ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

‘তদ্বির সংস্কৃতি’র বিরুদ্ধে গণমাধ্যমকে সোচ্চার হতে হবে ॥ ইনু

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ১১ জুলাই ২০১৮

‘তদ্বির সংস্কৃতি’র বিরুদ্ধে গণমাধ্যমকে সোচ্চার হতে হবে ॥ ইনু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, মানবসম্পদের উন্নয়ন ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে বড় প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে ‘তদ্বির সংস্কৃতি’। মেধা, মান ও দক্ষতার অবমূল্যায়নকারী এই তদ্বির সংস্কৃতির বিরুদ্ধে গণমাধ্যমকে সোচ্চার হতে হবে। সেই সঙ্গে সরকারী- বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে জনগণের তথ্যসেতু ও তথ্য বাতায়ন রচনা করবে গণমাধ্যম। মঙ্গলবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন পরিষদ (এনএসডিসি) সচিবালয়ে ‘দক্ষতা ও উন্নয়নমূলক কর্মকা- অবহিতকরণ’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এনএসডিসি ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে। এনএসডিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) এবিএম খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এনএসডিসি সচিবালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান। কর্মশালায় এনএসডিসির পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মোঃ রেজাউল করিম মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এ এস এম আসাদুজ্জামান, গণসাক্ষরতা অভিযানের উপপরিচালক তপন কুমার দাশ, এনএসডিসির উপ-পরিচালক নেপাল চন্দ্র কর্মকার প্রমুখ প্রবন্ধের ওপর আলোচনায় অংশ নেন। বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে আরেক ধাপ এগিয়ে নিতে রাজনীতি ও অর্থনীতিতে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। আর এ কাজের জন্য প্রয়োজন দক্ষ, মেধাবী ও মানবসম্পদ কর্মীর। এ সময় তদ্বির সংস্কৃতিকে নাগরিকদের মেধা, মান ও দক্ষতা মূল্যায়নের অন্তরায় বলে বর্ণনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কর্মে প্রবেশ, কর্মস্থলে কাজে, বদলিতে এবং পদোন্নতিতে তদ্বিরবাজি দুর্নীতি ও তদ্বির-বাণিজ্যের জন্ম দেয়। এ বিষয়ে গণমাধ্যমের বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন। মন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতি যেখানে দাঁড়িয়ে আছে সেখান থেকে যদি আরেক ধাপ ওপরে উঠতে হয়, তবে সেখানে একটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তা হলো অদক্ষ শ্রমিক নির্ভর অর্থনীতি। আধা দক্ষ জনগোষ্ঠীকে শ্রমশক্তি ও জনশক্তিতে পরিণত করা। তবেই কেবল আমরা পরের ধাপের অর্থনীতির যে চ্যালেঞ্জ তার চাহিদা মেটাতে পারব। সুশাসন বলতে কেবল রাজনীতিতে সুশাসন বোঝায় না, অর্থনীতিতেও সুশাসন আনতে হবে। ব্যাংকের টাকা লুটপাট হলে সেটি সম্ভব হবে না। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতি-২০১১ ও জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন পরিষদ তৈরি করেছেন দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রমকে গতিশীল করার জন্য। বর্তমানে দেশে প্রায় ১৩ হাজারের বেশি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ পর্যন্ত বাংলাদেশ যা অর্জন করেছে তা অব্যাহত থাকলে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৩০ সালের আগেই বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সক্ষম হবে।
×