ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রধানমন্ত্রী ১৪ জুলাই পাবনা-ঈশ্বরদী রেলপথ উদ্বোধন করবেন

প্রকাশিত: ০৫:১৪, ৯ জুলাই ২০১৮

 প্রধানমন্ত্রী ১৪ জুলাই  পাবনা-ঈশ্বরদী রেলপথ উদ্বোধন করবেন

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ৮ জুলাই ॥ অবশেষে পাবনাবাসীর স্বপ্নের রেল চালু হতে যাচ্ছে। আগামী ১৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ রেলের উদ্বোধন করবেন। এ নিয়ে চলছে উৎসবের আমেজ। জানা গেছে, পাবনার মানুষের একশ’ বছরের দাবি ছিল এই রেলপথ। ১৯১৪ সালে পদ্মা নদীর ওপর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ চালু হলে সেই সময়ে দাবি ওঠে ঈশ্বরদী থেকে পাবনা পর্যন্ত একটি লিংক রেললাইনের। সেই সময় ব্রিটিশরা এই দাবি পূরণে প্রতিশ্রুতিও দেয়। তবে সেই প্রতিশ্রুতি আর পরে বাস্তবায়ন হয়নি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকার পাবনাবাসীর দীর্ঘদিনের এ দাবি বাস্তবায়নে ঈশ্বরদী-ঢালারচর রেল প্রকল্প হাতে নেয়। সে সময় পাবনায় নদীকেন্দ্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে উঠলে স্থলপথে যাতায়াত ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করতে ঈশ্বরদী থেকে পাবনা হয়ে নগরবাড়ী পর্যন্ত রেলপথের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়। কিন্তু ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে শহরের টাউনহল মুক্তমঞ্চ মাঠে এক ভিডিও কনফারেন্সে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা পাবনার মানুষকে প্রতিশ্রুতি দেন আগামীতে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে এই রেলালাইন নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১০ সালে আওয়ামী লীগ সরকার পাবনাবাসীর প্রাণের দাবি এ রেলপথ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। এ সময় নকশার কিছুটা পরিবর্তন এনে রেলপথটি ঈশ্বরদী থেকে পাবনা হয়ে বেড়া উপজেলার ঢালারচর পর্যন্ত নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সে অনুযায়ী ২০১০ সালের ৫ অক্টোবর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ৯৮২ কোটি ৮৬ লাখ ৫৬ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। পরবর্তীতে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬২৯ কোটি টাকা। ২০১৩ সালে ২ ফেব্রুয়ারি পাবনা সরকারী এডওয়ার্ড কলেজ মাঠের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। আগামী ১৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাবনা পুলিশ লাইন মাঠে জনসভার আগে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেনের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন।
×