বিনা কর্তনে সেন্সর ছাড়পত্র পেল চলচ্চিত্র ‘আহত ফুলের গল্প’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিনা কর্তনে সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেয়েছে তরুণ নির্মাতা অন্তু আজাদ পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘আহত ফুলের গল্প’। চলচ্চিত্রের কাহিনী রচনা ও পরিচালনা-অন্তু আজাদ। প্রযোজনায় রয়েছে ওশান মাইন্ড এন্টারটেইনম্যান্ট। চলচ্চিত্রটি সেন্সর ছাড়পত্র পাওয়ায় অনেকটাই উচ্ছ্বসিত পরিচালক অন্তু আজাদ। চলচ্চিত্রটি তো ছাড়পত্র পেল। কিন্তু সাধারণ দর্শক কেন এই চলচ্চিত্রটি দেখবে। কি আছে এই চলচ্চিত্রে। এ প্রসঙ্গে পরিচালক অন্তু আজাদ বলেন, পিতৃতান্ত্রিক বাংলাদেশের মুসলিম সমাজব্যবস্থা, তথ্যপ্রযুক্তি ও সংস্কৃতি সংস্পর্শ; এ তিনটি বিষয়- যথাক্রমে শাপলা, কামিনী এবং মোহনা নামের তিনজন মেয়ের জীবনকে কিভাবে প্রভাবিত করেছে তাই নিয়ে নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্র ‘আহত ফুলের গল্প’। চলচ্চিত্রের গল্পে আরও আছে শাপলা-সবুজের অপরিণত প্রেম কাহিনী। এ চলচ্চিত্রে তেমন ফ্যান্টাসি নেই, আছে চারপাশে দেখা ঘটনার বিশ্লেষণের মধ্য দিয়ে আমাদের প্রচলিত জীবনের গভীর সঙ্কটকে উপলব্ধির চেষ্টা। সিরিয়াস বিষয় গল্পের বিষয়বস্তু হলেও- দৈনন্দিন জীবনে বয়ে চলা হাসি-ঠাট্টা, গান-গীত এবং একটি প্রেম কাহিনীর মধ্য দিয়ে গল্পের মূল সুরটি প্রবাহিত। এছাড়াও বর্ণনাত্মক রীতির সরল ভঙ্গিতে গল্প বলার ধরনটিও আধুনিক যান্ত্রিক চাপে পিষ্ট মানুষের আবেগ ও উপলব্ধিকে একসঙ্গে স্পর্শ করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আশা করি দর্শকরা নিরাশ হবেন না। ‘আহত ফুলের গল্প’ চলচ্চিত্রের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন তাহিয়া খান, সুজন মাহাবুব, আলী আহসান, গাজী রাকায়েত, অনন্যা হক, শেলী আহসান, জয়া, অভি চৌধুরী, শান্ত কুন্ডু, কামরুল হাসান, তৌহিদুল আলম, সজীব, রিফাত, পিয়ারা বেগম, শহীদুল ইসলাম, ওমর চাঁদ, ইকতারুল ইসলাম, আরিফ, মিনহাজ, তাজিন, রাব্বি, শিরিনসহ অনেকে। চলচ্চিত্রের সিনেমাটোগ্রাফি মোঃ আরিফুজ্জামান, সম্পাদনা করেছেন-সৈকত খন্দকার, আবহ সঙ্গীত ও গানের সঙ্গীত আয়োজন- পিন্টু ঘোষ ও রোকন ইমন, সাউন্ড- শৈব তালুকদার, কালার-রাশেদুজ্জামান সোহাগ, টাইটেল এ্যান্ড ভিএফএক্স- নাজমুল হাসান। ‘আহত ফুলের গল্প’ চলচ্চিত্রে ৪টি পূর্ণাঙ্গ গান এবং একটি উত্তরবঙ্গের বিয়ের গীত সংযোজন করা হয়েছে। রবীন্দ্রসঙ্গীত ও বিয়ের গীতটি ছাড়া, বাকি তিনটি মৌলিক গান। মৌলিক তিনটি গান লিখেছেন- টোকন ঠাকুর, কামরুজ্জামান কামু এবং সোলায়মান আকন্দ। গানগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছেন যথাক্রমে- পিন্টু ঘোষ, কামরুজ্জামান রাব্বি ও লিপু অসীম। রবীন্দ্রসঙ্গীতে কণ্ঠ দিয়েছেন- রোকন ইমন। আর বিয়ের গীতে কণ্ঠ দিয়েছেন উত্তরবঙ্গের স্থানীয় শিল্পীরা। এদিকে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের অন্যতম সদস্য মধুমিতা সিনেমা হলের মালিক ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ চলচ্চিত্রটির নির্মাণের বিষয়ে প্রশংসা করছেন। তিনি চলচ্চিত্রটির বড় ধরনের বাণিজ্যিক সফলতার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন। সেন্সর বোর্ডের সদস্য ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব-রোকেয়া রফিক বেবী চলচ্চিত্রটির গানের বিশেষ প্রশংসা করছেন, বিশেষ করে চলচ্চিত্রের কেন্দ্রীয় শাপলা চরিত্রে রূপদানকারী তাহিয়া খানেরও অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন তিনি। সেন্সর বোর্ডের আরেক সদস্য কবি জাহিদুল চলচ্চিত্রের নামেরও উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন এবং চলচ্চিত্রটি দেখার পর তার তৃপ্তির কথা জানিয়েছেন। এছাড়া বাকি সব সদস্যই চলচ্চিত্রের প্রশংসা করেছেন এবং সম্ভাবনায় সাফল্যে কথা জানিয়েছেন। চলতি মাসের শেষের দিকে চলচ্চিত্রটির মুক্তির তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে পরিচালক সূত্রে জানা গেছে।