ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রী সমীপে...

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ১৩ জুলাই ২০১৮

প্রধানমন্ত্রী সমীপে...

২৫ জুন ২০১৮ সোমবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কিছু দিক-নির্দেশনা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। দ্বিতীয়টি ২৩ জুন ২০১৮ শনিবার গণভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায়, দলের নেতাদের উদ্দেশে দেয়া ভাষণের একটি অংশ- ‘জনগণ ভোট না দিলে দায় আপনাদেরই।’ দূরপাল্লার চালকদের একটানা ৫ ঘণ্টার বেশি গাড়ি না চালানোর নির্দেশনা যদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেই দিতে হয়Ñ তা হলে আমি মনে করি নিম্নলিখিত বিষয়গুলো তাঁর নির্দেশনা ছাড়া গতি নেই! ১. কোন সড়ক আড়াআড়িভাবে খুঁড়ে কাজ শেষ করার বেলায় (যে সংস্থাই করুক) সঙ্গে সঙ্গেই পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু করতে হবে। এক্ষেত্রে খুঁড়তে শুরু করার আগের দিন পুনর্নির্মাণের সাজসরঞ্জাম এনে রাখতে হবে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের এভাবেই নির্দেশ দেয়া থাকবে। হাজারও দৃষ্টান্ত আছে যে, বছর পেরিয়ে গেছে পুনর্নির্মাণ করা হয়নি। ২. নর্দমা পরিষ্কার, ভূগর্ভস্থ পয়ঃলাইন পাইপ স্থাপন কাজে, উত্তোলন করা আবর্জনা, মাটি, পাশে স্তূপ করে না রেখে সঙ্গে সঙ্গেই ট্রাকে/৩ চাকার ভ্যান গাড়িতে ভরে সরিয়ে নিতে হবে। পাইপের আয়তনের সমপরিমাণ মাটি-রাবিশের কোন প্রয়োজন নেই। ফলে মিরপুর সড়ক বা প্রগতি সরণির মতো সড়কের একটি লেইন বন্ধ হয়ে যায়। আর সরু পথ পাশ দিয়ে হাঁটা-চলা, সাইকেল, রিক্সা চলাচল করতে পারে। তা না হলে পাশ দিয়ে হাঁটাও অসম্ভব। পাইপ বসানো গর্তের ওপর পুরু কাঠের/লোহার পাটাতন বিছিয়ে দিলে গাড়িও চলাচল করতে পারে। কিছু ব্যয় বৃদ্ধি পেলেও, মধ্যযুগীয় কায়দায় (এখন যেভাবে করা হচ্ছে) নির্মাণযজ্ঞ চালানোর ফলে যে ক্ষতি হচ্ছে তার তুলনায় ‘যৎসামান্যই’ বৃদ্ধি পাবে। ৩. জঈঈ পদ্ধতিতে ফুটপাথ, রাস্তা নির্মাণের ক্ষেত্রে নির্মাণস্থলের পাশে ‘সুরকি/নুড়ি-বালি-সিমেন্ট’ মিশিয়ে কংক্রিট তৈরি করে ঢালাই করার ‘হাস্যকর’ প্রথা বন্ধ করতে হবে। তার বদলে শুধু জবধফু গরী ঈড়হপৎবঃব ব্যবহার করতে হবে। (এতে এক মাসের কাজ তিনদিনে শেষ হবে, জনগণ হাঁফ ছেড়ে বাঁচবে!) ৪. এড়াঃ. ওহভড়, মোবাইল ফোন অপারেটররা মোবাইল ফোনে আর্থিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান জড়সধহ হরফ ব্যবহার করে ‘বাংলা’ খুদে বার্তা (‘ধধল ৃ উরনড়ংয. অংযঁহৃ’, ‘সবুধফ ৭ ফরহৃফরধষ শড়ৎঁহৃ’, ‘২০% ঢ়ড়ৎলড়হঃড়ৃ ৬০০ : র-ৎ নবংযর ফড়শধহ র’ ইত্যাদি) পাঠাতে পারবে না। এমনিতেই