ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নিম্নমানের সামগ্রী ॥ ভেঙ্গে পড়ল পুকুরের পাড় রক্ষা প্রাচীর

প্রকাশিত: ০৬:৪৯, ১৩ জুলাই ২০১৮

নিম্নমানের সামগ্রী ॥ ভেঙ্গে পড়ল পুকুরের পাড় রক্ষা প্রাচীর

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহী মহানগরীর বিসিক এলাকার একটি পুকুর এবং পুকুরপাড়ের মাঠ সংস্কারের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রিথিন এন্টারপ্রাইজকে দায়িত্ব দেয় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। এ কাজের জন্য ব্যয় ধরা হয় এক কোটি টাকা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির সংস্কার কাজ শেষ না হতেই সামান্য বৃষ্টিতে হেলে পড়েছে পুকুরটির রক্ষা প্রাচীর। সিটি কর্পোরেশন মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করলেও অত্যন্ত নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের কারণেই প্রাচীর হেলে পড়েছে বলে অভিযোগ খোদ কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। জানা যায়, মহানগর বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল মেয়র থাকাকালে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রিথিন এন্টারপ্রাইজকে বিসিক এলাকার ওই পুকুর এবং পুকুরপাড়ের পুরনো একটি মাঠ সংস্কারের কাজটি দেয়া হয়। সংস্কার কাজের এই খরচ বহন করছে ভারতীয় হাইকমিশন। পুকুরটি রক্ষার জন্য এর চারপাশে রক্ষা প্রাচীর নির্মাণ করতে বলা হয়। এজন্য বরাদ্দ ধরা হয় প্রায় এক কোটি টাকা। কিন্তু নির্মাণ কাজে অবহেলা এবং নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করায় সামান্য বৃষ্টিতেই পুকুর রক্ষার জন্য নির্মিত প্রাচীরটি হেলে পড়ে। খবর পেয়ে সকালে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্ত প্রাচীরটি পরিদর্শন করেন। রাসিকের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ভুলের কারণে প্রাচীরটি হেলে পড়েছে। তিনি জানান, প্রাচীর নির্মাণের পর এর একপাশে অতিরিক্ত মাটি ফেলা হয়েছিল। এ জন্য প্রায় ৪০০ ফুট প্রাচীরের মধ্যে ৪০ ফুট হেলে যায়। প্রকৌশলী আশরাফুল হক বলেন, প্রাচীরটি ভেঙ্গে আবার নতুন করে তৈরি করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে এতে করে যে আর্থিক ক্ষতি হলো তার পরিমাণ জানাতে পারেননি তিনি। তবে রিথিন এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী তৌরিদ আল মাসুদ রনি বলেন, কাজে গাফিলতির কোন বিষয় নয়। আমরা শুধু রাসিকের করা ডিজাইনের বাস্তবায়ন করছি। রাসিক যে প্রতিষ্ঠনকে ডিজাইনের দায়িত্ব দিয়েছিল তাদের ডিজাইনে ত্রুটি ছিল, তাই এখন এই প্রাচীরটি হেলে পড়েছে। যতখানি ভিত দেয়ার প্রয়োজন ছিল ডিজাইনে তা করা হয়নি। কাজ শেষ না হতেই তাই প্রাচীরের ধারের ভরাট বালুর লোড নিতে পারেনি এই প্রাচীর। এ দায় আমাদের নয়। তিনি আরও জানান এই কাজের আনুমানিক ব্যয় প্রায় দেড় কোটি টাকা। এ কাজের পর পুকুরটির চারধারে ফুটপাত নির্মাণসহ আরও অনেক কাজ বাকি রয়েছে।
×