ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জাভান হোটেলে অভিযান ॥ বিপুল মাদক উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ১১ জুলাই ২০১৮

জাভান হোটেলে অভিযান ॥ বিপুল মাদক উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ উত্তরা ক্লাবের পর জাভান হোটেলে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিদেশী মদ ও বিয়ার উদ্বার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। এ সময় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় মাদক পরিদর্শক কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। রাজধানীর উপকণ্ঠ শহীদ কেয়ামুদ্দিন মাস্টার রোডের জাভান হোটেলে রবিবার রাতে অভিযান চালিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। এ সময় হোটেল থেকে ২ লাখ ১৫ হাজার টাকার সমমূল্যের ৩৬ লিটার বিলাতি মদ ও ৭২ ক্যান হ্যানিক্যান বিয়ার, যৌনবর্ধক ওষুধ ও তিনটি মোবাইল ফোনসেট উদ্ধার করা হয়েছে। ঢাকা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে একটি টিম জাভান হোটেলে বিশেষ অভিযান চালায়। এ সময় কাউন্টার থেকে প্রতিষ্ঠানটির তত্ত্বাবধায়ক তুহিন আহমেদ, ম্যানেজার মোঃ হুমায়ুন কবির ও ক্যাশিয়ার শাহরিয়ার আহমেদকে আটক করা হয়। পরে কাউন্টারের নিচ থেকে মদের বোতল ও বিয়ারের ক্যানগুলো উদ্ধারের পর জব্দ করা হয়। ডিএনসি’র সহকারী পরিচালক খুরশিদ আলম বলেন, লাইসেন্স না নিয়ে অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে টঙ্গী থানা পুলিশকে ম্যানেজ করেই প্রকাশ্যে হোটেলটিতে মদ ও বিয়ার বিক্রি করা হতো। সেখানে প্রতি রাতে ডিজে পার্টিসহ নানা ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ চলতো। হোটেলটির মালিক শেখ বাদল আহমেদ। তিনি প্রবাসী। গ্রেফতারের পর আসামিরা জানিয়েছে, টঙ্গী থানা পুলিশ ও গাজীপুর মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের যোগসাজশেই এ ক্লাবে বসতো মাদকের বিশেষ আসর। এখানে বেশিরভাগই রাজধানীর উত্তরা আব্দুল্লাহপুর ও টঙ্গী এলাকার মাদকাসক্ত টিনএজাররা মাদকের আসর বসাতো। দিনভর স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্লাস ফাঁকি দিয়ে এখানে ইয়াবা সেবন করার সুযোগ পেতো। রাতে ডিজে পার্টিতে অংশ নিতো রাজধানীর দাগি অপরাধী ও মাদকসেবীরা। ভেতরে পার্টি চলাবস্থায় টঙ্গী থানার পুলিশ নিয়মিত মাসোহারার বিনিময়ে পুলিশী পাহারার ব্যবস্থা করতো। এসব অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে টঙ্গী থানার ওসি কামাল বলেন, আমাদের কাছে কেউ কোন অভিযোগ নিয়ে আসেনি। সে জন্য জানতে পারিনি। আমি কোন উৎকোচ খাইনি। তবে আমার কোন স্টাফ খেয়েছে কিনা তা আমার জানা নেই। অভিযোগ রয়েছে- অবৈধ এ ক্লাবটি বন্ধ করার জন্য স্থানীয় উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা বারবার দাবি জানালেও পুলিশ তাতে সাড়া দেয়নি। এমনকি স্থানীয় মাদকদ্রব্য বিভাগ কর্তৃপক্ষও পুলিশের সঙ্গে একই সুবিধাভোগী হওয়ায় কোন অভিযান চালায়নি। এক পর্যায়ে ক’জন অভিভাবক মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সদর দফতর তেজগাঁও এসে এ বিষয়ে সহযোগিতা চাইলে অতিরিক্ত পরিচালক ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে সেখানে অভিযান চালানো হয়। ওই এলাকায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কার্যালয় থাকার পরও কেন সেখানে সদর দফতরের টিমকে গিয়ে অভিযান চালাতে হয়েছে প্রশ্ন করা হলে মহাপরিচালক জামালউদ্দিন জনকণ্ঠকে বলেন, এটা হতে পারে। তারপরও এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। মাদকের বিষয়ে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করেই বর্তমানের সব কর্মকা- চলছে।
×