ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

দুই শিল্পীর ক্যানভাসে প্রকৃতি ও জীবনের বয়ান

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ৯ জুলাই ২০১৮

 দুই শিল্পীর ক্যানভাসে প্রকৃতি ও জীবনের  বয়ান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ক্যানভাসে ক্যানভাসে বর্ণিত হয়েছে জীবন ও প্রকৃতি। রং ও রেখার আশ্রয়ে নিসর্গের নান্দনিকতার সঙ্গে প্রস্ফুটিত হয়েছে জীবনের সংগ্রাম। কখনও বা জীবনের সঙ্গে সমান্তরালে উদ্ভাসিত হয়েছে বৃক্ষরাজি কিংবা বহতা নদী। প্রকৃতি ও জীবনের বয়ানে ধাবিত চিত্রপটগুলো শিল্পরসিকের মননে ছড়ায় ভাবনার খোরাক। এসব ছবি এঁকেছেন দুই চিত্রশিল্পী নাজমুল হক বাপ্পি ও সুলতান ইশতিয়াক। সেসব চিত্রকর্ম নিয়ে ধানম-ির গ্যালারি শিল্পাঙ্গনে চলছে প্রদর্শনী। যৌথ এ শিল্পায়োজনের শিরোনাম ‘ডুয়েট’। চিরল পাতার ফাঁক গলে শিল্পরসিকের দৃষ্টি ঘুরে বেড়ায় চিত্রপটের চারপাশে। প্রশান্তিময় চোখে প্রকৃতির রহস্যময়তা উদ্ভাসিত হয় পাতার ফাঁকে ফাঁকে। আরেকটি ছবিতে বিস্তীর্ণ দিগন্তের মাঝে প্রকৃতি মেলে ধরেছে তাঁর রূপময়তা। পাশের ক্যানভাসে নদীর বুকে ভেসে বেড়ানো নৌকা বলে যায় নদীমাতৃক বাংলাদেশের কথা। সেই সঙ্গে বিশাল বনরাজির মাঝে রঙিন ফুলের ঝলকে দেখা মেলে সুখময় দৃশ্যকল্পের ক্যানভাস। এভাবেই স্বপ্নালু দৃষ্টিতে দেখা প্রকৃতিকে ও সৃষ্টিকে এঁকেছেন নাজমুল হক বাপ্পি। অপরদিকে শিল্পী সুলতান ইশতিয়াকের ক্যানভাসে উঠে এসেছে শ্রমজীবী মানুষের দিনলিপি। উঠে এসেছে তাদের সংগ্রামী জীবনচিত্র। রিকশাচালক থেকে ঠেলাগাড়িওয়ালাÑসবখানেই শ্রমনিষ্ঠ মানুষের কর্মময় জীবনের চিত্রিত হয়েছে। কখনো আবার এই শিল্পীর চিত্রপটে বর্ণিত হয়েছে গ-িবদ্ধ জীবনের কথা। প্রদর্শনীতে সুলতান ইশতিয়াকের ১৬টি এবং নাজমুল হক বাপ্পির ২৩ ছবি প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে। সব মিলিয়ে চিত্রকর্মের সংখ্যা ৩৯টি। চলবে ১৩ জুলাই পর্যন্ত চলবে এ শিল্পায়োজন। প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে। শিল্পকলায় আবৃত্তিসন্ধ্যা ‘অপরূপমার রূপকথা’ ॥ দার্শনিক বোধে তাড়িত এক নাজমীন মুর্তজা। চলমান বাস্তবতাকে ইতিহাস-ঐতিহ্যের পরম্পরায় জাড়িত করে রূপান্তর করেন কবিতায়। এই কবির তেমন কিছু কবিতা নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো ‘অপরূপমার রূপকথা’ শীর্ষক আবৃত্তিসন্ধ্যা। তিন আবৃত্তিশিল্পীর কণ্ঠে উচ্চারিত হয় সেসব কবিতা। এই আবৃত্তিশিল্পীরা হলেন ইকবাল আহমেদ, সুপ্রভা সেবতী ও তামান্না ডেইজী। রবিবার শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত, আবৃত্তি ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে এ আবৃত্তিসন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়। পরিবেশেনার আগে সংক্ষিপ্ত কথনে অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক বেগম আকতার কামাল এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শোয়াইব জিবরান। তিন বাচিকশিল্পীর কণ্ঠে উচ্চারিত হয় নাজমীন মুর্তজা রচিত কুড়িটির বেশি কবিতা। কয়েকটি কবিতার শিরোনাম ছিলÑ তথাগত ভোর, সুন্দরের জন্মরহস্য, কবি, বল্গাহরিণ, গুরুসঙ্গ, পৌনপুণিক বিবরণ, কাজরী নদী, মৌনজল, মৌসুমী মেঘ, পাগলু, যুগলপ্রেমের পদ্য, আমরা সবাই সংস্কৃতিবান, লক্ষ্য, খেলনা জীবন, সহজ প্রেম, শিল্পের শরীর, সমীহ, ভূমিপুত্র, নারীমুক্তি, সভ্যতা ও শূন্যতাকে কাঁপায় রোদ্দুর।
×