ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ফরাসী রণকৌশল

প্রকাশিত: ০৬:৪১, ১০ জুলাই ২০১৮

ফরাসী রণকৌশল

ব্রাজিলের বিপক্ষে আক্রমণের ঝড় তুলেছিলেন বেলজিয়ামের লুকাকু ও হ্যাজার্ড। এদের পাশাপাশি ডি ব্রুইনের দৌড়ের সঙ্গে পাল্লা দিতে ব্যর্থ হয়েছিলেন ব্রাজিলের দুই ডিফেন্ডার থিয়াগো সিলভা ও মিরান্দা। বেলজিয়াম দলের শক্তি অজানা নয় ফ্রান্সের রক্ষণের অন্যতম ভরসা রাফায়েল ভারানের। এখন ব্রাজিল ম্যাচের পর বেলজিয়ামের হেভিওয়েট আক্রমণ ভাগ নিয়ে আরও বেশি সতর্ক ভারানে। সেন্ট পিটার্সবার্গে সেমিফাইনালে মুখোমুখি হওয়ার আগে তাই বেলজিয়ামের আক্রমণভাগের কথা মাথায় রেখে বেশি করে হোমওয়ার্ক সেরে নিচ্ছেন কোচ দিদিয়ের দেশম। ভারানের ওপর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থাকবে লুকাকু-হ্যাজার্ডের জোড়া ফলাকে ভোঁতা করার। অনেকেই বলছেন, কাভানি না খেলায় উরুগুয়ের আক্রমণের ঝাঁজ একেবারেই ছিল না। তাই ফ্রান্স রক্ষণকে বিরাট চাপ নিতে হয়নি। এবার বেলজিয়াম ম্যাচে চাপটা বাড়বে। চ্যালেঞ্জ নিতে কতটা তৈরি? ভারানের জবাব, ‘কাভানি খেলেনি বলে উরুগুয়ে দুর্বল ছিল বা আমাদের কাজটা সহজ ছিল, এমনটা একবারও মনে করছি না। বরং খেলায় সামান্যতম ভুলে ডুবতে হতে পারে। ব্রাজিল সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে। বেলজিয়ামের বিপক্ষে আগাগোড়া সতর্ক থাকা জরুরী। উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচটা যতটা ফিজিক্যাল ছিল, বেলজিয়ামের সঙ্গে খেলাতেও সেটা থাকবে। এই ধরনের বড় প্রতিযোগিতায় অভিজ্ঞতার একটা মূল্য আছে। ভুল না করাটাই হবে প্রধান লক্ষ্য। আমাদের দলটা নবীন। তবে খেলতে খেলতে গোটা দলের মধ্যে একটা পরিণত বোধ এসেছে। বোঝাপড়াটাও দারুণ জায়গায়। বেলজিয়াম যেমন ব্রাজিলকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসী, তেমন আমরাও পরপর আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়েকে হারিয়ে শেষ চারে পৌঁছে নিজেদের চারিত্রিক দৃঢ়তার প্রমাণ রেখেছি। ডিফেন্সের আঁটোসাঁটো ভাবটা আমাদের শক্তি। সবচেয়ে বড় কথা, প্রতিপক্ষকে বুঝে নিয়ে নিজেদের খেলার ধরন ও কৌশল বদলাতে পারি। ছক কী হবে সেটা ঠিক করবেন কোচ। তবে জিততে গেলে মাঠে যা যা করার তাই করব।’ ভারানের মতে, লুকাকু, হ্যাজার্ডরা নিশ্চয়ই বিপজ্জনক, কিন্তু শুধু ওদের কথা ভাবলেই হবে না। বাকিরাও যথেষ্ট সমীহ আদায় করার মতো ফুটবলার। ফ্রান্সের ডিফেন্ডার বলেছেন, ‘এটা বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল। এখানে কেউ ফেবারিট নয়। সেদিন যারা সেরা দেবে, তারা জিতবে। বেলজিয়াম দলে তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার একটা চমৎকার ভারসাম্য আছে। ওদের কোচ মার্টিনেজের গেম রিডিং খুব ভাল। তবে আমাদের কোচ দেশম কম যান না। লুকাকুর শক্তি ও গতি যে কোন ডিফেন্সকে ঝামেলায় ফেলে দিতে পারে। ওকে ফাঁকা জায়গা দিলে বল নিয়ে বেরিয়ে গিয়ে বিপদ ঘটিয়ে দেবে। তাই ফাঁকা জায়গা কিছুতেই দেয়া যাবে না। লিলেতে থাকার সময় ইডেন হ্যাজার্ডের বিপক্ষে আমি খেলেছি। ও বড় ফুটবলার। ড্রিবলিংয়ে ওস্তাদ। ওকেও ফাঁকা জায়গা দেয়া চলবে না। তবে আমার একার পক্ষে এদের আটকানো সম্ভব হয়। কাজটা করতে হবে সম্মিলিত ভাবে।’ উমতিতির চোট নিয়ে একটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। তবে তা দূর করে দিয়েছেন ভারানে। বলেছেন, ‘উমতিতির সামান্য চোট ছিল। তবে এখন ঠিক আছে। বেলজিয়াম ম্যাচে খেলতে তৈরি, আমার পাশে সেরাটা দিতে।’ ফ্রান্সের গোলকিপার হুগো লরিসের ফর্ম নিয়ে বিশ্বকাপের শুরুতে কথা হয়েছিল। ভারানে অবশ্য অধিনায়কের ওপর পূর্ণ আস্থা রাখছেন, ‘কে কী বলল, কিছু আসে যায় না। লরিস অনবদ্য। ওর ওপর আমাদের সকলের আস্থা আছে। আমরা কখনও ওর দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলিনি। এখনও মনে করছি, বিশ্বকাপ জিতলে স্ট্রাইকারদের মতোই লরিসের অবদান অস্বীকার করা যাবে না।’ ভারানের করা প্রথম গোলেই উরুগুয়ে লড়াই থেকে হারিয়ে গিয়েছিল। বেলজিয়াম ম্যাচেও কি গোল আসবে আপনার মাথা বা পা থেকে? ভারানে মুচকি হেসে বলেছেন, ‘গোল পেতে কার না ভাল লাগে! তবে গোল না খেলে আরও বেশি খুশি হব। সূত্র : ওয়েবসাইট।
×