বিশেষ প্রতিনিধি ॥ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, প্রাকৃতিক নিয়ামকের সঙ্গে আর্থ-সামাজিক বিষয়ক কারণ যেমন হাওড়ের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা, সঠিক সময়ে বাঁধ নির্মাণ ও মেরামত না হওয়া, প্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয়ের অভাবসহ নানাবিধ কারণ দুর্যোগ ঝুঁকি বহুলাংশে বাড়িয়ে দিচ্ছে। এ ঝুঁকি নিরসনে আমাদের সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। বৃহস্পতিবার সকালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হাওড় এলাকায় অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যার কারণ চিহ্নিতকরণ ও ভবিষ্যত করণীয় নির্ধারণ শীর্ষক এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, হাওড় এলাকায় আকস্মিক বন্যার কারণ চিহ্নিতকরণ ও ঝুঁকি মোকাবেলায় করণীয় সম্পর্কে সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদফতর/দফতর ও জেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটি গুরুত্বপূর্ণ অনেকগুলো সুপারিশও করেছে।
তিনি বলেন, হাওড় অঞ্চল বাদ দিয়ে টেকসই দুর্যোগ সহনশীল বাংলাদেশ গঠন সম্ভব নয়। অন্যান্য এলাকার তুলনায় এ এলাকা সার্বিক উন্নয়নে পিছিয়ে রয়েছে।
এ নেতিবাচক অবস্থা থেকে এ বিশাল জনগোষ্ঠীকে রক্ষা করতে নিবিড় ও সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। এজন্য বিজ্ঞানী, গবেষক ও পরিকল্পনাবিদদের কাজ করতে হবে।
মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আপনাদের সুচিন্তিত মতামত ও সুপারিশ এ এলাকার মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে ভাগ্য পরিবর্তনে সহায়ক হবে। আপনাদের বাস্তবমুখী ও বাস্তবায়নযোগ্য গবেষণা ও সুপারিশ সরকার বাস্তবায়ন করতে প্রস্তুত রয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক প্রফেসর ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, ড. আইনুন নিশাত, ইমেরিটাস অধ্যাপক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপকগণ এবং বিভিন্ন বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ।
