্লামেন্ট ভবনে বক্তৃতা প্রদান। উল্লেখ্য, গত বছর শুরুরদিকে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম বিদেশী রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে টেরেসা মে ওয়াশিংটন সফর করেন। এটি পুরোপুরি রাষ্ট্রীয় সফর ছিল না। একে দেখা যেতে পারে জার্মান চ্যান্সেলর এ্যাঞ্জেলা মেরকেল ও ব্রাসেলসে ন্যাটোশীর্ষ বৈঠকের মধ্যে একটি যাত্রা বিরতি হিসেবে। মে’র সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের সম্পর্ক সর্বোচ্চ পর্যায়ে আছে। তাই ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মে যা করবেন তা নিয়ে আমাদের কোন সমস্যা নেই। লন্ডন থেকে ৪০ মাইল দূরে প্রধানমন্ত্রীর অবকাশকালীন ভবনে ট্রাম্প তার সঙ্গে সাক্ষাত করেন। এদিকে ট্রাম্পের সফর উপলক্ষে শুক্রবার লন্ডনে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। ট্রাম্প পদত্যাগ করা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রশংসা করে বলেন, তিনি খুবই মেধাবী। বরিস জনসন একজন ভাল প্রধানমন্ত্রী হবেন বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন। ট্রাম্প বলেন, মে ব্রেক্সিট নিয়ে খুবই ভাল কাজ করছেন। ব্রেক্সিটের পর ব্রিটেনের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে বলে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জানান ট্রাম্প। লন্ডনের মেয়র সাদিক খানের সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেছেন, জঙ্গী বিরোধী লড়াইয়ে তিনি খুব বাজে কাজ করেছেন। জবাবে সাদিক খান বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের জন্য অভিবাসনকে অভিযুক্ত করা উদ্ভট মন্তব্য। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পরে তাকে নিয়ে এসব প্রতিবেদন ভুয়া বলে দাবি করেন।
×