নতুন প্রজন্ম জড়সধহ হরফ ব্যবহার করে ‘বাংলা’য় বার্তা দেয়া-নেয়া করে। সরকারী ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে একইভাবে চললে ওরা ভাববে এটিই নিয়ম এবং ‘বাংলা’ ভুলতে বসবে। ৫. ইজঞঈ-র দোতলা বাসগুলো যাতে সড়ক বিভাজকের গাছের ডালগুলোর সঙ্গে গোতা খেয়ে কপালের দু’পাশে বিশ্রী ক্ষতের সৃষ্টি করতে না পারে এ জন্য চালকরা দোতলা বাস কখনই ১ম লেনে (যেসব সড়ক বিভাজকে বড় গাছ আছে) চালাতে পারবে না এবং ইজঞঈ-র সব বাস ডিপোতে ফিরে যাওয়ার পর ঠধপঁঁস ঈষবধহবৎ দিয়ে কাগজ-পলিথিন ইত্যাদির (যা আমরা অবলীলায় বাসের মধ্যেই ফেলি) আবর্জনা, ধুলাবালি শুষে নিয়ে ও ঐড়ংব চরঢ়ব দিয়ে পানি ছুড়ে রোজ ধোয়া-মোছা করতে হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মতো ৭০ বছরের পুরনো একটি রাজনৈতিক দল যার শিকড় বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামে গ্রোথিত, সেই ঐতিহ্যবাহী দলটির তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদের (কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া) কার্যকলাপ বিভিন্ন দিবস, উৎসব এবং সম্মেলনের প্রাক্কালে পোস্টার, ব্যানার ও তোরণ নির্মাণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। এসব ব্যানার ও তোরণ কয়েকদিন পর সরিয়ে ফেলতে হবে, সেই নির্দেশনাটিও প্রধানমন্ত্রীকেই দিতে হবে। কারণ কেন্দ্রীয় নেতাদের ছবিসহ বিশাল ব্যানারগুলো ধুলাবালি, ধোঁয়া ও ঝড়-বাদলে বিশ্রীভাবে ছিন্নভিন্ন হয়ে এবং তোরণগুলো ভেঙ্গে পড়ে জনগণ ও যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত এগুলো সরে না। তাও ‘টোকাই’ অথবা আবর্জনা পরিষ্কার করার দায়িত্বে থাকা কোন ‘কর্তৃপক্ষে’র ভ্যান বা ট্রাকের দ্বারা। যারা ওগুলো স্থাপন করেছিলেন তাদের কোন দায় নেই! হাতিরঝিল সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ইঞঠ ভবনের পাশে যানবাহন নিরবচ্ছিন্ন চলাচলের জন্য যে ট খড়ড়ঢ় তৈরি করা হয়েছে (যার ফলে বনশ্রী-রামপুরা-মেরুলের ট্রাফিক অবস্থার অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে), তেমন একটি ট খড়ড়ঢ় মধ্য বাড্ডা প্রান্তে নির্মাণাধীন গত প্রায় ৩ বছর ধরে! এটির একটি কারিগরি বৈশিষ্ট্য হলো যে, এর ট আকৃতির দুই প্রান্তের জঈঈ ঝঃৎঁপঃঁৎব-এর অঢ়ঢ়ৎড়ধপয ও উবংপবহফ-এর মধ্যখানের ঐড়ৎংব ঝযড়ব অংশটুকু লোহার বিভিন্ন সাইজের ইড়ী দিয়ে জোড়া লাগানো কাঠামোর ওপর জবধফু গরী ঈড়হপৎবঃব ঢালাই করে প্রস্তুত। এতে প্রযুক্তিগত কী সুবিধা নিয়ে জনগণের কোন মাথাব্যথা নেই। জনগণের ভাবনার দিক হলো এই যে, এতে নিশ্চয় নির্মাণকালীন অনেক কম লাগবে ও পুরোটা জঈঈ ঝঃৎঁপঃঁৎব-এর তুলনায় অনেক বেশি টেকসই হবে। প্রথম ট খড়ড়ঢ়টি নির্মাণের সময়ই এই ঐড়ৎংব ঝযড়ব অংশটুকুতে যথেষ্ট সময় অপচয় হয়েছে। জনগণ ভেবেছেন নতুন প্রযুক্তি, তাই হয়ত কিছু একটা হয়েছে। হতেই পারে। সমস্যা বাধল একই প্রযুক্তি ব্যবহার করে মধ্য বাড্ডা প্রান্তে ট খড়ড়ঢ় নির্মাণের ক্ষেত্রে! দুই প্রান্তের জঈঈ ঝঃৎঁপঃঁৎব-এর অঢ়ঢ়ৎড়ধপয ও উবংপবহফ-এর নির্মাণ কাজ শেষ; কিন্তু মধ্যখানের ঐড়ৎংব ঝযড়ব অংশটুকু লোহার বিভিন্ন সাইজের ইড়ীগুলো জোড়া লাগানো আর শেষ হয় না! পশ্চিম প্রান্তের দুটো ইড়ী-এর মাঝখানে একটা ফাঁক থেকেই যাচ্ছে। একবার দেখা গেল পশ্চিম প্রান্তের ফাঁকাটা মেটানো হয়েছে; কিন্তু পূর্ব প্রান্তে দুটি নতুন ফাঁক সৃষ্টি হয়েছে! এভাবেই চলেছে মাসের পর মাস। সাংবাদিকরা খোঁজ করতে গেলে ‘কর্তৃপক্ষ’ (জঅঔটক) বলেন, ভূমি অধিগ্রহণে আইনগত জটিলতা ও সার্ভিস লাইন সরাতে দেরি হওয়ায় এই কালক্ষেপণ। সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য বক্তব্য। এই তোতা পাখির বুলি ৬ মাস আগেও বলেছেন। দুই প্রান্তের জঈঈ ঝঃৎঁপঃঁৎব- এর অঢ়ঢ়ৎড়ধপয ও উবংপবহফ-এর নির্মাণ কাজ শেষ, ঐড়ৎংব ঝযড়ব অংশটুকু পড়েছে প্রায় ২৫ বছর পূর্বে নির্মিত প্রগতি সরণির ওপর। এখানে ভূমি অধিগ্রহণে আইনগত জটিলতা কোত্থেকে এলো? ভূমি অধিগ্রহণ করে পূর্ব প্রান্তের একটি পুকুর ভরাট ও একটি বাড়ির সামনের অংশ ভেঙ্গে কবেই ফুটপাথ পর্যন্ত নির্মাণ প্রায় শেষ। পশ্চিম প্রান্তেও তাই। তাহলে সমস্যাটা কোথায়? সেই মধ্যখানের ঐড়ৎংব ঝযড়ব অংশটুকু! যে কোন কারণেই হোক। অবশেষে গত ঋবনৎঁধৎু-র ১১ বা ১২ তারিখে (আমি দেখেছি ১২ তারিখে) সেই ফাঁকা অংশটুকু মেটানো হয়েছে। জনগণ দু’হাত তুলে দোয়া করল- এখন জবধফু গরী ঈড়হপৎবঃব ঢালাই হয়ত মাস খানেকের মধ্যেই শেষ হবে, অবসান হবে হাতিরঝিলের মেরুল প্রান্ত থেকে আসা রামপুর-বনশ্রীমুখী যানবাহনের জন্য সৃষ্ট নরক যন্ত্রণা! হায়রে দুর্ভাগা জনগণ! এই ঢালাই শেষ হতে ঔঁহব-এর দ্বিতীয়ার্ধ পার! ‘কর্তৃপক্ষ’ (জঅঔটক) বলেছেন অঁমঁংঃ-এ যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। যখন বোঝা গেল যে, সমস্যা হচ্ছে, তখন কয়েক কোটি টাকা গচ্চা দিয়ে ওৎড়হ ইড়ী গুলো ফেলে দিয়ে ঐড়ৎংব ঝযড়ব অংশ টুকুও জঈঈ ঝঃৎঁপঃঁৎব-এ করে ফেলে, কয়েক হাজার কোটি টাকার সাশ্রয় করলে কী অসুবিধা হতো? প্রকল্প ব্যয় বাড়ানোর খবর তো আমরা প্রায়ই পত্রিকায় পড়ি। ঊঈঘঊঈতে প্রকল্প ব্যয় কমানোর খবরও তো আমরা পত্রিকায়ই পড়ি। ‘বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ’ ঘবমড়ঃরধঃরড়হ-এর মাধ্যমে ঔওঈঅ অর্থায়নে নির্মাণাধীন কাঁচপুর, মেঘনা ১ম ও মেঘনা ২য় সেতুর নির্মাণ ব্যয় এবং সময় দুটিই কমিয়েছেন! এ জন্য জনগণ সংশ্লিষ্ট ‘কর্তৃপক্ষ’কে সাধুবাদও জানিয়েছে। আপাতত