স্টাফ রিপোর্টার ॥ পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমান ও তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রতœার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল করতে নোটিস দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় থেকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে সম্পদের বিবরণী প্রদান করতে বলা হয়েছে। দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) বিষয়টি জনকণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নোটিসে ডিআইজি মিজানকে সাত দিনের মধ্যে তার নিজের ও নির্ভরশীল ব্যক্তিদের নামে থাকা সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে ডিআইজি মিজান ও তার স্ত্রীর অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে। এর আগে অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে গত ৩ মে মিজানকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। গত ৩ মে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদের পর সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসায় ডিআইজি মিজান বলেছিলেন, ট্যাক্স ফাইলের বাইরে আমার কোন সম্পদ নেই, বাকিটুকু আপনারা তদন্ত কর্মকর্তাকে জিজ্ঞেস করতে পারেন।
দুদক সূত্র জানায়, ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার সাভারে পুলিশ অফিসার্স হাউজিং সোসাইটিতে তার নিজের নামে পাঁচ কাঠা জমি, পূর্বাচল নতুন শহর এলাকায় ৫ কাঠা, পুলিশ অফিসার্স বহুমুখী সমবায় সমিতির অধীনে অ্যাডভান্স পুলিশ টাউনে সাড়ে ৭ কাঠার প্লট ছাড়াও বরিশালের মেহেদিগঞ্জ পৌরসভা এলাকায় ৩২ শতাংশ জমিতে ২৪০০ বর্গফুটের দোতলা ভবন থাকার তথ্য দুদকের অনুসন্ধানে এসেছে।
অন্যদিকে ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া রতœার নামে উত্তরা রেসিডেন্সিয়াল মডেল টাউনে ১৭৫০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাটের মালিকানার তথ্যও দুদকে অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া মিজানের ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান স্বপনের নামে রাজধানীর নিউ বেইলি রোডে ২৪০০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। মেহেদীগঞ্জের ওষুধ ব্যবসায়ী মাহবুবুরের এই ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে তার বড় ভাই মিজানের বিনিয়োগ থাকতে পারে বলে দুদকের সন্দেহ। এছাড়া মিজানের ভাগ্নে রাজধানীর কোতোয়ালি থানার এসআই মাহামুদুল হাসানের নামে নগরীর পাইওনিয়ার রোডে ১৯১৯ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট থাকার বিষয়টিও দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে দেখা গেছে।
এ বছরের জানুয়ারিতে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানের বিরুদ্ধে স্ত্রী-সন্তান রেখে আরেক নারীকে জোর করে বিয়ে ও নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যেই এক নারী সংবাদ পাঠককে হুমকি দেয়ার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। পরে তাকে ডিএমপি থেকে সরিয়ে দেয়া হয়।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: