ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মাসুদ পারভেজ রুবেল

একে অপরের জন্য

প্রকাশিত: ০৬:৫৩, ১২ জুলাই ২০১৮

একে অপরের জন্য

উন্নয়নের ছোঁয়া পেতে কর্মক্ষেত্রে পা রাখছেন গৃহিণীরা। ঘরের কাজ করে নারী কোন বেতন বা পারিশ্রমিক পান না। আর এই কাজগুলো নারীরাই বেশি করেন। শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণ দিন দিন বাড়ছে- কিন্তু ঘরের কাজ বাদ দিয়ে নয়। অর্থাৎ একই সঙ্গে তারা ঘরের কাজও করছেন। ফলে তারা পর্যাপ্ত বিশ্রাম বা অবসর পাচ্ছেন না। এতে কর্মজীবী নারীদের মানসিক চাপ বাড়ার আশঙ্কা থাকছে। এক জরিপে দেখা যায়, পুরুষ ও নারী উভয়েই কর্মজীবী এমন পারিবারিক পরিবেশে শতকরা ৮৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই রান্নার কাজ নারী করেন। অন্য জরিপে দেখা গেছে শ্রমবাজারে পুরুষের তুলনায় নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে। দেশে ৭২.৬ শতাংশ বিবাহিত নারী স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়-স্বজনের কাছে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। বাংলাদেশের যত নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে, এর প্রায় ৭৭ শতাংশ হয় পারিবারিক পরিসরে। নারীদের দুর্বলতার সুযোগ নেয় পুরুষেরা। একটা সুন্দর দাম্পত্য সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই রাখতে হয় সমান ভূমিকা। যদিও পুরুষশাসিত সমাজে প্রায়শই দায়িত্বের বাড়তি দায় চাপে রান্নার দায়িত্ব সামলানো স্ত্রীর উপরই। তবে সময়ের সঙ্গে মানুষের জীবনযাত্রায় যেমন পরিবর্তন এসেছে তেমনি পরিবর্তন এসেছে দৃষ্টিভঙ্গিতেও। তাই সংসার সুন্দর মসৃণ করতে সঠিক দায়িত্ব পালনের দায় রয়েছে স্বামীদেরও। সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে এই কথাটি যেমন সত্যি তেমনি স্বামীরও দায়িত্ব আছে সংসারকে সুখী করে গড়তে। সর্বোপরি নিজের বাড়ি কিংবা শ্বশুরবাড়ি উভয় দিকের আত্মীয়রাই যেন সমান মনোযোগ পান সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই। অহেতুক একে অন্যের ভুল না ধরে আলোচনার ভিত্তিতে সব সমস্যার সমাধান খোঁজার দিকেও মনোযোগী হতে হবে। সকল নারী-পুুরুষ একে অপরের কাজে সাহায্য করুক এই আমার প্রত্যাশা। নটানপাড়া, রৌমারী থেকে
×