ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বসিক নির্বাচন ॥ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত চার কাউন্সিলর

সরোয়ারের ‘সব চাই’ প্রকল্পে তৃণমূলে অসন্তোষ ॥ ভাল অবস্থানে সাদিক

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ১১ জুলাই ২০১৮

সরোয়ারের ‘সব চাই’ প্রকল্পে তৃণমূলে অসন্তোষ ॥ ভাল অবস্থানে সাদিক

খোকন আহম্মেদ হীরা, বরিশাল ॥ সিটি নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশে মঙ্গলবার প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সকাল থেকে নগরীর কাশিপুর এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ প্রতীক বরাদ্দের কার্যক্রম শুরু হয়। চলে বিকেল পর্যন্ত। তবে প্রতীক পেয়েই অনেকে প্রচারে শুরু করে দিয়েছেন। বিশেষ করে কোন কোন প্রার্থীর পক্ষে রিক্সা বা অটোরিক্সাযোগে মাইকিংও শুরু করা হয়েছে। বরিশাল সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ মুজিবুর রহমান জানান, দুপুর ১২টার দিকে মেয়র প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। এর আগে সকাল থেকে নির্ধারিত সময়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডের সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলরদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সূত্রমতে, ছয়জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে দলীয় নৌকা প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন বিএনপির প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার, লাঙল প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপস, ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন তাদের সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মাওলানা ওবাইদুর রহমান মাহবুব, বাসদ মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডাঃ মনীষা চক্রবর্তী পেয়েছেন মই প্রতীক এবং সিপিবির প্রার্থী একে আজাদ পেয়েছেন কাস্তে প্রতীক। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিটি নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন খান জানান, যাচাই-বাছাই ও প্রত্যাহার কার্যক্রম শেষে বিসিসির নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী ছয়জন, সাধারণ কাউন্সিলর ৯৪ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ৩৫ জন প্রার্থী রয়েছেন। তিনি আরও বলেন, প্রতীক পাওয়ার পর প্রার্থীরা নির্বাচনী বিধি-নিষেধ মেনে প্রচার চালাতে পারবেন। প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে বিএনপির প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার, জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী ওবাইদুর রহমান মাহবুব নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়া নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়ে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি করেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার মেয়র প্রার্থী তারুণ্যের অহঙ্কার সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, ইনশা আল্লাহ বরিশাল সিটি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ এবং পুরো নির্বাচনী কার্যক্রম উৎসবমুখর পরিবেশেই হবে। এরমধ্য দিয়েই বরিশালের জনগণ তরুণ নেতৃত্বকে বিপুল ভোটের মাধ্যমে বিজয়ী করবেন। সূত্রমতে, আগামী ৩০ জুলাই নির্বাচনে ৩০টি ওয়ার্ডের ১২৩ কেন্দ্রে ২ লাখ ৪২ হাজার ১৬৬ জন ভোটার তাদের পছন্দের প্রার্থী হিসেবে আগামী পাঁচ বছরের জন্য মেয়র ও কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমে বেছে নেবেন। অপরদিকে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের পর মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার শুরু হলেও এর পূর্বেই তৃণমূল বিএনপির মধ্যে একটি দুঃসংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে। এমনিতেই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে কয়েকভাগে বিভক্ত দলটি। সেই বিভক্তির মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৫ (সদর) আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিবেচনায় বর্তমান বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ারের নাম চলে আসায় জ্বলন্ত উনুনে ঘি ঢালা অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বরিশাল নগরীসহ আশপাশের এলাকায় খোদ বিএনপির নেতাকর্মী থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায়ের সমর্থকদের মধ্যে তুমুল আলোচনা ও মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল নেতাকর্মীদের প্রতিক্রিয়ায় উঠে এসেছে, দল যেখানে চেয়ারপার্সনের মুক্তির দাবি ও ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তখন বরিশাল মহানগর বিএনপির সভাপতি মজিবর রহমান সরোয়ার আগলে বসেছেন তার ‘সব চাই’ বলে। বিএনপির টালমাটাল অবস্থায় বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন বরিশাল সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। সূত্রমতে, বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক জনপ্রিয় মেয়র শওকত হোসেন হিরণের মৃত্যুর পর নগরীতে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের মধ্যে হ-য-ব-র-ল অবস্থার সৃষ্টি হয়। অভ্যন্তরীণ একাধিক গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পরে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা। দলের এ ক্লান্তিকালে বরিশালে আবির্ভাব হয় কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর। তিনি বেশ শক্তহাতে দলের সকল অভ্যন্তরীণ বিরোধ মিটিয়ে সবাইকে এককাতারে নিয়ে আসেন। ফলশ্রুতিতে নিজের কর্মদক্ষতায় মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন সাদিক আব্দুল্লাহ। পরবর্তীতে প্রয়াত মেয়র হিরণের ন্যায় নগরীর তৃণমূল পর্যায়ের জনসাধারণের সুখে-দুঃখের সাথী হয়ে সকলের হৃদয়ে তিনি (সাদিক) স্থান করে নেয়। তৃণমূল পর্যায়ে সাদিক আব্দুল্লাহর ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতার কারণে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের নেতৃবৃন্দরা আসন্ন বরিশাল সিটি নির্বাচনে শওকত হোসেন হিরণের অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজ সম্পন্নের জন্য সাদিক আব্দুল্লাহকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন। নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে সাদিক আব্দুল্লাহর পক্ষে ততই বেশি গণজোয়ারের সৃষ্টি হচ্ছে। নগরীর সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, তারা সাবেক মেয়র শওকত হোসেন হিরণের ন্যায় বরিশাল নগরীতে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কর্মকা-ের জন্য তরুণ নেতা সাদিক আব্দুল্লাহর বিজয় নিশ্চিত করতে মঙ্গলবার থেকে তারা কোমড় বেঁধে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন। মহানগর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক নিরব হোসেন টুটুল জানান, মঙ্গলবার প্রতীক বরাদ্দের পর আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের সকলের পছন্দের মেয়র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর নৌকা মার্কার বিজয় নিশ্চিত করতে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটে চলেছেন। জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও পৌর মেয়র মোঃ হারিছুর রহমান জানান, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের নানামুখী উন্নয়নের কথা সাধারণ ভোটারদের মাঝে সঠিকভাবে প্রচারের মাধ্যমে তাদের মনজয় করে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সিটি নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট চাওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আগামী ৩০ জুলাই এর নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নৌকা মার্কার বিজয় নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগের বিশাল কর্মীবাহিনী একাধিক গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ওয়ার্ড পর্যায়ে প্রচার-প্রচারণার কাজ শুরু করেছেন। বিএনপি দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল সিটি নির্বাচনে ১১ প্রার্থী দলীয় মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এরমধ্যে নতুন মুখ আফরোজা খানম নাসরিন থেকে শুরু করে ছিলেন বর্তমান বিএনপি দলীয় মেয়র আহসান হাবিব কামাল, সাবেক সংসদ সদস্য বিলকিস জাহান শিরিন, বার বার দলীয় বঞ্চনার শিকার দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি এবায়দুল হক চাঁনের মতো পুরনো ও পরীক্ষিত নেতারা। কিন্তু তাদের সবাইকে টপকে শেষ মুহুর্তে নিজের দখলে মনোনয়ন নিয়ে নেন মজিবর রহমান সরোয়ার। তখন সরোয়ার নিজের প্রার্থিতার বিষয়ে স্পষ্ট কিছু না বললেও মনোনয়ন বঞ্চিত অপর নেতারা জানিয়েছিলেন, লন্ডনে থাকা তারেক রহমানকে ম্যানেজ করে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ওপর চাপ সৃষ্টি করায় শেষপর্যন্ত দল মজিবর রহমান সরোয়ারকেই মনোনয়ন দিতে বাধ্য হয়েছে। দলীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মজিবর রহমান সরোয়ারের নেপথ্য কৌশলে মনোনয়ন বাগিয়ে নেয়ার বিষয়টি বরিশালের বিএনপি নেতারা ভালোভাবে গ্রহণ করেনি। ফলে দলের অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থী মেয়র আহসান হাবিব কামাল, কেন্দ্রীয় বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি এবায়েদুল হক চাঁন, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম শাহীন, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহ, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আফরোজা খানম নাসরিন ও সাবেক ছাত্রনেতা আলী হায়দার বাবুল তাদের সমর্থকদের জানিয়ে দিয়েছেন, সিটি নির্বাচনে মজিবর রহমান সরোয়ারের বিপক্ষে কাজ না করলেও পক্ষে কাজ করবেন না। তাদের ভাষ্যমতে, দলের প্রার্থী হওয়ায় তিনি ভোট পাবেন। সে কারণে তারা ভোটও দিবেন। কিন্তু এর বাইরে বিশেষ কোন কাজে জড়াবেন না। সে অনুসারে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন অথচ পাননি এসব নেতারা তাদের কর্মীসহ সরোয়ারের কাছ থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলছেন। সর্বশেষ, সরোয়ার সিটি নির্বাচনে সম্ভাবনাময়ী অপরাপর নেতাদের ছিটকে ফেলে মনোনয়ন নিজে নিয়েই ক্ষান্ত হননি; একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দল তাকে বরিশাল-৫ (সদর) আসনের জন্য একমাত্র সম্ভাব্য প্রার্থী করেছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সিনিয়র নেতাদের ধারণা, সরোয়ারকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়ার নির্দেশনাও দিয়েছেন দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। উভয় নির্বাচনে সরোয়ারের মনোনয়ন পাওয়ায় খোদ বিএনপিতে দুটি ভাগের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় নেতাদের ভাষ্যমতে, দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে থাকায় বর্তমানে দলের নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে বিদেশে থাকা দলের ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে। বর্তমানে তারেকের একক সিদ্ধান্তের কারণে বরিশালে ‘তারেক রহমানের বিএনপি’ এবং ‘খালেদা জিয়ার বিএনপি’ দলে বিভক্তির উপক্রম হয়েছে। সেই সুবাদে সুবিধা বাগিয়ে নিচ্ছেন মজিবর রহমান সরোয়ার। দলের পরীক্ষিত নেতাদের সুযোগ না দিয়ে এভাবে একক নেতৃত্ব আঁকড়ে রাখায় বিপরীত প্রভাব পড়েছে বিএনপির ওপর। দলীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, মেয়র আহসান হাবিব কামাল মনোনয়ন না পেয়ে চরম ক্ষুব্ধ হয়েছেন। বিশেষ করে মজিবর রহমান সরোয়ার মনোনয়ন পাওয়ায় এইমাত্রা আরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। সে কারণে তার অনুসারীদের নির্বাচনে অংশ না নেয়ার জন্যও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। একই অবস্থা এবায়েদুল হক চাঁনের ক্ষেত্রেও। বিলকিস জাহান শিরিন ‘দলের সঙ্গে আছি’ বলেই দায়িত্ব শেষ করছেন। মজিবর রহমান সরোয়ারের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের দাবি, সিটি নির্বাচনে মনোনয়ন নিয়ে একদিকে ইমেজ সংকটে, অপরদিকে দলের অভ্যন্তরেও বিরাগভাজন হয়েছেন। তবে সরোয়ার এই অবস্থার উত্তরণ ঘটাতে প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন বলেও সূত্রের দাবি। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড পর্যায়ের একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, মজিবর রহমান সরোয়ার সিটি নির্বাচনে মনোনয়ন নিয়েছেন আবার সংসদ নির্বাচনেও মনোনয়ন পাবেন বলতে সিটি নির্বাচনে পরাজিত হবেন ধরেই নিয়েছেন। এটা বিএনপির জন্য হুমকিস্বরূপ। তৃণমূল নেতাদের প্রশ্ন, বরিশালে মজিবর রহমান সরোয়ার ছাড়া আর কেউ কি নেই যে সিটি নির্বাচন বা জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন? এমন প্রশ্ন পদধারীদের থাকলেও এই মুহূর্তে সরোয়ারের প্রভাবে ধরাশায়ী হবেন বলে কেউ মুখ খুলছেন না। অপরদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বরিশাল বিভাগের ২১টি আসনের বিপরীতে ৪২ জন সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ পেয়েছে। সেখানে বরিশাল-৫ আসনে একমাত্র মনোনয়নযোগ্য হিসেবে গণ্য করা হয় মজিবর রহমান সরোয়ারকে। দলীয় সূত্রমতে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির আলোচনায় এরপূর্বে প্রত্যেক নেতা একটি পদে থাকতে পারবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তখন সারাদেশের ৪৫ জন নেতার একাধিক পদ থাকায় ৪৪ জন একাধিক পদ থেকে সরে এসে এক পদ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন। কিন্তু একমাত্র নেতা মজিবর রহমান সরোয়ার দলীয় চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যুগ্ম মহাসচিবের পাশাপাশি বরিশাল মহানগর বিএনপির সভাপতি পদ আঁকড়ে রেখেছেন। ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা ॥ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মাওলানা ওয়ায়দুর রহমান মাহবুব নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে অনেকটা আনুষ্ঠানিকভাবে নগরীর একটি রেস্তরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করে তিনি ইশতেহারের ১৭টি বিষয় তুলে ধরেন। এ ছাড়া সিটি নির্বাচনে সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে প্রার্থী মাওলানা ওয়ায়দুর রহমান মাহবুব বলেন, তাদের দলের শীর্ষ নেতারা খুলনা ও গাজীপুরে সাম্প্রতিকালে অনুষ্ঠিত নির্বাচন দেখে হতাশ হয়েছেন। ফলে বরিশাল সিটিতেও গভীর শঙ্কা কাজ করছে। কিন্তু ভোটের দিন কোন অনিয়ম হলে বিষয়টির জোর প্রতিবাদ জানানো হবে। বরিশাল সিটি ইসলামী আন্দোলনের অনেক ভোট রয়েছে দাবি করে তিনি আরও বলেন, শান্তিপূর্ণ ভোট হলে এই সিটিতে তিনি বিজয়ী হবেন। এজন্য তিনি সাংবাদিকদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মোঃ ফয়জুল করিম ও চরমোনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুফতি সৈয়দ মোঃ আবুল খায়ের প্রমুখ।
×