ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মী নিয়োগের তাগিদ

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ১১ জুলাই ২০১৮

সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মী নিয়োগের তাগিদ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১৯ ক্যাটাগরিতে কর্মী নিয়োগের বিষয়ে তাগিদ দিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নমিতা হালদারের সঙ্গে ঢাকায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মোহাম্মদ আল মিহিরির সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ তাগিদ দেয়া হয়। এ বছরের ২৩ এপ্রিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে কর্মী নিয়োগের বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। ওই চুক্তির পরই দেশটি বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের ঘোষণা দেয়। কিন্ত ওই ঘোষণা এখনও বাস্তবে রূপ নেয়নি। দুই দেশের মধ্যে গঠন হয়নি ‘জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটি’। ফলে এখন পর্যন্ত কোন কর্মী আরব আমিরাতে যেতে পারেনি। সূত্র জানিয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী তিন মাসের মধ্যে ১৯ ক্যাটাগরিতে কর্মী নিয়োগ শুরু হবে। তার আগে দুই দেশের মধ্যে গঠন হবে নতুন করে জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটি। এই কমিটি ঠিক করবে কোন প্রক্রিয়ায় কর্মী নিয়োগ হবে। কর্মী নিয়োগে কোন জনশক্তি রফতানিকারকের ভূমিকা থাকবে না। ফলে এই বাজারে সিন্ডিকেট হওয়ার কোন সুযোগ নেই। ১৯ ক্যাটাগরিতে লোক নেয়ার বিষয়ে যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে, তার অধীনে দুই দেশকে নিয়ে কমিটি গঠন করার কথা ছিল। আর এই কমিটি ঠিক করবে কীভাবে কত খরচে লোক যাবে। অভিবাসন ব্যয় (মাইগ্রেশন কস্ট), মেডিক্যাল থেকে শুরু করে প্রতিটি বিষয় জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটি ঠিক করবে। দুই দেশের মধ্যে গঠিত কমিটিই সব কিছু দেখবে। তবে জনশক্তি পাঠাতে যদি ওয়াকিং কমিটি মনে করে জনশক্তি রফতানিকারকদের দরকার-সে ক্ষেত্রে তাদের এখানে সংযুক্ত করা হতে পারে। ১৯ ক্যাটাগরির সবই গৃহকর্মী। গৃহকর্মীরা অনেকটা বিনা টাকায় দেশটিতে যাবেন। সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী কর্মী নিয়োগ ২৩ এপ্রিল থেকেই কার্যকর হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের মানবসম্পদ ও এমিরাটাইজেশন মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধায়নে কর্মী নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান, ‘তদবির সেন্টার’ অর্থাৎ ‘ম্যানেজমেন্ট সেন্টারের’ মাধ্যমে বাংলাদেশী কর্মীদের নিয়োগ করা হবে। ‘তদবির সেন্টারটি’ ইউএই সরকারের মানবসম্পদ ও এমিরাটাইজেশন মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে সরাসরি কাজ করবে। এ কাজে ওই দেশের অন্য কোন রিক্রুটমেন্ট এজেন্সির কোন ভূমিকা থাকবে না। তারা যদি মনে করে এজেন্সি দিয়ে কর্মী নিয়োগ করবে তাহলেই কেবল সম্ভব। অন্যথায় কোন জনশক্তি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান এখানে কাজ করার সুযোগ পাবে না। সংযুক্ত আরব আমিরাতে যে ১৯টি ক্যাটাগরিতে কর্মী যাবেন সেগুলো হচ্ছে, হাউসমেড (গৃহকর্মী), প্রাইভেট সেইলর (ব্যক্তিমালিকানাধীন জাহাজের নাবিক), ওয়াচশ্যান এ্যান্ড সিকিউরিটি গার্ড (নিরাপত্তাকর্মী), হাউসহোল্ড শেফার্ড (রাখাল), ফ্যামিলি চোফার (গাড়িচালক), পার্কিং ভ্যালে ওয়ার্কার্স (গাড়ি পার্কিংয়ের কর্মী), হাউসহোল্ড হর্স গ্রুমার (ঘোড়া পালার সহিষ), হাউস ফ্যালকন কেয়ারটেকার এ্যান্ড ট্রেইনার (বাজপাখি পালক), ডমেসটিক লেবার (গৃহভৃত্য), হাউস কিপার (গৃহ তত্ত্বাবধায়ক), প্রাইভেট কোচ, বেবি সিটার (শিশু পরিচর্যাকারী, হাউসহোল্ড ফার্মার (কৃষি কর্মী), গার্ডেনার (মালি), প্রাইভেট নার্স (ব্যক্তিগত সেবিকা, প্রাইভেট পিআরও (ব্যক্তিগত সহকারী), প্রাইভেট এগরিকালচার ইঞ্জিনিয়ার (কৃষিবিদ), কুক (পাচক)।
×