ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলার আপীল শুনানি আজ শুরু

প্রকাশিত: ০৪:৪৮, ১৫ জুলাই ২০১৮

  জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলার আপীল শুনানি আজ শুরু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতের দেয়া পাঁচ বছরের দ- থেকে খালাস চেয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও অপর দুই আসামির আপীল এবং খালেদা জিয়ার সাজা বাড়াতে দুদকের আবেদনের শুনানি আজ রবিবার আবার শুরু হচ্ছে। শুনানির জন্য হাইকোর্টের কার্যতালিকায় মামলাটি ১১ নম্বরে রাখা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয় এবং আজ রবিবার পর্যন্ত মুলতবি করেন। ওই দিন আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন তার আইনজীবী আবদুর রেজাক খান ও আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন এ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। গত ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে পাঁচ বছরের কারাদ- দেন। একইসঙ্গে খালেদার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদ- দেন। ঘোষণার ১১ দিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রায়ের সার্টিফায়েড কপি (অনুলিপি) হাতে পান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এরপর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ২০ ফেব্রুয়ারি আপীল দায়ের করা হয়। গত ১২ মার্চ খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেয় হাইকোর্ট। হাইকোর্টের দেয়া ওই জামিন স্থগিত চেয়ে পরদিন ১৩ মার্চ আপীল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক। হাইকোর্টের দেয়া ওই জামিন স্থগিত চেয়ে ১৪ মার্চ আপীল বিভাগে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের শুনানি হয়। শুনানি শেষে খালেদা জিয়াকে হাইকার্টের দেয়া জামিনাদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপীল (আপীলের অনুমতি চেয়ে) দায়ের করতে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদককে নির্দেশ দেন আপীল বিভাগ। একইসঙ্গে খালেদা জিয়াকে দেয়া হাইকোর্টের জামিন ১৮ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করেন আপীল আদালত। এ আদেশ অনুসারে পরের দিন ১৫ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক লিভ টু আপীল দায়ের করেন।এ লিভ টু আপীলের ওপর শুনানি হয় ১৮ মার্চ। শুনানি শেষে আবেদনের ওপর আদেশের জন্য ১৯ মার্চ দিন ধার্য করেন আপীল বিভাগ। পরে ১৯ মার্চ আদালত লিভ টু আপীল মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে আপীল শুনানির জন্য ৮ মে দিন ধার্য করেন। তারপর আপীল শুনানি শেষে ১৬ মে রায় দেন আপীল বিভাগ। রায়ে খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বাতিল চেয়ে করা রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আপীল খারিজ করে দেন আপীল বিভাগ। একইসঙ্গে নিম্ন আদালতের দেয়া ৫ বছরের সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া যে আপীল করেছেন বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে তা আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেয় আপীল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপীল বেঞ্চ এ রায় দেন। পরে এই রায়ের অনুলিপি বিচারপতিদের স্বাক্ষর শেষে গত ১১ জুন প্রকাশিত হয়। এদিকে ১২ জুলাই এদিকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আপীল নিষ্পত্তি করতে আপীল বিভাগের আদেশের বিরুদ্ধে খালেদার রিভিউ আবেদন স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) রাখে আপীল বিভাগ। তবে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আপীল নিষ্পত্তি না হলে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আপীল শুনানির সময় বৃদ্ধির আবেদন জানানোর সুযোগ থাকবে বলে জানিয়েছে আদালত।
×