ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

মামলা জট নিরসনে শীঘ্রই জাস্টিস অডিট ব্যবস্থা ॥ আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ১১ জুলাই ২০১৮

মামলা জট নিরসনে শীঘ্রই জাস্টিস অডিট ব্যবস্থা ॥ আইনমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, মামলাজট নিরসনে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে এবং শীঘ্রই আর একটি ব্যবস্থা চালু করতে হবে সেটা হচ্ছে জাস্টিস অডিট। এই জাস্টিস অডিট সিস্টেমে আমরা ঘরে বসেই মামলার ধরন ও অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারব এবং অবস্থা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারব। এই জাস্টিস অডিট ব্যবস্থা চালু করলে আমাদের অনেক অগ্রগতি হবে। মঙ্গলবার দুপুরে আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় পর্যায়ের শিশু সংগঠন ন্যাশনাল চিলড্রেনস টাস্কফোর্সের (এনসিটিএফ) এ্যাডভোকেসি ফোরাম চাইল্ড পার্লামেন্টের বারো সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আরও বলেন, শিশু অপরাধ সম্পর্কিত মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সরকার যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে কাজ করে যাচ্ছে এ মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সারাদেশের সরকারী প্রসিকিউটরদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার ফলে শিশু রাজন হত্যাসহ কয়েকটি হত্যা মামলার বিচার অতি দ্রুত সম্পন্ন হয়েছে। বলেন, আমরা চেষ্টা করছি মামলার দীর্ঘসূত্রতা দূর করার জন্য। আমরা চাই বিচারকার্যে যাতে বিলম্ব না হয়। কারণ বিচার বিলম্বিত হওয়ায় শুধু যে বিচারপ্রার্থী ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তা নয়। বিচার বিলম্বিত হওয়া মানে হচ্ছে বিচার বিভাগের ব্যর্থতা এবং ব্যর্থতা শেষে যেটা হয় তা হলো বিচার বিভাগের ওপর জনগণের আস্থা হারিয়ে ফেলা। সেটা যদি হয় তার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ। এই ভয়াবহ পরিণতি হচ্ছে স্ট্রিট জাস্টিস। মন্ত্রী বলেন, আমি নিশ্চয়ই স্ট্রিট জাস্টিসের পক্ষপাতি নই। আমি আইন নিজের হাতে তুলে নিতে নিরুৎসাহিত করব এবং কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিলে সেটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। কিন্তু ব্যবস্থা নিতে গেলে বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের আস্থাহীনতা কমাতে হবে। আর বিচার বিভাগের প্রতি যাতে জনগণের আস্থা না কমে সেজন্যই আমাদের কাজ করা উচিত। আইনমন্ত্রী বলেন, শিশু রাজন, রাকিব হত্যাসহ কয়েকটি হত্যা মামলার দ্রুত বিচার করায় বর্তমানে শিশু নির্যাতন কমেছে। সরকার শিশু নির্যাতন কমানোর বিষয়ে সবসময় সচেষ্ট থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারই প্রথম গৃহ নির্যাতন আইন প্রণয়ন করছে। স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের নির্যাতন বন্ধে নীতিমালা করেছে। আমরা মনেকরি শিশুরা হচ্ছে দেশের ভবিষ্যত। সে ক্ষেত্রে তারা ঠিকভাবে গড়ে উঠুক এটা আমাদের চিন্তা ভাবনার মধ্যে আছে। জাতিসংঘ কোন পদক্ষেপ নেয়ার আগেই ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশু আইন প্রণয়ন করেছিলেন। সেই শিশু আইনই কিন্তু আজকের শিশু আইনের ভিত্তি। যদিও আজ তা বিস্তার লাভ করেছে। আইন প্রণয়নের সময় শিশু আদালত নিয়ে কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছিল। সেগুলো দূর করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সংশোধিত শিশু আইন এখন জাতীয় সংসদে আছে এবং এটি যে কোন দিন পাস হয়ে যেতে পারে। এ সময় মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মোঃ জহিরুল হক, যুগ্ম সচিব হাবিবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
×