ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শিল্পকলায় থিয়েটারের ‘দ্রৌপদী পরম্পরা’ নাটকের মঞ্চায়ন

প্রকাশিত: ০৭:৪০, ৮ জুলাই ২০১৮

শিল্পকলায় থিয়েটারের ‘দ্রৌপদী পরম্পরা’ নাটকের মঞ্চায়ন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের ঐতিহ্যবাহী নাট্যদল থিয়েটারের (আরামবাগ) ৪০তম প্রযোজনা ‘দ্রৌপদী পরম্পরা’। সম্প্রতি নাটকটি মঞ্চে এনেছে দলটি। এরই মধ্যে নাটকটির ৪টি মঞ্চায়ন হয়েছে। আগামী ২৩ জুলাই সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার প্রধান মিলনায়তনে নাটকটির পঞ্চম মঞ্চায়ন হবে বলে জানা গেছে। নাটকটি রচনার পাশাপাশি নির্দেশনা দিয়েছেন তরুণ নাট্যকার ও নির্দেশক প্রবীর দত্ত। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করবেন তাহমিনা আক্তার, আকেফা আলম, ইউশা আনতারা প্রপা, রফিকুল ইসলাম, তৌহিদুল ইসলাম বাদল, শাহরিয়ার ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির, শংকর চন্দ্র সরকার, লেনিন ফিরোজী, রাব্বানী এবং প্রবীর দত্ত। নাটকটির মঞ্চ পরিকল্পনা করেছেন রফিক উল্যাহ, পোশাক পরিকল্পক ড. আইরিন পারভীন লোপা, সঙ্গীত পরিকল্পনায় শিশির রহমান, আলোক পরিকল্পক শামীমুর রহমান এবং পোস্টার ডিজাইনার শিল্পী সৈয়দ ইকবাল। মহাভারতের ছায়া অবলম্বনে ‘দ্রৌপদী পরম্পরা’ নাটকে গল্প আবর্তিত হয়েছে। ‘দ্রৌপদী পরম্পরা’ মূলত মহাভারতকে উপজীব্য করে দ্রৌপদী চরিত্রকে অবলম্বনের মাধ্যমে সমাজ, ধর্ম ও রাজনীতিকে বহুমাত্রিক রূপে মহাকাব্যিক ঢংয়ে দৃশ্যকাব্য নির্মাণের চেষ্টা করেছেন নাট্যকার ও নির্দেশক প্রবীর দত্ত। যার মধ্যে অন্তর্নিহিত আছে এক গভীর জীবন দর্শন। যে জীবনদর্শনের আদর্শে মহাভারতের দ্রৌপদী সমকালের আয়নায় ধরা দেয় মহাভারতী হয়ে এবং মহাভারতে তার না বলাকথাগুলো অকপটে বলে। নাটকটি সম্পর্কে নাট্যকার ও নির্দেশক প্রবীর দত্ত বলেন, মহাভারতের দ্রৌপদী চরিত্রটি আমাদের প্রায় সকলেরই পরিচিত। কিন্তু মহাভারতে দ্রৌপদী যে কথাগুলো বার বার বলতে চেয়েও বলতে পারেনি বর্তমানে যদি দ্রৌপদী সেই না বলা কথাগুলো বলতে চায়। অপ্রিয় হলেও এনাটকের মাধ্যমে দ্রৌপদী সেই অপ্রিয় সত্য কথাগুলোই এ নাটকে বলে। মহাভারতের সময়ে ঘটনায় তাকে যেভাবে নিগৃহীত হতে হয়েছে সেই চিত্র উন্মোচনের মাধ্যমে অব্যক্ত ও অপ্রিয় সত্য কথাগুলোই নাটকে ওঠে আসে। নাট্যকার নাটকে মহাভারতের আলোকেই দ্রৌপদীর প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছেন। তবে নাটকের আখ্যানটি মহাভারত থেকে বর্তমান পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে।
×