ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কুষ্টিয়ায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসি

প্রকাশিত: ০৬:৪৪, ১৩ জুলাই ২০১৮

কুষ্টিয়ায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসি

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুষ্টিয়া, ১২ জুলাই ॥ স্ত্রী মিলি আক্তার হত্যা মামলার রায়ে স্বামীর ফাঁসির আদেশ হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা দায়রা ও জজ মুন্সী মোঃ মশিয়ার রহমান এ রায় প্রদান করেন। দ-প্রাপ্ত ওই আসামির নাম তরিকুল ইসলাম টিটু। আদালত সূত্র জানায়, ১৯৯৮ সালে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার নওদা পাড়া গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমান হাবিবের কন্যা মিলি আক্তার কুটির সঙ্গে পাশের গ্রামের রিয়াজুল ইসলাম ওরফে রিজুর ছেলে তরিকুল ইসলাম টিটুর বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে তরিকুল ও তার পরিবার মিলি আক্তারের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে আসতে থাকে। এক পর্যায়ে যৌতুকের টাকা না দিতে পারায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন মিলি আক্তারকে তার বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। ২০০৯ সালের ৬ জুলাই বাপের বাড়িতে থাকা অবস্থায় স্বামী তরিকুল ইসলাম টিটু ও অন্যরা কৌশলে মিলিকে হত্যা করে। আমতলীতে সংঘর্ষে আহত শিশুর মৃত্যু নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা, ১২ জুলাই ॥ আমতলীর ছোট নীলগঞ্জ গ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনার আহত শিশু ইমাম হোসেন (২) সাতদিন চিকিৎসাধীন থেকে বৃহস্পতিবার বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছে। জানা গেছে, উপজেলার ছোট নীলগঞ্জ গ্রামের সোবাহান হাওলাদার ও তার চাচাত ভাই নুরুল ইসলাম হাওলাদারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ২১ শতাংশ পৈত্রিক জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে কয়েক দফা সালিশ বৈঠক হয়। গত ৫ জুলাই দুপুরে এ জমি নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সোবাহান হাওলাদার, নসু হাওলাদার, জাফর হাওলাদার, জালাল হাওলাদার ও তার লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে লিটন হাওলাদার, কুদ্দুস হাওলাদার, সুলতান প্যাদা ও আছমা বেগমকে কুপিয়ে আহত করে। এ সময় স্বামী লিটন হাওলাদারকে রক্ষায় শিমু এগিয়ে আসলে নসু হাওলাদার শিমুকে ধারালো অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এ সময় তার কোলে থাকা শিশু ইমাম হোসেন আহত হয়। দ্রুত আহতদের আমতলী হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ওই হাসপাতালে সাতদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে শিশু ইমাম হোসেন মারা যায়।
×