ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

৫০ জন প্রতারিত ॥ গ্রেফতার ১৩

চাকরি দেয়ার নামে দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র

প্রকাশিত: ০৬:৩০, ১৩ জুলাই ২০১৮

চাকরি দেয়ার নামে দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চাকরি দেয়ার নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া প্রতারক চক্রের ১৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। চক্রটির হাতে ইতোমধ্যেই অন্তত ৫০ জন প্রতারিত হয়েছেন। প্রতারিতদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে অন্তত দেড় কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগ সিআইডির সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম। তিনি জানান, রাজধানীর বিভিন্নস্থানে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে সানলাইট গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোঃ আদনান তালুকদার ওরফে আল আমিন (৪০), পরিচালক খন্দকার মোঃ আলমগীর ওরফে মাসুম (৪২) ও মোঃ জহুরুল হক ওরফে মোঃ শাহজাহান মিয়া (৪২), সৈয়দ সাহরিয়ার সোহাগ ওরফে মোঃ আবু শাফি তালুকদার শাফিন (৩৮), প্রতিষ্ঠানটির গণসংযোগ কর্মকর্তা খালেদ মাহমুদ ওরফে মোঃ সবুজ মিয়া (৩২), মোঃ রহমত উল্লাহ সৌরভ ওরফে মোঃ দেলোয়ার হোসেন (৩৮), মোঃ হাফিজুর রহমান আল মামুন ওরফে মামুন লস্কর (৪০), মোঃ ইনছান আলী (৩৭), মোঃ সিরাজুল ইসলাম (৩৬), মোঃ নাদিম উদ্দিন (৩৮), মোঃ মেহেদী হাসান (৩৫), মোঃ হানিফ কাজী (৩২) ও মোঃ মামুনুর রশিদ (৩০)। চক্রের মূল হোতা আল আমিন। সিআইডি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলছেন, চক্রটি গণমাধ্যমে চোখ ধাঁধানো চাকরির বিজ্ঞাপন দেয়। সেখানে মোটা অঙ্কের বেতনের প্রলোভন দেখায়। ইন্টারভিউ শেষে চাকরি হয়ে গেছে জানিয়ে নির্ধারিত তারিখে যোগদান করতে বলা হয়। এরপর সিকিউরিটি মানি, পেনশন স্কিম এবং ব্যক্তিগত গাড়ি দেয়ার নামে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৩ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জমা নেয়। এরপর তারা টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। চক্রটির টার্গেট অবসরপ্রাপ্ত সরকারী-বেসরকারী চাকরিজীবীরা। ২০১৩ সাল থেকে চক্রটি এখন পর্যন্ত ফরচুন গ্রুপ অব কোম্পানিজ, রেক্সন গ্রুপ অব কোম্পানিজ, ইস্টার্ন গ্রুপ অব কোম্পানিজ, কেয়া গ্রুপ অব কোম্পানিজ, নেক্সাস গ্রুপ অব কোম্পানিজ, সানলাইট গ্রুপ অব কোম্পানিজ, ম্যাক্স ভিশন গ্রুপ অব কোম্পানিজ নামে বহু মানুষের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এখন পর্যন্ত চক্রটির অন্তত ৫০ জনের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার তথ্য মিলেছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় চারটি মামলা আছে। ইতোপূর্বে তারা র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও মানি লন্ডারিং আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
×