শেষ দুঃখের কথাটি লিখছি। আগারগাঁওয়ের ইওউঅ (বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) ভবনটি আমাদের প্রধানমন্ত্রীই উদ্বোধন করেছিলেন। খরভঃ খড়ননুর চারপাশে মেঝে থেকে ছাদ পর্যন্ত আকারের রঙিন পোস্টার সাঁটা। এক পাশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাস্যোজ্জ্বল প্রাণবন্ত ছবি ও অন্য পাশে ‘কর্তৃপক্ষে’র বক্তব্যসমূহ। ‘কর্তৃপক্ষে’ বলছেন: ইটওখউওঘএ ঞঐঊ ঋঙটঘউঅঞওঙঘ ঙঋ অ উঊঠঊখঙচঊউ ঘঅঞওঙঘ টঝউ ৪২০ ইওখখওঙঘ ঝটএএঊঝঞঊউ ওঘঋজঅঝঞজটঈঞটজঊ ঊঢচঊঘউওঞটজঊ লক্ষ্য করার বিষয়, ‘কর্তৃপক্ষে’ কেবল ‘ঝটএএঊঝঞ’ করেছেন। এটি কোন চুলচেরা পরিসংখ্যানের মাধ্যমে প্রাপ্ত সংখ্যা নয়! ‘কর্তৃপক্ষে’ কী টঝউ ৪১৯ ইওখখওঙঘ বা টঝউ ৪২১ ইওখখওঙঘ বলতে পারতেন না? আমাদের বা উপ-মহাদেশের সমাজে ৪২০ বলতে কী বোঝায়? তাও আবার লাল কালিতে! এটি ‘কর্তৃপক্ষে’র কর্তাব্যক্তি বা দলীয় নেতাদের কারোই চোখে পড়ল না? আমি তো প্রথম যেদিন ওখানে গিয়েছি সেদিনই দৃষ্টিকটু লেগেছে! এগুলোর খোঁজখবরও যেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে রাখতে হবে! মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলব, ‘কর্তৃপক্ষ’ ও ‘নেতাদের’ সবাই আপনার-আমার আত্মীয়স্বজন, পরিচিতজন অথবা প্রিয় দেশবাসী (অবশ্যই স্বাধীনতাবিরোধী ও তাদের পুনর্বাসনকারীদের ঘাপটিমেরে থাকা অমবহঃ চৎড়াড়পধঃবঁৎং ছাড়া), এখন তো আর হাজার মাইল দূরের বিজাতীয় সংস্কৃতির লোকজন নেই। সব উন্নয়ন প্রকল্পে তাদেরও প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ করের অর্থ রয়েছে। তবে কেন উপরোল্লিখিত বিষয়গুলো তাদের নজরে আসে না? হাঁটু অবধি পানিতে যখন কোন মা-বাচ্চা রিক্সাসমেত কাত হয়ে পড়ে গিয়ে অবর্ণনীয় কষ্টের শিকার হন, তখন তাদের অন্তরে কী একটুও আঘাত লাগে না? রাস্তার খানাখন্দগুলো দ্রুতই কার্পেটিং করে দিলে তো আর এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আজকের বাংলাদেশ যদি সেই দুঃস্বপ্নের দেশ হতো অঢ়ৎরষ মাসের মাঝামাঝি চধৎরং-এ একটি ‘ঈষঁন’-এর (অরফ ঈড়হংড়ৎঃরঁস) বৈঠকে প্রাপ্ত সাহায্য ছাড়া, ‘জাতীয় বাজেট’ প্রণয়ন করতে হয়তো পারতো না। কিন্তু আজকের বাংলাদেশ, যা আপনার ঐকান্তিক আগ্রহ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এবং দেশের কোটি কোটি কৃষক-শ্রমিক, ছাত্র-জনতা ও মা-বোনের শ্রম-নিষ্ঠার ফলে বিশ্বে একটি জড়ষব গড়ফবষ-এ পরিণত হয়েছে, সেই দেশে উপরোউক্ত সমস্যাগুলো (যা সামান্য উদ্যোগেই নিরসন করা যায়) কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। এ ধরনের আরও প্রচুর দৃষ্টান্ত আছে, যা একদিনে শেষ হবে না। তাই বিষয়গুলো দৃষ্টি দেয়া জরুরী। Email : [email protected]
×