ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শীঘ্রই আপীল বিভাগে বিচারপতি নিয়োগ

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ১০ জুলাই ২০১৮

শীঘ্রই আপীল বিভাগে বিচারপতি নিয়োগ

সংসদ রিপোর্টার ॥ সংবিধান অনুযায়ী দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগে বিচারপতি নিয়োগের অধিকার একমাত্র রাষ্ট্রপতির। তবে আমি যতদূর জানি, রাষ্ট্রপতি এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছেন। আশা করি, খুব শীঘ্রই রাষ্ট্রপতি আপীল বিভাগে কিছু সংখ্যক বিজ্ঞ বিচারক নিয়োগ করবেন। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সরকারী দলের সংসদ সদস্য মাহবুব আলীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। এ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতির প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, সারাদেশের জেলা আদালতের পিপি, জিপি, অতিরিক্ত পিপি ও সহকারি পিপিদের জন্য নতুন সম্মানী কাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। এতে বড় বড় জেলার পিপিরা সর্বোচ্চ মাসে ৪৫ হাজার টাকা বেতন পাবেন। কারোর বেতনই ২৫ হাজার টাকার নিচে হবে না। খুব শীঘ্রই এই প্রস্তাবটি অর্থ মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হবে। নতুন সন্ত্রাস-সাইবার ট্রাইব্যুনাল ॥ সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনুর প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করতে সরকার আরও ৫টি সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইব্যুনাল, ৭টি সাইবার ট্রাইব্যুনাল ও ৮টি মানি লন্ডারিং ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হচ্ছে। এসব ট্রাইব্যুনালের পদ সৃজনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। উক্ত আদালতগুলো সৃজিত হলে এবং সহায়ক কর্মচারী নিয়োগ হলে মামলা নিষ্পত্তি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে। তিনি জানান, বর্তমানে দেশের আদালতসমূহে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩৩ লাখ ৯৫ হাজার ৬৪৯টি। যার মধ্যে দেওয়ানী মামলার সংখ্যা ১৩ লাখ ৯০ হাজার ২০৯টি ও ফৌজদারী মামলার সংখ্যা ১৯ লাখ ১৮ হাজার ৫২৭টি। অন্যান্য মামলার সংখ্যা ৮৬ হাজার ৯১৩টি। এছাড়া বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের মোট বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৫ লাখ ৩ হাজার ৫১২টি। এর মধ্যে আপীল বিভাগে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ১২ হাজার ২৪৬টি এবং হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৫ হাজার ২৬৬টি। অধস্তন আদালতে মোট বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ২৮ লাখ ৯২ হাজার ১৩৭টি। মন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার বিচারপ্রার্থী জনগণের ভোগান্তি লাঘবের জন্য একটি আধুনিক বিচার বিভাগ ও বিচার ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, বিচার বিভাগ আধুনিকায়ন ও গতিশীল করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার যে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা বাস্তবায়িত হলে সারাদেশে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা একটি সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে এবং মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে কার্যকর ও দৃশ্যমান উন্নয়ন সাধিত হবে। জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারির প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, সরকার অবগত আছে যে, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মামলা জট কমানোর জন্য ট্রাক এলোকেশন সিস্টেম চালু আছে। এই ট্রাক এলোকেশন সিস্টেমে মামলাগুলোকে স্মল ট্র্যাক, পাস্ট ট্র্যাক বা মাল্টি ট্র্যাকে ভাগ করা হয়ে থাকে। সাধারণত মামলার আর্থিক মূল্যমান এবং মামলার গুরুত্ব ও জটিলতা বিবেচনায় ট্যাক এলোকেশন করা হয়ে থাকে।
×