ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ক্যাম্পাস সংবাদ

প্রকাশিত: ০৭:৩০, ৮ জুলাই ২০১৮

ক্যাম্পাস সংবাদ

আইকিউএসি সাব-প্রজেক্টের সমাপনী কর্মশালা ইন্সটিটিউশাল কোয়ালিটি এ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) এবং ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) কর্তৃক যৌথভাবে ইউনিভার্সিটির আইকিউএসি সাব-প্রজেক্টের সমাপনী কর্মশালা গত ৩০ জুন ইউনিভার্সিটির গ্রীনরোড ক্যাম্পাসে ড. এম. আই. পাটোয়ারী অডিটেরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. গৌরাঙ্গ চন্দ্র মহন্ত, এনডিসি, প্রজেক্ট ডাইরেক্টর (এডিশনাল সেক্রেটারী), হায়ার এডুকেশন এনহেন্সমেন্ট প্রজেক্ট (হেকেপ)। তিনি তাঁর বক্তব্যে সাব-প্রজেক্টটি নির্দিষ্ট সময়ে সফলতার সঙ্গে সমাপ্ত করায় ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. সঞ্জয় কুমার অধিকারী, হেড, কিউএইউ, ইউজিসি; ড. আহমেদ তাজমীন, কিউএ স্পেশালিস্ট, কিউএইউ, ইউজিসি এবং ড. মাহবুব আহসান খান, কিউএ স্পেশালিস্ট, কিউএইউ, ইউজিসি। অধ্যাপক অধিকারী সাব-প্রজেক্টের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য বাস্তবতা, সীমাবদ্ধতা ও চ্যালেঞ্জর ওপর একটি প্রেজেন্টেশন দেন। কর্মশালায় ডা. এস. কাদির পাটোয়ারী, চেয়ারম্যান, বিওটি; এ্যাডভোকেট এস. কে. পাটোয়ারী, মেম্বার, বিওটি; অধ্যাপক ড. মোঃ মাইনুল ইসলাম, ট্রেজারার; অধ্যাপক মোঃ রফিকুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার; অধ্যাপক ড. এ. ডব্লিউ. এম. আব্দুল হক, ডিন, আইন অনুষদ; অধ্যাপক ড. শওকত আরা হোসেন, ডিন, কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ এবং অধ্যাপক ড. এ.টি.এম. মাহবুবুর রহমান সরকার, ডিন, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদ, ডিআইইউ সমাপ্ত হওয়া সাব-প্রজেক্টের টেকসই ধারাবাহিকতা রক্ষার বিষয়ে তাদের বিভিন্ন ধারণা ও মতামত তুলে ধরেন। কর্মশালায় বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ১২০ শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। ড. মোঃ সেরাজুল ইসলাম প্রধান, ডাইরেক্টর, আইকিউএসি উক্ত সাব-প্রজেক্টের ০৩ বছরের বিভিন্ন কার্যক্রম ও অর্জনসমূহ উল্লেখ করে একটি প্রেজেন্টেশন দেন। সিএসই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং এসএ কমিটির হেড সহযোগী অধ্যাপক মোঃ আব্দুল বাছেত ইমপ্যাক্টস্ এ্যান্ড চ্যালেঞ্জের অভিজ্ঞতা অর্জন ও ভবিষ্যতে মোকাবেলার ওপর গুরুত্বারোপ করে একটি প্রেজেন্টেশন দেন। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য এবং কিউএসি কমিটির হেড অধ্যাপক ড. কে. এম. মোহসীন। কর্মশালা সঞ্চালনায় ছিলেন আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক মিলি সুলতানা। ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে সেমিনার সম্প্রতি খুলনা জেলা প্রশাসক এর সম্মেলন কক্ষে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির টোব্যাকো কন্ট্রোল এ্যান্ড রিসার্স সেল (টিসিআরসি), জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এবং দি ইউনিয়নের কারিগরি ও আর্থিক সহযোগিতায় ‘তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণীর কার্যকর বাস্তবায়নে করণীয়’ শীর্ষক এক বিভাগীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ও টিসিআরসি প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে যত মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, তার চেয়ে অধিক প্রাণহানি হয়েছে তামাকের মরণ ছোবলে। তাই তামাকের মহামারীকে ঠেকাতে সর্বস্তরে ব্যবস্থা গ্রহণ গ্রহণ করতে হবে। আর এজন্য দরকার সরকাবেরর কঠোর পদক্ষেপ’। কর্মশালায় খুলনার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান-এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন খুলনার ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ ফারুখ হোসেন, অতিারক্ত বিভাগীয় কমিশনার নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার, খুলনার সভিল সার্জন, ডাঃ এস. এম. আঃ রাজ্জাক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জিয়াউদ্দিন। কর্মশালায় ‘বাংলাদেশ তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ও এর বাস্তবায়নে টাস্কফোর্স সদস্যদের ভুমিকা’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের প্রোপ্রাম অফিসার আমিনুল ইসলাম সুজন ও ‘তামাক নিয়ন্ত্রণে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণীর গুরুত্ব ও করণীয়’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টিসিআরসির সদস্য সচিব ও ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক মোঃ বজলুর রহমান ও প্রোগ্রাম অফিসার এবং গবেষণা সহকারী ফারহানা জামান লিজা। বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার জাবের মোঃ সোয়াই- এর সঞ্চালনায় এ কর্মশালায় আরো বক্তব্য রাখেন খুলনা সিভিল সার্জন অফিসের পরিচালক ডাঃ মোঃ আব্দুল কাদির, সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী, জেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর মোঃ মুজিবুর রহমান ও ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের কর্মসূচী ব্যবস্থাপক সৈয়দা অনন্যা রহমান। আইডিয়াল ল’ কলেজে নবীনবরণ ও সংবর্ধনা ‘মাদককে না বলুন’- এ উপপাদ্যকে সামনে রেখে গতকাল ঢাকার ফার্মগেটের আবদুল হালিম পাটওয়ারী ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত আইডিয়াল ল’ কলেজে ২০১৬ শিক্ষাবর্ষের কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা এবং ২০১৮-২০১৯ সেশনের শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন ও নবীন বরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কলেজ অডিটরিয়ামে আয়োজিত আইডিয়াল ল’ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও আবদুল হালিম পাটওয়ারী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. এম. এ. হালিম পাটওয়ারী সভাপতিত্বে সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এ কলেজের গবর্নিং বডির সভাপতি, স্থানীয় সংসদ সদস্য (ঢাকা-১২) ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আছাদুজ্জামান খান (কামাল)। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মোঃ জামাল উদ্দীন আহমেদ ও গভর্নিং বডির সদস্য অধ্যাপক মোঃ আবদুর রশিদ। অন্যদের মধ্যে কলেজের অধ্যক্ষ ড. জামাল উদ্দীন আহমেদ, টঈঈ গ্রুপের পরিচালক মোঃ কামাল উদ্দিন পাটওয়ারী, এ্যাডভোকেট মোঃ আলমগীর হোসেন পাটওয়ারী উপস্থিত ছিলেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কলেজের নবাগত শিক্ষার্থী, সংবর্ধিত শিক্ষার্থীবৃন্দ ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ। অনুষ্ঠানে ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে সংবর্ধিত করা হয়। প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন তাঁর বক্তৃতায় বলেন, প্রতিটি পেশার সঙ্গে আইন বিষয়টি সরাসরি জড়িত। এ কলেজটি আইনের সঠিক দিক নির্দেশনামূলক শিক্ষা প্রদান করতে সচেষ্ট থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আইডিয়াল ল’ কলেজ আইন শিক্ষার্থীদের জন্য যে ব্যতিক্রমধর্মী ও সহযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তাতে এ কলেজের প্রতিটি আইন শিক্ষার্থী শুধু সনদপত্রের জন্য নয় বরং নিজেকে প্রকৃত অর্থে একজন আইনজ্ঞ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মোঃ জামাল উদ্দীন আহমেদ বলেন, শীঘ্রই বাংলাদেশকে মাদক মুক্ত করতে পারব বলে বিশ্বাস করি। মাদকের বিরুদ্ধে যে অভিযান হচ্ছে তা অব্যাহত থাকবে। যে পর্যন্ত মাদক নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারি সে পর্যন্ত অভিযান চলবে। ক্যাম্পাস প্রতিবেদক
×