স্টাফ রিপোর্টার নীলফামারী ॥ জেলার ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাঁপানি ইউনিয়নে দুইটি ও টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নে ১টিসহ তিনটি বাল্যবিয়ের ঘটনা ঘটেছে। যোগযোগ ব্যবস্থা দুর্গম হওয়ায় রাতে আঁধারে এই বাল্যবিয়ে সম্পন্ন করা হচ্ছে।
জানা যায়, শনিবার রাতে দক্ষিণ সোনাখুলি গ্রামের জাহিদুল ইসলামের মেয়ে ও সোনাখুলি জহরতুল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী জেসমিন আক্তারের বিয়ে হয় দক্ষিণ গয়াবাড়ী গ্রামের নুরুজ্জামানের সঙ্গে।
ঝুনাগাছ চাঁপানি ইউনিয়নের মানবাধিকার কর্মী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, স্কুলছাত্রী জেসমিনের একটি প্রভাবশালী মহলের উপস্থিতিতে বিয়ে হয়েছে। এ সময় এলাকাবাসী ইউএনও, পুলিশকে মোবাইল ফোনে অবগত করেও বাল্যবিয়েটি বন্ধ করতে পারেনি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঝুনাগাছ চাঁপানি ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার আইয়ুব আলী বাল্যবিয়ে সম্পন্ন করার হোতা। তিনি তার ভাতিজা ময়নুল ইসলাম মানিককে দিয়ে বাল্যবিয়ে করিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
অপরদিকে একই দিন রাতে সোনাখুলি গ্রামের সুভাস চন্দ্র রায়ের মেয়ে ও চাঁপানি সোনাখুলি সৈকত নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী শুধা রানীর বিয়ে হয় একই এলাকার ননী চন্দ্র রায়ের ছেলে জয়কান্ত রায় (১৫) সঙ্গে। এদিকে টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ খড়িবাড়ী তেলির বাজার দোলাপাড়া গ্রামের অপিসার মিয়ার মেয়ে ও দক্ষিণ খড়িবাড়ী দাখিল মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী শারমিনের বিয়ে হয়।
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুন নাহার বলেন, আমি নিজে জানার পর পুলিশ প্রশাসন ও ইউপি চেয়ারম্যানকে বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে বলেছিলাম। পরবর্তীতে কোন সংবাদ না পাওয়ায় আমি বাল্যবিবাহ হয়নি মর্মে নিশ্চিত ছিলাম। এ ব্যাপারের ডিমলা থানায় ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ বলেন, বাল্যবিয়ের ঘটনার বিষয়টি আমার জানা নেই। বাল্য বিবাহের ঘটনায় পুলিশ যাওয়ার নিয়ম নেই। ইউএনও ও ইউপি চেয়ারম্যান উপস্থিত হলে পুলিশ সেখানে যেতে পারত। ঝুনাগাছ চাঁপানি ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, বাল্যবিবাহ ঘটনায় প্রশাসনকে অবগত করা হয়েছিল। ঝুনাগাছ চাঁপানি নিকাহ রেজিস্ট্রার আইয়ুব আলী বলেন, আমি তো রাতের বেলা কোন বিয়ের অনুষ্ঠানে যাই না।
আমার প্রতিনিধি হিসেবে ভাতিজা ময়নুল ইসলাম মানিক গিয়ে থাকে। নিজে না গিয়ে ভাতিজা দিয়ে বাল্যবিবাহ সম্পন্ন করার নিয়ম আছে কিনা জানতে চাইলে কোন উত্তর না দিয়ে তিনি ফোনটি বন্ধ করে দেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: