ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে ট্রাম্পকে ভারতের আমন্ত্রণ

প্রকাশিত: ০৪:৫৯, ১৪ জুলাই ২০১৮

 প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে ট্রাম্পকে ভারতের আমন্ত্রণ

ভারত আগামী বছরের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। টাইমস অব ইন্ডিয়া বৃহস্পতিবার এ কথা বলেছে। এটা ঘটলে নরেন্দ্র মোদি সরকার কয়েক বছরের মধ্যে পররাষ্ট্র নীতিতে সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে মাদল বাজাতে প্রলুব্ধ হয়ে উঠবেন হয়ত। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের। ভারত যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক জবাবের অপেক্ষায় রয়েছে এবং ওয়াশিংটনকে গত কয়েক সপ্তাহে ভারত সরকারকে এ আভাস দিতে বলা হয়েছে যে, এ বছর এপ্রিলে ভারতের পাঠানো আমন্ত্রণ ট্রাম্প প্রশাসনের অনকূল বিবেচনাধীন রয়েছে। অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের উপস্থিতি অনিশ্চিত হলেও, তিনি সত্যিই ভারতে আসতে চাইলে, প্রতিশ্রুতি দিলে তা হবে তার পূর্বসূরি বারাক ওবামার ভারত সফরের চেয়ে আরও বেশি নাটকীয়। ২০১৫ সালে মোদির প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ওবামা। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি রাজধানী এই পরিবর্তনশীল ও খিটখিটে স্বভাবের এ নেতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার লড়াই চালিয়েছে এবং ভারত কাঠখড় পুড়িয়ে শিখেছে যে, বিষয়টা এক কদাচিৎ ব্যতিক্রম। বাণিজ্য শুল্কে মতানৈক্য, ইরানের সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠ জ্বালানি ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক মেনে নিতে যুক্তরাষ্ট্রের অনীহা এবং রাশিয়াকে ভারতে এস-ফোর হান্ড্রেড ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্রয়ের চুক্তি প্রস্তাব ভারতকে অনেক অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে ফেলেছে যদি ভারত ওবামা প্রশাসনের মতো ট্রাম্পের অগ্রাধিকারমূলক তালিকায় থাকতে চায়। যুক্তরাষ্ট্র চেয়েছে দুই+দুই সংলাপ স্থগিত করতে যেখানে ভারত বাণিজ্য শুল্ক সমস্যার কিছুটা নিরসনের প্রত্যাশা করেছে। কারণ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পের নির্ধারিত তারিখে উত্তর কোরিয়া সফরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন একমাত্র ভারতীয় কর্তৃপক্ষের জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের স্থূল প্রকৃতিকে অতিরঞ্জিত করে দেখানোর জন্য। পম্পেও আসলে তার পিয়ংইয়ং সফরের সময় কিম জং উনের সঙ্গেই সাক্ষাত করেননি এ বিষয়টাও লক্ষ্য করার মতো। ট্রাম্পকে দৃঢ়তার সঙ্গে ভারত সরকারের আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মতপার্থাক্যগুলোর ব্যাপারে কিছু মনে করছে না নয়াদিল্লী এবং সেগুলো অলঙ্ঘনীয়। এও জানা যায় যে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সফর নিশ্চয়তা সাম্প্রতিক পররাষ্ট্র নীতির সমালোচনার জোয়ারকে বেশ কিছুটা থামিয়ে দেবে এবং ভারতের সাধারণ নির্বাচনের কয়েকমাস আগে বিষয়টা সরকারের জন্য এক উৎসাহ হিসেবে ভূমিকা রাখবে।
×